মোবাইল সিম বিক্রির প্রতারক, কী করবেন?
ফেসবুকে একজন নারী গ্রামীনফোনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে একাউন্ট খুলেছেন। লিংক (https://www.facebook.com/profile.php?id=100085096267555)।
তিনি তার প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন-সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জিপি হাউজে একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে গ্রামীণফোনের পুরনো নম্বরের কিছু সিম ২৫০০/২০০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
আমার ছোট ভাই ফেসবুকে নম্বরগুলো দেখে একটি নম্বর পছন্দ করে আমাকে বলল, ভাইয়া একটু মেসেঞ্জারে নক করে একটা সিম আনার ব্যবস্থা করো।
ব্যস্ততার কারণে আমি যাচাই না করেই ২৩০০ টাকা বিকাশ করলাম। তিনি আমার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর নিলেন এবং মেসেজ দিয়ে জানালেন, কুরিয়ার করে দিয়েছেন। আগামীকাল সকালে সিম পেয়ে যাবেন।
এর কিছু সময় পরই আবার মেসেজ দিয়ে বললেন, তার খুব সমস্যা। ১২০০ টাকা লোন প্রয়োজন। তখনই খটকা লাগল। গ্রামীণফোনে চাকরি করেন, তাহলে ১২০০ টাকা কেন লোন লাগবে?
এবার সেই কথিত গ্রামীণফোনের নারী কর্মকর্তার ফেসবুকে ঢুকতে যেয়ে দেখি যে, আমাকে ব্লক করে দিয়েছে। বুঝতে পারলাম, পুরাটাই প্রতারণা। তবে তার আইডি এখনো সচল আছে।
এরপর বিকাশের হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স মেজর মনিরুল ইসলামের (অব) সাথে যোগাযোগ করলাম এবং পুরো বিষয়টি জানালাম। উনি আমার কাছে কোন নাম্বারে বিকাশ করা হয়েছে সেই নম্বরটি জানতে চাইলেন।
আমি তাকে টেক্সট করে জানালাম, ০১৩০৮৩৫৩৪৩৮ নম্বরে ২৩০০ টাকা বিকাশ করা হয়। উল্লেখ্য, তার ব্যবহারের অফিসিয়াল নম্বর ০১৭৬০২৫০৪০৬ বলা হয়েছিল।
জনাব মনির কিছুক্ষণ পরে আমাকে নিশ্চিত করলেন যে, এই টাকা যখন ০১৩০৮৩৫৩৪৩৮ নম্বরে ক্যাশ ইন হয়েছে, তার এক ঘণ্টার মধ্যেই নরসিংদীর এক এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট করে ফেলেছে। আর আমার অবজেকশনের কারণে তারা সেই বিকাশ নম্বরটি ব্লক করে দিয়েছে।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি আরও জানালেন যে, এইসব ক্ষেত্রে যদি জিডি করা হয়, তাহলে ৪২০ ধারায় মামলা হয়। আর প্রতারকদের ধরার পরে তারা দু-একদিন জেল খেটে বেরিয়ে আসে। এর বেশি কিছু হয় না।
মোবাইলের সিম বিক্রির ক্ষেত্রেও প্রতারণা, কী করবেন এখন?
এমএমএ/