বন্দুক দিয়ে পাখি শিকার, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়ার বিরুদ্ধে বন্দুক দিয়ে পাখি শিকারের অভিযোগে থানায় জিডি দিয়েছে বন বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বানিয়াচং থানায় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ বন কর্মকর্তা (আঃ) তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী অভিযোগ করেন।
তিনি জানান, বন্দুক দিয়ে পাখি শিকার ও পাচারজনিত কারণে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমে বানিয়াচংয়ের উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া চেয়ারম্যানের বন্দুক দিয়ে পাখি শিকারের ছবি ও খবর প্রকাশিত হয়।
যা থেকে জানা যায় তিনি স্থানীয় লক্ষীবাউড় ও এর আশপাশের এলাকায় নিজে বন্দুক নিয়ে পাখি শিকারে লিপ্ত। স্থানীয় জনসাধারণ বাধা দিলেও তিনি কোন প্রকার কর্ণপাত না করিয়া বিভিন্ন সময়ে পাখি শিকার করিতেছেন। পাখি শিকার ও পাচার করা বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এ দন্ডনীয় অপরাধ।
তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী আরো জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। ইউপি হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়াসহ নাম না জানা আরও কয়েকজন পাখি শিকার ও পাচার কাজে জড়িত আছেন বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি একজন নিয়মিত পাখি শিকারী। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ার কারো বাঁধা না মেনে তিনি প্রতিনিয়ত পাখি শিকার করছেন।
বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের পক্ষ থেকে জিডি দেয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হবে। বন্দুক দিয়ে পাখি শিকারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া। তিনি বলেন, বন্দুক দিয়ে পাখি শিকারের যে ছবিটি ছড়ানো হয়েছে সেটি আমার না। অস্পষ্ট একটি ছবি দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে আমার বিরোধীপক্ষ।
এএজেড