মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ | ৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিশ্বকাপ ক্রিকেট

পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের মেয়েদের বিজয় নিশান

প্রথমবারের মতো মেয়েদের বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েই প্রথম জয় পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশের মেয়েদের। তৃতীয় ম্যাচেই অধরা জয় এসে ধরা দিয়েছে। বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাস গড়া জয় পেতে বাংলাদেশ বেছে নিয়েছিল পাকিস্তানকে। হারিয়েছে ৯ রানে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে করে ২৩৪ রান। জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান ওপেনার সিদরা আমিনের সেঞ্চুরিতে (১০৪) ছিল জয়ের পথেই। কিন্তু বাংলাশের বোলারদের অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে আসাতে পাকিস্তানের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে স্বাধীনতার মাসে সুদূর নিউ জিল্যান্ডে উড়ে বাংলাদেশের বিজয় নিশান। পাকিস্তান ৯ উইকেটে করে ২২৫ রান। তিন ম্যাচে বাংলাদেশ পেল প্রথম জয়। পয়েন্ট টেবিলের সাত থেকে উঠে এসেছে ছয়ে। পাকিস্তানের ছিল টানা চতুর্থ হার। পয়েন্ট টেবিলে তারা সবার নিচে। উল্লেখ ১৯৯৯ সালে ছেলেরাও পথম বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে নর্দাম্পটনে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ৬২ রানে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ আসরে নিজেদের সর্বোচ্চ ৭ উইকেটে ২৩৪ রান করেও ছিল বড় হারের মুখে। সিদরা আমিনের সেঞ্চুরিতে এক পর্যায়ে পাকিস্তানের রান ছিল ২ উইকেটে ৪১ ওভার ৫ বলে ১৮২। জয়ের জন্য ৪৯ বলে ৮ উইকেটে প্রয়োজন ছিল ৫৩ রানের। কিন্তু এরপরই দারুণভাবে ফিরে আসে বাংলাদেশের মেয়েরা। মাত্র ১৩ বলে ৫ রানে তুলে নেন ৫ উইকট। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সময় যতই গড়িয়েছে বাংলাদেশের জয়ের সূর্য ততই বড় হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সিদরা আমিনের সেঞ্চুরিকে ব্যর্থতায় পর্যবেসিত করে পাকিস্তানকে ৯ উইকেটে ২২৫ রানে আটকে রেখে জয় তুলে নেয় ৯ রানে। বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচ হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউ জিল্যান্ডের কাছে। ১৮ মার্চ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশ চতুর্থ ম্যাচ খেলবে উইন্ডিজের বিপক্ষে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আসরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করলেও উদ্বোধনী জুটিতে কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচের তুলনায় রান কম এসেছে। প্রথম দুই ম্যাচে রান এসেছিল যথাক্রমে ৬৯ ও ৫৯। এবার আসে মাত্র ৩৭। তিনটি ম্যাচেই বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন আসে। প্রথম ম্যাচে উদ্বোধন করেছিলেন শারমিন আক্তার ও শামীমা সুলতানা। দ্বিতীয় ম্যাচে দুই ওপেনার ছিলেন শামীমা সুলতানা ও ফারজানা হক পিংকি। এই ম্যাচে আবার উদ্বোধন করেন শামীমা ও শারমিন। উদ্বোধনী জুটিতে কম রান আসার পরও আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। আর এখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ফারজানা হক পিংকি। ১১৫ বলে ৫ চারে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন দলনায়ক নিগার সুলতানা ৬৪ বলে ১ চারে ৪৬ ও ওপেনার শারমীন আক্তার ৫৬ বলে ৬ চারে ৪৪ রান করে। এ ছাড়া ছোট ছোট অবদান রাখেন শামীমা (১৭), রুমানা (১৬), সালমা অপরাজিত (১১), রিতু মনি ১১ রান করে।

উদ্বোধনী জুটিতে শামীমা ও শারমিন ৮ ওভারে ৫ বলে ৩৭ রান এনে দেন। শামীমা ১৭ রান করে নিদা দারের বলে ফাতিমা সানার হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শারমিন ও ফারজানা ৪২ রান যোগ করেন ১০ ওভার ২ বলে। স্ট্রাইক রেট ৮০ গড়ে শারমিন ৫৫ বলে ৪৪ রান করে ওমাইমা সোহেলির বলে বোল্ড হওয়ার পর গড়ে উঠে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জুটি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ফারজানা ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা মিলে ২০ ওভার ৪ বলে যোগ করেন ৯৬ রান। জুটি ভাঙে নিগার আউট হলে। শারমিনের মতো নিগারও হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন ৪৬ রানে ফাতিমা সানার বলে এলিবিডব্লিউর শিকার হয়ে। এ সময় বাংলাদেশের রান ছিল ৩৯ ওভার ৫ বলে ৩ উইকেটে ১৭৫। ৫০ ওভার শেষে রান আড়ই শ অতিক্রম করার কথা। তখনও ৫২ রান করে ফারজানা আছেন ক্রিজে। কিন্তু এ সময় আর আশানুরূপ রান সংগ্রহ করতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ১০ ওভারে রান আসে ৬২। শেষ ৫ ওভারে রান আসে ৩৩। এ সময় একটিও বাউন্ডারি হয়নি। সর্বশেষ বাউন্ডারি হয়েছিল ৪৩ ওভার ৩ বলের সময় রুমানা আহমেদের ব্যাট থেকে। তিনি নিদা দারের বলে পরপর দুইটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন।

বাংলাদেশের রান আড়ই শ অতিক্রম না করার কারণ ফারজানা হক পিংকি আউট হওয়ার পর আর কেউ সেভাবে রান করতে পারেননি। ৮৯ বলে ৫ বাউন্ডারিতে হাফ সেঞ্চুরি করে ফারজানা আউট হন ৭১ রানে। বল খেলেন ১১৫টি। নাসরা সান্দুর বলে সিদরা নাওয়াজ তাকে স্ট্যাম্পিং করেন। ফারজানা আউট হওয়ার আগে রুমানা আউট হয়ে যান ১৩ বলে ২ চারে ১৬ রান করে। পাকিস্তানের হয়ে ৪১ রানে ৩ উইকেট নেন নাসরা সান্দু।

মেয়েদের ক্রিকেটে ২৩৭ রান অনেক নির্ভরযোগ্য সংগ্রহ। কিন্তু হ্যামিলটনের জন্য নয়। এখানে রান অনেক বেশি উঠে। এবারের আসরে এর আগে তিন ম্যাচে আগে ব্যাট করে রান উঠেছিল ৩১৭, ৩১০ ও ২৬০। এটাই ছিল বাংলাদেশর অনুপ্রেরণা। শেষ পর্যন্ত তারা সেই ট্রেডিশন ভাঙতে দেয়নি। জিততে দেয়নি পরে ব্যাট করা পাকিস্তানকে।

পাকিস্তানকে ভালো সূচনা এনে দেন উদ্বোধনী জুটিতে নাহিদা ও সিদরা ২৩ ওভার ৪ বলে ৯১ রান যোগ করে। নাহিদাকে ৪৩ রানে ফিরিয়ে দিয়ে রুমানা জুটি ভাঙলেও তাকে খুব বেশি ফায়দা হয়নি। বিসমা মারুফ এসে জুটি বাঁধার পর যোগ করেন ৬৪ রান। দলের রান তখন ২ উইকেটে ৩৭ ওভার ৫ বলে ১৫৫। ওমাইমা সোহেলি ২৮ রানের জুটি গড়ে দলকে আরেকটি জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত ১০ রানে ফিরে যাওয়ার পর রীতিমতো ঝড় বয়ে যায় পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনের উপর দিয়ে। ২ উইকেটে ১৮৩ রান থেকে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৮৮। মাত্র ১৩ বলে ৫ রানে নেই ৫ উইকেট। ওমাইমাকে আউট করার পর ফাহিমা খাতুন পরপর দুই বলে আলিয়া রিয়াজ ও ফাতিমা সানাকে আউট করে খেলা দারুণভাবে জমিয়ে তুলেন। তার ওভারের শেষ বলে সিদরা নাওয়াজ রান আউট হলে ম্যাচে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ হারায়। এই তিন উইকেটের মাঝে রুমানা ফিরিয়ে দেন নিদা দারকে। এ সময় বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা জেগে উঠে। বাংলাদেশের চাই ৩ উইকেট। পাকিস্তানের প্রয়োজন ৩০ বলে ৫০ রান। তখনও ওপেনার সিদরা আমিন থাকায় বাংলাদেশের জন্য যেমন ভয় ছিল, তিনি ছিলেন পাকিস্তানের আশা। ১৩৬ বলে ৮ চারে শতরান পূর্ণ করে সিদরা ছুটেন দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে। ডায়না বেগকে নিয়ে তিনি ছুটছিলেনও। জুটিতে ২১ রান এনে পাকিস্তানের পাল্লা ভারীই করে তুলেছিলেন। ডায়না ১২ বলে ১২ রান করে সালমার শিকার হওয়ার পর সিদরা আমিনও ১০৪ রানে রানে আউট হয়ে গেলে পাকিস্তানের শেষ সম্ভাবনাও নিভে যায়। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রানের। তারা নিতে পারেন ৬ রান। ৩৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ফাহিমা খাতুন। রুমানা আহমেদ ২৯ রানে নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন জাহানারা আলম ও সালমা খাতুন।

এমপি/টিটি

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলা

ছবি: সংগৃহীত

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি ফেডারেল মামলা দায়ের করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের দাবি, কোটি কোটি ডলারের ফেডারেল তহবিল জব্দ করে প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

একটি কমিউনিটি বার্তা ঘোষণায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি অ্যালান গার্বার এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‌‘গত সপ্তাহে হার্ভার্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অবৈধ দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর ফেডারেল সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক বড় ক্ষতি।

তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে, আমরা তহবিল স্থগিত করার জন্য একটি মামলা দায়ের করেছি, কারণ এটি বেআইনি এবং সরকারের কর্তৃত্বের বাইরে।

হার্ভার্ডের মামলায় উল্লিখিত মার্কিন সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিচার বিভাগ, জ্বালানি বিভাগ এবং জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

তিনি বলেন, সরকারের তহবিল হ্রাসের কারণে, গবেষণা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে শিশুদের ক্যান্সার, সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব এবং আহত সেনাদের ব্যথা উপশম করা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে মুখোমুখি লড়াইয়ে লিপ্ত, হোয়াইট হাউস প্রতিষ্ঠানটির ২.২ বিলিয়ন ডলার অনুদান জব্দ করেছে। বিশ্বের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি ক্যাম্পাস বিক্ষোভের ওপর সরকারের দাবি অমান্য করার পরে তহবিল জব্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লড়াই চলছে। বিশ্বের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি ক্যাম্পাস বিক্ষোভের বিষয়ে সরকারের দাবি অমান্য করার পর হোয়াইট হাউস হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২.২ বিলিয়ন ডলারের অনুদান আটকে দিয়েছে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে সংঘাত।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, যাতে যাতে অ্যাকাডেমিক কর্মসূচির ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়, তার জন্য চাপ সৃষ্টির করার অংশ হিসেবে ওই তহবিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই যুক্তি দেখিয়েই ওই মামলা করা হয়েছে।

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোস্টনের ফেডারেল আদালতে দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, সরকার ইহুদি-বিদ্বেষমূলক উদ্বেগ এবং চিকিৎসা, বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং অন্যান্য গবেষণার মধ্যে কোনো যুক্তিসঙ্গত সংযোগ সনাক্ত করতে পারেনি এবং পারেও না।

Header Ad
Header Ad

ঢাকার দুই সিটি একীভূত করার প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম শক্তিশালী করতে এক গুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে একত্রিত করে একটি বৃহত্তর ঢাকা মহানগরী কাউন্সিল এবং পুরো ঢাকা শহরকে ২০টি সিটি কাউন্সিল গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এতে সিটি করপোরেশনের বর্তমান ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করেন তারা।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াসা, রাজউক, ডিএমপি, তিতাস. ডেসা, ডিপিডিসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপর মেয়রের কর্তৃত্ব বাড়বে। করপোরেশনের সেবা কার্যক্রম সমন্বিত করার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে খবরদারি করতে পারবেন তিনি।

ঢাকা মহানগরীতে কম-বেশি ২০টি সিটি কাউন্সিল করার প্রস্তাবও করা হয়েছে। কাউন্সিলপ্রধান একজন মেয়রের মতো হলেও কাজের ধরন হবে ভিন্ন। সেন্ট্রাল সিটি করপোরেশনের হাতে থাকবে প্রশাসনিক ক্ষমতা। সেন্ট্রাল শুধু সিটির নিরাপত্তা, আইনি দিক, বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা, ট্যাক্স আদায় করবে। আর কাউন্সিলগুলোর কাজ হবে অধীনস্থ এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিধন কার্যক্রমসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা।

নতুন এই ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ‘বর্তমান ব্যবস্থায় সিটি করপোরেশন কাঠামো ও কার‌্যাবলী পর্যাপ্ত নয়। এ জন্য আমরা সিটি গভর্নমেন্টে গুরুত্ব দিয়েছি। লন্ডনে যেমন সিটি গভর্নমেন্ট রয়েছে। প্রস্তাবনা বাস্তবায়িত হলে মেয়রের ক্ষমতা বাড়বে। অন্যান্য সেবা সংস্থায় মেয়রের কর্তৃত্ব বাড়ানোর চিন্তা করা হয়েছে। এতে করপোরেশনের সেবা সংস্থাগুলোর কাজে সমন্বয় হবে এবং কাজ ত্বরান্বিত হবে।

প্রস্তাবনায় আরও রয়েছে, দীর্ঘ মেয়াদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য দ্বি-স্তর বিশিষ্ট মহানগর সরকার (সিটি গভর্নমেন্ট) সৃষ্টির ব্যবস্থা গ্রহণ। মধ্য মেয়াদে অন্যান্য সিটি করপোরেশনে সিটি গভর্নমেন্ট সৃষ্টির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।

প্রস্তাবিত সিটি করপোরেশন কাঠামো : সিটি করপোরেশনের দুটি অংশ। একটি বিধানিক, অন্যটি নির্বাহী। বিধানিক অংশে থাকবেন নির্বাচিত কাউন্সিলররা, কাউন্সিল নেতা (মেয়র), ছায়া কাউন্সিল নেতা, সভাধ্যক্ষ, স্থায়ী কমিটি (৫-৭), সচিব, কাউন্সিল কর্মী। নির্বাহী অংশে থাকবেন মেয়র ও মেয়রস কাউন্সিল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সিটি করপোরেশনের বিদ্যমান অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দপ্তর।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের অন্যান্য প্রস্তাবনা : স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে একত্রিত করা। এ ক্ষেত্রে ‘জন প্রকৌশল সেবা’ নামক একটি নতুন অধিদপ্তর সৃষ্টি করার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়েছে, দেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে বেশিরভাগই প্রায় বন্ধ। তাই ভবিষ্যতে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে সমস্ত জনবল, সেবা ও সরবরাহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হতে পারে।

এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে পরিবেশ কর ও পর্যটন কর আরোপের উদ্যোগ নিতে হবে। বেসরকারি/ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের জন্য স্থানীয় সরকারকে কর দিতে হবে। করের হার নির্ধারণে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে কর আদায়ের কর্তৃত্ব শুধু ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনকে দিতে হবে। উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ নানা ফি ও সার্ভিস চার্জ আদায় করতে পারলেও কর আদায়ের অধিকারী হবে না।

তিন পার্বত্য জেলার সরকারি ৩০টি দপ্তরের যাবতীয় কাজ, জনবল ও অর্থ তিন জেলা পরিষদের কাছে সম্পূর্ণ হস্তান্তর করতে হবে। তিন পার্বত্য জেলার সব ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাগুলোকে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা ও এসব প্রতিষ্ঠানের বাজেট স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করার সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে- জাতীয়ভাবে আহরিত মূসকের এক-তৃতীয়াংশ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে কেন্দ্রীয় সরকার আহরিত মোট রাজস্বের এক-চতুর্থাংশ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করতে সুপারিশ করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গত রবিবার স্থানীয় সরকার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এ সময় কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

Header Ad
Header Ad

নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের চাওয়ায় পার্থক্য বেশি না: নজরুল ইসলাম

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের অবস্থানে খুব বেশি পার্থক্য নেই। তিনি জানান, সরকার যদি বলে যে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে, তাহলে তা ডিসেম্বরে হতে পারে বলেই ধরে নেওয়া যায়। এ অবস্থায় বিএনপি শুধু চায়, ডিসেম্বরের একটি তারিখ ধরে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “সরকার তো বলেনি ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে না। আমরাও বলছি না আজই নির্বাচন হোক। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন ডিসেম্বরে হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তাহলে এত বড় পার্থক্য কোথায়?”

এ সময় প্রশাসনে ‘বিএনপির লোক’ বসানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নজরুল ইসলাম বলেন, “যিনি এই অভিযোগ তুলেছেন, তিনি নিজেই সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। বিএনপিকে তো প্রশাসন থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। সেই সময় বৈষম্যের শিকার হওয়া ৭০০ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিলেও, এখনো তাদের কাউকে পদায়ন করা হয়নি।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কোথায় বিএনপির লোক বসানো হয়েছে? যারা সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাদের যদি একজনও এখন কোনো পদে থাকতেন, তাহলে বলা যেত। আসলে এসব প্রশ্ন আমাদের না করে তাদের করা উচিত।”

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলা
ঢাকার দুই সিটি একীভূত করার প্রস্তাব
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও সরকারের চাওয়ায় পার্থক্য বেশি না: নজরুল ইসলাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে অব্যাহতি
দুই বাংলাদেশি কৃষককে ধরে ভারতে নিয়ে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
গাইবান্ধায় অপহরণের দুই ঘন্টা পর এসএসসি পরীক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ২
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি
কাতারের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা
২০ দিনে ৫০ কোটিরও বেশি আয় করল শাকিবের 'বরবাদ'
ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাহার
টাঙ্গাইলে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
কারাগার থেকে দুটি শীতের সোয়েটার হারিয়ে গেছে: কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পলক
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানার সন্ধান
বাকৃবিতে পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক সুরক্ষায় অকার্যকর বেনাপোল এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন
পলাতক সব এমপি মন্ত্রীদের আইনের আওতায় আনা হবে: প্রেস সচিব
হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লক’