শেখ জামালের জয়ে বৃথা গেল অমিতের সেঞ্চুরি

লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অমিত হাসান আগের ৭ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ১১২ রান। বুধবার (১৬ মার্চ) এক ম্যাচেই করেছেন অপরাজিত ১০৭ রান। কিন্তু তার এই সেঞ্চুরি তার দল খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে জয় এনে দিতে পারেনি।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে হেরেছে ৪ উইকেটে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খেলাঘর ৭ উইকেটে করে ২২১ রান । শেখ জামাল সেই রান তাড়া করে ৪৭ দশিমক ৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২২২ রান।
অমিত হাসানের জন্য মন্দ কপালই। দারুণ সর্ম কাটাচ্ছেন তিনি প্রথম শ্রেণির দুইটি আসর এনসিএল ও বিসিএলে তিনি দুইটি করে সেঞ্চুরি করেছেন। জাতীয় লিগে ৬ ম্যাচ খেলে ১১ ইনিংসে ব্যাট করে তিনি রান করেছিলেন ৫৯০ রান। দুইটি সেঞ্চুরির সঙ্গে তার দুইটি হাফ সেঞ্চুরিও ছিল।
এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগেও তিনি দুইটি সেঞ্চুরি করে ৪ ম্যাচের ৬ ইনিংসে তিনি করেছিলেন ৩২২ রান। সেই ধারাবাহিকতা তিনি টেনে এনেছিলেন ৫০ ওভারে ম্যাচেও। ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নামার (৪.৩ ওভার পর) পর তাকে কেউ আউটই করতে পারেনি। কিন্তু তিনি আউট না হলে কী হবে? অন্য প্রান্তে তাকে সেভাবে কেউ সময় দিতে পারেননি। যে কারণে দলীয় রান বেশি পেটমোটা হতে পারেনি। তার ইনিংসের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল বিদেশি ক্রিকেটার অশোক মেনারিয়ার ৩২ ও মাসুম খানের ৩০।
এ ছাড়া প্রীতম ঘোষ করেন ২৬ রান। আর কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অংকের রান করতে পারেননি। ৫৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর সেঞ্চুরি করকে বলে খেলেন ১৩৩টি। বলের ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণ অপরপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়া। শেখ জামালের হয়ে সাইফ হাসান ৬ নম্বারে বোলিং করতে এসে ১০ ওভারে মাত্র ৩০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। এই সাইফ হাসান হলেন জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার। ফর্মের কারণে তিনি বর্তমানে দলে নেই। এটিই তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। বিপিএলে দারুন বোলিং করা মৃতুঞ্জয় চৌধুরী ৩৭ রানে নেন ২ উইকেটে।
বল হাতে সাফল্য দেখানোর পর সাইফ হাসান ব্যাট হাতেও সাফল্য দেখান। সৈকত আলীর সঙ্গে ইনিংসের উদ্বোধন করতে এসে ১১১ রানের বড় জুটি গড়ে দলের সহজ জয়ের রাস্তা তৈরি করে দেন। সৈকত আলী মারমুখি ব্যাটিং করলেও সাইফের ব্যাটিং ছিল কিছুটা মন্থর। সৈকত ৫৮ বলে ১ ছক্কা ও ৮ চারে ৬৩ রান করে আউট হন।
সেখানে সাইফ ৬২ রান করতে বল খেলেন ৯২টি। চার ছিল ৬টি। ম্যাচ সেরাও হন তিনি। দুই জনের ২০.৫ ওভারের ১১১ রানের ভীতের উপর দাঁড়িয়ে শেখ জামাল অনায়েসেই জয় পায়। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১৬ রান করে আউট হলেও জহুরুল ইসলাম অমি করেন ৪৭ রান। এই দুই জন আউট হওয়ার পর নুরুল হৃসান সোহান ২৫ ও পারভেঝ রাসুল ৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ী করে ফিরেন। খেলাঘরের হোসেন আলী ৩০ রানে নেন ২ উইকেট।
এমপি/এমএমএ/
