সাইফউদ্দিনের ভাবনায় নেই জাতীয় দল!
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা একের পর এক খেলা নিয়ে ব্যস্ত। একটি পক্ষ ব্যস্ত ছিলেন রঙিণ পোষাকের ক্রিকেটে। সাদা পোষাকের ক্রিকেটাররা ব্যস্ত ছিলেন বাংলাদেশ টাইগার্সের অনুশীলনে। এখন সবাই মিলে দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়াল দেওয়ার অপেক্ষায়। ব্যস্ত ঘরোয়া সূচি। তখন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন কোথায়ও নেই। এক ইনজুরিই তাকে সব কিছু থেকে দূর সরিয়ে নিয়েছে।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই ক্রিকেটারের ‘শনি’ শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে পিঠের ইনজুরি তাকে ছিটকে ফেলে দেয়। এই ইনজুরির কারণে তিনি একে একে মিস করেন বিসিএল লঙ্গার ভার্সন ও একদিনের ম্যাচ। নিলামে নামই উঠেনি বিপিএলে। ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ হারান পাকিস্তানের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজও।
জাতীয় দল এখন দক্ষিণ আফ্রিকা উড়াল দেওয়ার অপেক্ষায়। সেথানে সাইফউদ্দিন ইনজুরিকে জয় করে ধীরে ধীরে নিজেকে মাঠে ফিরিয়ে আনছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট লিগে আবাহনীর হয়ে মাঠে নামার। জাতীয় দল নিয়ে তার এখন ভাবনা নেই। তার সমস্ত ভাবনা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে। সেই লক্ষে শুরু করেরছেন অনুশীলন।
সোমবার (৭ মার্চ) মিরপুরে অনুশীলন করেন। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আপাতত আমার লক্ষ্য প্রিমিয়ার লিগে ভালো খেলা। এখানে খেলে জাতীয় দলে যেতে হবে এমন কিছু ভাবিনি। যা হওয়ার হবে। ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করতে চাই। ডিপিএলের পর আয়ারল্যান্ড সফর ছিল, ওটা এখন স্থগিত হয়ে গেছে। আমি এখন জাতীয় দলে নেই। তাই জাতীয় দল নিয়ে ভাবনাও নেই। যখন ঢুকব তখন চিন্তা-ভাবনা করব।’
নিজের ইনজুরি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পেস বোলার যারা আছি, তুচ্ছ একটা ভুলের কারণে ইনজুরি হয়ে যেতে পারে। গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারব না। কাল আমার জীবনে কী হবে জানি না। এখানে কারও হাত নেই। কেউ জোর গলায় বলতে পারবে না আমার ইনজুরি হবে না। কারণ, আমি এভাবে অনেকগুলো তুচ্ছ ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি। রাজশাহীতে ফুটবল খেলার সময় খেলাচ্ছলে অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়ে গেলাম। এজন্য এখন দীর্ঘমেয়াদী কিছু ভাবতে পারি না। সময়ই সব কিছু বলে দিবে।’
সাইফউদ্দিন বলেন, ‘মানুষের জীবনে কখন কী ঘটে বলা মুশকিল। গত ৩-৪ মাস পিঠের চোট নিয়ে অনেক চিন্তিত ছিলাম। অনেক পুনর্বাসন করে আলহামদুলিল্লাহ ঠিক হয়েছি। ফেনী থেকে আসার আগে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটছিলাম অন্যমনস্ক হয়ে। কাঁধে একটু ব্যথা লাগে। আলহামদুলিল্লাহ এখন একটু ভালো।’
ইনুজরিতে পড়ার পর সাইফউদ্দিনকে বিসিবির পক্ষ থেকে চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ড পাঠানো হয়। কিন্তু কোচিং প্যানেল বা টিম ম্যানেজমেন্টের কেউ তার খোঁজ রাখেননি বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘গত সাড়ে ৫ মাস মাঠের বাইরে ছিলাম। জাতীয় দলের কোচিং ম্যানেজমেন্ট কেউই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’
এমপি/এমএমএ/