মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশ্বকাপ ক্রিকেট

পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের মেয়েদের বিজয় নিশান

প্রথমবারের মতো মেয়েদের বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েই প্রথম জয় পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশের মেয়েদের। তৃতীয় ম্যাচেই অধরা জয় এসে ধরা দিয়েছে। বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাস গড়া জয় পেতে বাংলাদেশ বেছে নিয়েছিল পাকিস্তানকে। হারিয়েছে ৯ রানে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে করে ২৩৪ রান। জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান ওপেনার সিদরা আমিনের সেঞ্চুরিতে (১০৪) ছিল জয়ের পথেই। কিন্তু বাংলাশের বোলারদের অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে আসাতে পাকিস্তানের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে স্বাধীনতার মাসে সুদূর নিউ জিল্যান্ডে উড়ে বাংলাদেশের বিজয় নিশান। পাকিস্তান ৯ উইকেটে করে ২২৫ রান। তিন ম্যাচে বাংলাদেশ পেল প্রথম জয়। পয়েন্ট টেবিলের সাত থেকে উঠে এসেছে ছয়ে। পাকিস্তানের ছিল টানা চতুর্থ হার। পয়েন্ট টেবিলে তারা সবার নিচে। উল্লেখ ১৯৯৯ সালে ছেলেরাও পথম বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে নর্দাম্পটনে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ৬২ রানে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ আসরে নিজেদের সর্বোচ্চ ৭ উইকেটে ২৩৪ রান করেও ছিল বড় হারের মুখে। সিদরা আমিনের সেঞ্চুরিতে এক পর্যায়ে পাকিস্তানের রান ছিল ২ উইকেটে ৪১ ওভার ৫ বলে ১৮২। জয়ের জন্য ৪৯ বলে ৮ উইকেটে প্রয়োজন ছিল ৫৩ রানের। কিন্তু এরপরই দারুণভাবে ফিরে আসে বাংলাদেশের মেয়েরা। মাত্র ১৩ বলে ৫ রানে তুলে নেন ৫ উইকট। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সময় যতই গড়িয়েছে বাংলাদেশের জয়ের সূর্য ততই বড় হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সিদরা আমিনের সেঞ্চুরিকে ব্যর্থতায় পর্যবেসিত করে পাকিস্তানকে ৯ উইকেটে ২২৫ রানে আটকে রেখে জয় তুলে নেয় ৯ রানে। বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচ হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউ জিল্যান্ডের কাছে। ১৮ মার্চ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশ চতুর্থ ম্যাচ খেলবে উইন্ডিজের বিপক্ষে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আসরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করলেও উদ্বোধনী জুটিতে কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচের তুলনায় রান কম এসেছে। প্রথম দুই ম্যাচে রান এসেছিল যথাক্রমে ৬৯ ও ৫৯। এবার আসে মাত্র ৩৭। তিনটি ম্যাচেই বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন আসে। প্রথম ম্যাচে উদ্বোধন করেছিলেন শারমিন আক্তার ও শামীমা সুলতানা। দ্বিতীয় ম্যাচে দুই ওপেনার ছিলেন শামীমা সুলতানা ও ফারজানা হক পিংকি। এই ম্যাচে আবার উদ্বোধন করেন শামীমা ও শারমিন। উদ্বোধনী জুটিতে কম রান আসার পরও আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। আর এখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ফারজানা হক পিংকি। ১১৫ বলে ৫ চারে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন দলনায়ক নিগার সুলতানা ৬৪ বলে ১ চারে ৪৬ ও ওপেনার শারমীন আক্তার ৫৬ বলে ৬ চারে ৪৪ রান করে। এ ছাড়া ছোট ছোট অবদান রাখেন শামীমা (১৭), রুমানা (১৬), সালমা অপরাজিত (১১), রিতু মনি ১১ রান করে।

উদ্বোধনী জুটিতে শামীমা ও শারমিন ৮ ওভারে ৫ বলে ৩৭ রান এনে দেন। শামীমা ১৭ রান করে নিদা দারের বলে ফাতিমা সানার হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শারমিন ও ফারজানা ৪২ রান যোগ করেন ১০ ওভার ২ বলে। স্ট্রাইক রেট ৮০ গড়ে শারমিন ৫৫ বলে ৪৪ রান করে ওমাইমা সোহেলির বলে বোল্ড হওয়ার পর গড়ে উঠে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জুটি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ফারজানা ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা মিলে ২০ ওভার ৪ বলে যোগ করেন ৯৬ রান। জুটি ভাঙে নিগার আউট হলে। শারমিনের মতো নিগারও হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন ৪৬ রানে ফাতিমা সানার বলে এলিবিডব্লিউর শিকার হয়ে। এ সময় বাংলাদেশের রান ছিল ৩৯ ওভার ৫ বলে ৩ উইকেটে ১৭৫। ৫০ ওভার শেষে রান আড়ই শ অতিক্রম করার কথা। তখনও ৫২ রান করে ফারজানা আছেন ক্রিজে। কিন্তু এ সময় আর আশানুরূপ রান সংগ্রহ করতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ১০ ওভারে রান আসে ৬২। শেষ ৫ ওভারে রান আসে ৩৩। এ সময় একটিও বাউন্ডারি হয়নি। সর্বশেষ বাউন্ডারি হয়েছিল ৪৩ ওভার ৩ বলের সময় রুমানা আহমেদের ব্যাট থেকে। তিনি নিদা দারের বলে পরপর দুইটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন।

বাংলাদেশের রান আড়ই শ অতিক্রম না করার কারণ ফারজানা হক পিংকি আউট হওয়ার পর আর কেউ সেভাবে রান করতে পারেননি। ৮৯ বলে ৫ বাউন্ডারিতে হাফ সেঞ্চুরি করে ফারজানা আউট হন ৭১ রানে। বল খেলেন ১১৫টি। নাসরা সান্দুর বলে সিদরা নাওয়াজ তাকে স্ট্যাম্পিং করেন। ফারজানা আউট হওয়ার আগে রুমানা আউট হয়ে যান ১৩ বলে ২ চারে ১৬ রান করে। পাকিস্তানের হয়ে ৪১ রানে ৩ উইকেট নেন নাসরা সান্দু।

মেয়েদের ক্রিকেটে ২৩৭ রান অনেক নির্ভরযোগ্য সংগ্রহ। কিন্তু হ্যামিলটনের জন্য নয়। এখানে রান অনেক বেশি উঠে। এবারের আসরে এর আগে তিন ম্যাচে আগে ব্যাট করে রান উঠেছিল ৩১৭, ৩১০ ও ২৬০। এটাই ছিল বাংলাদেশর অনুপ্রেরণা। শেষ পর্যন্ত তারা সেই ট্রেডিশন ভাঙতে দেয়নি। জিততে দেয়নি পরে ব্যাট করা পাকিস্তানকে।

পাকিস্তানকে ভালো সূচনা এনে দেন উদ্বোধনী জুটিতে নাহিদা ও সিদরা ২৩ ওভার ৪ বলে ৯১ রান যোগ করে। নাহিদাকে ৪৩ রানে ফিরিয়ে দিয়ে রুমানা জুটি ভাঙলেও তাকে খুব বেশি ফায়দা হয়নি। বিসমা মারুফ এসে জুটি বাঁধার পর যোগ করেন ৬৪ রান। দলের রান তখন ২ উইকেটে ৩৭ ওভার ৫ বলে ১৫৫। ওমাইমা সোহেলি ২৮ রানের জুটি গড়ে দলকে আরেকটি জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত ১০ রানে ফিরে যাওয়ার পর রীতিমতো ঝড় বয়ে যায় পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনের উপর দিয়ে। ২ উইকেটে ১৮৩ রান থেকে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৮৮। মাত্র ১৩ বলে ৫ রানে নেই ৫ উইকেট। ওমাইমাকে আউট করার পর ফাহিমা খাতুন পরপর দুই বলে আলিয়া রিয়াজ ও ফাতিমা সানাকে আউট করে খেলা দারুণভাবে জমিয়ে তুলেন। তার ওভারের শেষ বলে সিদরা নাওয়াজ রান আউট হলে ম্যাচে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ হারায়। এই তিন উইকেটের মাঝে রুমানা ফিরিয়ে দেন নিদা দারকে। এ সময় বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা জেগে উঠে। বাংলাদেশের চাই ৩ উইকেট। পাকিস্তানের প্রয়োজন ৩০ বলে ৫০ রান। তখনও ওপেনার সিদরা আমিন থাকায় বাংলাদেশের জন্য যেমন ভয় ছিল, তিনি ছিলেন পাকিস্তানের আশা। ১৩৬ বলে ৮ চারে শতরান পূর্ণ করে সিদরা ছুটেন দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে। ডায়না বেগকে নিয়ে তিনি ছুটছিলেনও। জুটিতে ২১ রান এনে পাকিস্তানের পাল্লা ভারীই করে তুলেছিলেন। ডায়না ১২ বলে ১২ রান করে সালমার শিকার হওয়ার পর সিদরা আমিনও ১০৪ রানে রানে আউট হয়ে গেলে পাকিস্তানের শেষ সম্ভাবনাও নিভে যায়। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রানের। তারা নিতে পারেন ৬ রান। ৩৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ফাহিমা খাতুন। রুমানা আহমেদ ২৯ রানে নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন জাহানারা আলম ও সালমা খাতুন।

এমপি/টিটি

Header Ad
Header Ad

রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন

রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরে হিজবুত তাওহীদের কর্মীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের সময় হিজবুত তাওহীদের অফিস সহ চার কর্মীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও দুই কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের নাগদাহ সিদাম এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, হিজবুত তাওহীদের প্রায় ৪০ জন কর্মী সেখানে একটি গোপন বৈঠক করছিল। বৈঠকের খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাদের বাধা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং মুহূর্তেই তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষ চলাকালে হিজবুত তাওহীদের চার কর্মীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয় ও আরও দুই কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহত চারজনকে তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাওহীদের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা ও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।

আটকদের স্বজনরা দাবি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।

পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক সুমন বলেন, “হিজবুত তাওহীদের একটি সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। সেই সমাবেশ ঘিরেই এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয় ও সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

Header Ad
Header Ad

পাঁচ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মশাল মিছিল

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

সস্প্রতি ম্যাটস ও ডিএমএফ ইস্যুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কতৃক গৃহিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ এবং ম্যাটস শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক দাবির বিরুদ্ধে ও পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেছে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা। 

গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০ টার দিকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ চত্বর থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সামনে এই মশাল মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মেডিকেলে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের চিকিৎসক পদবী ব্যবহার নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে এলেও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে, কিন্তু এসএসসি পাস করে ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসক সেজে বসে রয়েছে। এসব নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে।

বিক্ষোভকারীরা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে একটি যৌক্তিক ও মৌলিক পরিবর্তন প্রয়োজন। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া চিকিৎসকের স্বীকৃতি দেওয়া বন্ধসহ ৫ দফা দাবি স্বাস্থ্যখাতে একটি বিপ্লব ঘটাতে পারে। এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা ও অনিশ্চয়তা দূর হবে, ঠিক তেমনি রোগী ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। তাই সারা বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোর সঙ্গে একমত হয়ে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ করেছে।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি গুলো হচ্ছে-
১। এমবিবিএস/বিডিএস ব্যতীত কেউ চিকিৎসক লিখতে পারবে না। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সাল থেকে হাসিনা সরকার ম্যাটসদের (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করেছে। এই ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

২। উন্নত বিশ্বের চিকিৎসাব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওভার দ্যা কাউন্টার বা ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস বা বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি লিস্টের বাইরের ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরের কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।

৩। স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সব শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে আগের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে। প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে এবং চিকিৎসকদের বিসিএসে বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।

৪। সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) পদবী রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে: মির্জা ফখরুল  

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবিঃ সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের যোগসূত্রে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। এমন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে সামরিক কবরস্থানে পিলখানায় শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এ কথা জানান তিনি।

ফখরুল বলেন, এ দিনটি সেনাবাহিনীর জন্য কালো দিন। সেনাবাহিনীর শত্রুরা সেদিন ৫৭ জন চৌকস সেনাকে হত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নষ্ট করে দেয়া।

তিনি বলেন, এ দিনটাকে জাতীয় দিবস করায় আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। নিহত সেনা সদস্যদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রংপুরে হিজবুত তাওহীদ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ কর্মীর বাড়িতে আগুন
পাঁচ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মশাল মিছিল
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুইদিন ধরে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে: মির্জা ফখরুল  
৩০০ বলের মধ্যে ১৮১ ডট খেলার ব্যাখ্যা দিলেন শান্ত
২০০৭ সালে চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ  
সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ তিন বাহিনীর প্রধানরা  
বাংলাদেশ ক্রিকেট খুব শীঘ্রই জিম্বাবুয়ের স্তরে নেমে আসবে: দিনেশ কার্তিক  
৪০ থেকে ৭০ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  
ওয়াশিংটনে পেন্টাগন প্রধান ও সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ  
চুয়াডাঙ্গায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন 
বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আর নেই  
যুবদল নেতার বাড়িতে বোমা হামলা-অগ্নিসংযোগ, আহত ১  
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো কলকাতা-ওড়িশায় ভূমিকম্প, অনুভূত হলো ঢাকাতেও
নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাংলাদেশের বিদায়
নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা না হলে ঈদের পরে আন্দোলন: বিএনপি নেতা হারুন
জেল থেকে পালালেন আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, ফাইয়াজের দাবি
তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে শুক্রবার
বিভেদের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটন নিষেধাজ্ঞা
রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ!