আজ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উরুগুয়ের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ব্রাজিল। ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামের বাইরে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ঘিরে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেস ভিনিসিয়ুসের হাতে একটি স্মারক তুলে দেন, আর পাশে ছিলেন তার বাবা ভিনিসিয়ুস সিনিয়র। এই মুহূর্তটি স্টেডিয়ামের বড় পর্দায়ও প্রদর্শিত হয়, যা দর্শকদের মধ্যে আরও কৌতুহল সৃষ্টি করে, বিশেষত স্মারকটি সম্পর্কে।
পরে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, ভিনিসিয়ুসের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছিল এবং এতে জানা যায়, রেয়াল মাদ্রিদে খেলা এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের অধিবাসী।
মূলত কৃষ্ণাঙ্গ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের শেকড় খুঁজে বের করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। খেলোয়াড়দের কার কোন বংশ, কোথায় ছিলেন পূর্বপুরুষরা, সেটা খুঁজে বের করাই ছিল এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য।
ভিনিসিউস ক্যামেরুনের টিকার গোত্রের অন্তর্গত। এই গোত্রের লোকেরা আঁকাআঁকিতে পারদর্শী, গল্পকার হিসেবেও সুপরিচিত। একসময় এরা যাযাবর জীবন যাপন করত, পরে বর্তমান সুদানের নীল নদ উপত্যকায় বসতি স্থাপন করে। যা স্থানান্তরিত হয়েছিল উত্তর নাইজেরিয়া থেকে পশ্চিম ক্যামেরুনের উচ্চভূমি পর্যন্ত।
সনদ নেয়ার সময় ভিনি বলেন, ক্যামেরুনে শেকড়ের সন্ধান পাওয়া আমার ও আমার পরিবারের জন্য বিশেষ মুহূর্ত। এটা মনে করিয়ে দেয় যে আমাদের শেকড় ও ইতিহাসের মূল্য আছে।
ভিনির বাবা বলেন, আমরা কোথায় থেকে এসেছি, এটা জানা প্রয়োজন ছিল। অনেক ব্রাজিলিয়ান তাদের শেকড় কিংবা ঐতিহ্য সম্পর্কে জানে না। ক্যামেরুনে আমাদের শেকড়, আমি অনেক খুশি।
সিবিএফ সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেস বলেছেন, ভিনি জুনিয়রের এই সংবাদকে উদ্যাপন করা মানে সব ব্রাজিলিয়ানের অর্জনকে উদ্যাপন। ওর পূর্বপুরুষের আদিনিবাসের খোঁজ পাওয়ার মাধ্যমে আমরা আরেকবার সবাইকে নিয়ে সমাজ গড়ার প্রতি আমাদের আগ্রহ এবং আমাদের অস্তিত্বে ও বৈশ্বিক সাফল্যে আফ্রো-ব্রাজিলিয়ান সংস্কৃতির মৌলিক ভূমিকার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জানালাম।