নাঈমকে না নিয়ে মিঠুন-রাজাকে নেওয়াতে অবাক সালাহউদ্দিন
ঘরোয়া ক্রিকেটের এক সময়ের সবচেয়ে জমজমটা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ যখন মাঠে (১৫ মার্চ) গড়াবে, তার আগেই জাতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা উড়াল দিয়েছে। কাজেই জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়াই ক্লাবগুলোকে মাঠে নামতে হবে। এই সব ক্রিকেটারদের সুপার লিগের আগে পাবে না কোনো দল।
অবশ্য জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ছাড়া প্রিমিয়ার লিগ শুরু করা একটা নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে। এখানে অবশ্য ক্লাবগুলোর করার কোনো কিছু থাকে না। জাতীয় স্বার্থে তারা ক্লাব স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেন। কিন্তু তারপরও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিরোপা প্রত্যাশি প্রাইম ব্যাংকের কোচ সালাহউদ্দিন।
তার ক্ষোভের কারণ জাতীয় দলের হয়ে তার ক্লাবের ক্রিকেটারা চলে যাওয়াতে নয়, দলে না থাকার পরও শুধু অনুশীলনের জন্য দুই ক্রিকেটার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন ও পেসার রেজাউর রহমানে রাজাকে দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে যাওয়াতে।
রবিবার (১৩ মার্চ) মিরপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখুন, সবাই জানত যে টেস্ট প্লেয়াররা যাবে, সেভাবেই সবাই দল গঠন করেছে। আমার কাছে মনে হয় দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দুটো প্লেয়ার যাদের নিয়ে গেছে তারা কিন্তু কোনো ফরম্যাটেই খেলবে না। এমনিতেই আমাদের ছয়জন ক্রিকেটার নেই। তারমধ্যে যদি আরও দুজন ক্রিকেটার চলে যায় তাহলে আমার জন্য দল দাঁড়ানো করাটা কঠিন।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে জাতীয় দলে আছেন তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, ইয়াসির আলী, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।
স্কোয়াডের বাইরে থাকার পরও শুধুমাত্র অনুশীলনের জন্য মিঠুন ও রাজাকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সহজে মেনে নিতে পারছেন না সালাহউদ্দিন। ৎ
তিনি বলেন, ‘তারা যদি খেলতে যেত তাহলে ব্যাপারটা ঠিক ছিল। কিন্তু তারা স্কোয়াডেও নেই, শুধু অনুশীলন করতে যাবে। অন্যদলের খেলোয়াড়রাও কিন্তু ছিল তাঁদের নেওয়া হয়নি। শুধু প্রাইম ব্যাংকের দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ভালো লাগেনি।’
মিঠুনে গত বছর জিম্বাবুয়ে সফরের পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে। হুট করে তাকে নেয়ার কোন কারণই খোঁজে পাচ্ছেন না সালাহউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি না। মিঠুন তো শেষ ৬-৭ মাসেও জাতীয় দলের আশেপাশে ছিল না। হঠাৎ করেই চলে গেছে। আমার জন্য কাজটা কঠিন।’
মিঠুন জাতীয় দলের বাইরে থাকার পরও তাকে নেওয়াতে যেমন সালাউদ্দিন অবাক হয়েছেন, তেমনি অবাক হয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখকে না নেওয়াতে। কারণ নাঈম শেখ নিউ জিল্যান্ড সফরে দলে ছিলেন। একটি টেস্টও খেলেছিলেন বাংলাদেশের শততম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে। এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি দলে তিনি নিয়মিত সদস্য। এটাকে আবার পক্ষপাতিত্ব হিসেবে দেখছেন না সালাহউদ্দিন। তবে মিঠুন ও রাজাকে নিয়ে যাওয়াতে তার ক্লাবের জন্য ক্ষতিকর বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘পক্ষপাতিত্বের কিছু নেই। এখানে নাঈম শেখও ছিল, সে যায়নি কিন্তু মিঠুন ও রাজাকে নিয়ে গেল। আমার কাছে মনে হয় এ ব্যাপারটা একটা দলের জন্য খুবই ক্ষতিকর।’
এমপি/এমএমএ/