বাংলাদেশের সংগ্রহ মাত্র ১৯৪
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। জোহানেসবার্গে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিন আফ্রিকার পেসারদের সামনে পড়ে ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে মাত্র ১৯৪ রান করেছে।
একদিকে দলপতি তামিম ইকবালের ৩৩তম জন্মদিন। অপরদিকে সিরিজ জয়ের হাতছানি। এই দুইয়ের সংমিশ্রনে মুদ্রা নিক্ষেপনে জয়ী হয়েছিলেন তামিম ইকবালই। দুইটি লক্ষ্য পূরণের প্রথম অর্জন হয়ে যায়। পূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দলপতি। আগের ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩১৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে রানের পাহাড় চাপা দিয়েছিল বাংলাদেশ।
এবার টস জেতায় আগে ব্যাটিং করার কাজটি সহজ হয়ে যায়। কিন্তু তামিম ইকবালের সে লক্ষ্য পুড়ে মাটি হয়ে যায় স্বাগতিক দলের পেসারদের অগ্নিঝরা বোলিংয়ের সামনে পড়ে। ৯ উইকেটে করে মাত্র ১৯৪ রান। এই রান করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকে রাখা বাংলাদেশের বোলারদের জন্য কঠিনই।
যেখানে আবার প্রোটিয়া দলে অর্ন্তভুক্ত হয়েছেন ডি ককের মতো ব্যাটসম্যানও। বোলাররা যদি অসম্ভব ভালো বোলিং করতে পারেন, তবেই তামিমের ইকবালের জন্মদিনে যেমন পূর্ণতা আসবে, তেমনি সিরিজ জিতে নতুন ইতিহাসও রচনা হবে।
স্কোরবোর্ডে ৯ উইকেটে ১৯৪ রান দেখে হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আবার ৩৪ রানে টপ অর্ডারর ৫ ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর এই সংগ্রহ আবার অনেকে বেশি। অন্তত বোলাররা লড়াই করতে পারবেন।
জোহানেসবার্গের পেস স্বর্গরাজ্য উইকেটে তামিম ইকবালের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করতে মোটেই সময় নেননি প্রোটিয়া পেসাররা। শুরুটা বার্থডে বয় তামিম ইকবালকে দিয়ে। মুহুর্তে তা পরিণত হয় ৩৪ রানে ৫ উইকেট। শুরুটা করেন এনগিডি। পরে ভয়ংকর রুপে আবির্ভূত হন রাবাদা। যে কারণে ৩০০ বলের ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ডট বল দিয়েছেন ১৮৯টি। ছয় ছিল ২টি। আর বাউন্ডারি ১৬টি।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মুলত পরাস্ত হয়েছেন পেসারদের গতি আর বাউন্সের কাছে। ৩৪ রান ৫ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের শতরান পা হওয়াই শঙ্কায় ছিল। সে শঙ্কা দূর করেন আফিফ ৭২ রানের ইনিংস খেলে। সঙ্গি হিসেবে পেয়ে যান মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজকে। ষষ্ট উইকেট জুটিতে রান আসে ৬০।
মাহমুদউল্লাহ ২৫ রান করে সামসির বলে ফিরে যাওয়ার পর আফিফ ও মিরাজ সপ্তম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৮৬ রান। এই দুই জনকে যখন কিছুতেই ফেরানো যাচ্ছে না, তখন আবার আক্রমণে এসে রাবাদা একই ওভারে ফিরিয়ে দেন প্রথমে আফিফ ও পরে মিরাজকে।
আফিফ ৭৯ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করার পর ১০৭ বলে ৯ চারে ৭২ রান করে আউট হন বাভুমার হাতে ধার পড়ে। মিরাজকে ৩৮ রান ক্যাচ ধরেন মালান। রাবাদা ৩৯রানে নেন ৫ উইকটে। ১টি ক রে উইকেট নেন এনগিডি, পার্নের, ডসন ও সামসি।
এমপি/এমএমএ/