সিলেটে কর্মীদের পায়ের নিচে জিয়া-তারেক!
সিলেটে সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের পায়ের নিচে তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। বেলা প্রায় পৌণে একটার দিকে মঞ্চের অগ্রভাগে এমন দৃশ্য দেখা গেলেও তদারকির দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকরা বিষয়টি খুব আমলে নেন নি। তবে উপস্থিত থাকা বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন।
সমাবেশ চলাকালে এক সমর্থক তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ডে পা দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এছাড়া অন্য প্ল্যাকার্ডগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল মিডিয়া মঞ্চের পাশেই। সম্মেলন মাঠে স্বেচ্ছাসেবক দল শৃঙ্খলার ভূমিকায় থাকলেও এ বিষয়ে কাউকে যত্নশীল হতে দেখা যায়নি। তখন মঞ্চে বক্তৃতা করছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আবুল কাহের শামীম।
সরেজমিন দেখা যায়, মাঠের বিভিন্ন স্থানে এভাবে দলের কর্ণধারদের পোস্টার প্ল্যাকার্ড ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যেগুলোতে পা মাড়িয়ে যাচ্ছেন কর্মীরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখছিলেন। শনিবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা ময়দানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় এই গণসমাবেশ।
সমাবেশ মঞ্চের ঠিক মাঝখানে চেয়ার ফাঁকা চেয়ার রেখে চেয়ারে খালেদার একটি ছবি রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়ার চেয়ারের ডানের চেয়ারে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের চেয়ার রাখা হয়েছে। আর বামে রাখা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চেয়ার।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদকে বিলুপ্ত, সরকারের পদত্যাগ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোসহ বিভিন্ন দাবিতে এসব বিভাগীয় গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল ও ফরিদপুর বিভাগে গণসমাবেশ করেছে দলটি। আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী ও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় এ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
এএজেড