সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ | ১০ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

কুড়িগ্রামে আলোচিত গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, বিচার না পেয়ে লজ্জায় স্বামী-স্ত্রীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা এবং স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম প্রধান পলাতক আসামি মো. সোলায়মান (২৯) কে যৌথ অভিযানে ১৫ জুন শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১, সিপিএসসি, গাজীপুর এবং র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর।

 

সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এর আগে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে রাজিবপুর পুলিশ। গত শনিবার (১ জুন) দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে বিষপানে নারীর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রধান আসামি মো. জয়নাল আবেদীন (৪৮) ও আরেক আসামি মো. আলম হোসেন (৪০)। গত ৩১ মে ২০২৪ শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী নারীর মামা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাজিবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে জয়নাল আবেদীন, মো. আলম হোসেন, শুক্কুর আলী (৫০) ও মো. সোলেমানকে (২৯) আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামির স্বীকারোক্তি, ধরাছোঁয়ার বাইরে পলাতকরা

র‌্যাব জানায়, আমরা বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বসহকারে দেখেছি। র‌্যাবের যৌথ অভিযানে পলাতক আসামি মো. সোলায়মান (২৯) গ্রেপ্তার হয়েছে। এছাড়াও পলাতক আসামি শুক্কুর আলীকে (৫০) ধরতে তৎপর রয়েছে র‌্যাব।

 

র‍্যাব-১৪ প্রেস বিপিং। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়াও আজ ১৬ জুন ২০২৪ রবিবার সকাল ১১ টায় ঘটিকায় রাজিবপুর উপজেলা সম্মুখ সড়কে রাজিবপুর উপজেলার আশা মনীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ ও তার আত্মহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজিবপুরের সর্বস্তরের জনগণ।

 

জোরপূর্বক গণধর্ষণ ও তার আত্মহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

উল্লেখ্য, ভিকটিম আশামনি (২৫) কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর থানাধীন বড়াইডাঙ্গী কলেজপাড়া গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলম এর স্ত্রী গত ২৪ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকাল ৫টার দিকে ভিকটিম আশামনি ও তার স্বামী বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

আরও পড়ুন: গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ লজ্জায় স্বামী স্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টায় স্ত্রীর মৃত্যু

পরবর্তীতে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য চর রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে জামালপুর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় ভিকটিমকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং এই অবস্থায় গত ২৯ মে ২০২৪ তারিখ দুপুরে মৃত্যুবরণ করে। ফলে ভিকটিমের মামা মোঃ আকবর আলী(৫০) চর রাজিবপুর থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে অফিসার-ইনচার্জ, চর রাজিবপুর থানার অপমৃত্যু মামলা নং-০৬, তারিখ- ৩০ মে ২০২৪ ইং একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেন ।

পরবর্তীতে চাঞ্চল্যকর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিকটিমের মৃত্যুর মূল রহস্য প্রকাশ্য আসলে র‍্যাব এবং সাংবাদিক মহলের সহযোগিতায় পুনরায় ভিকটিমের মামা মো. আকবর আলী (৫০) চর রাজিবপুর থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে অফিসার-ইনচার্জ, চর রাজিবপুর থানার মামলা নং-০১, তারিখ ০১ জুন ২০২৪ ইং, ধারা-২০০০ সালের নাঃ ও শিঃ নিঃ দমন আইন (সংশোঃ/০৩) এর ৯(১), ৯(৩) তৎসহ ৩০৬ পেনাল কোড-১৮৬০, গণধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা রুজু করেন।

পাশবিক নির্যাতনের শিকার আশামনি (২৫) এর মৃত্যুর পর গোপন অভিও রেকর্ড ভাইরাল হওয়ার ফলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় । অতঃপর জানা য়ায যে, জয়নাল ও তার সহযোগীরা মাসের পর মাস ভিকটিমের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে নির্যাতন করেছে।

ভিকটিমের স্বামী মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রায় ৮-১০ বছর পূর্বে আসামি মো. শুক্কুর আলীর কসাইখানায় কর্মচারী ছিল। সাংসারিক অভাব-অনটনের কারণে আসামি মো. জয়নাল আবেদীনের নিকট হতে ৪০,০০০/- টাকা ধার নেয় জাহাঙ্গীর-আশামনি দম্পতি। উক্ত টাকা নেওয়ার পর কসাইখানার কাজ ছেড়ে ভিকটিমের স্বামী মো. জাহাঙ্গীর আলম টাঙ্গাইল জেলায় কসাইখানায় কাজ নেন।

পরবর্তীতে ধারের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আসামি মো. জয়নাল আবেদীন ভিকটিমকে অবৈধ সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিমের স্বামী এলাকায় না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ০২ মাস পূর্বে আসামি মো. জয়নাল দুপুরে ভিকটিমের বসত ভিটায় প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।

 

নিহত গৃহবধু এবং তার স্বামী। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

উক্ত ঘটনার কিছুদিন পর ০১ নং আসামি মো. জয়নাল, ০২ নং আসামি মো. শুক্কুর আলীকে নিয়ে ভিকটিমের বাড়িতে এসে দুইজনই পুনরায় পাশবিক নির্যাতন করে। পরবর্তীতে তারা দুইজন আবারও পাওনা টাকার বাহানায় ০৩ নং আসামি আলম ও ০৪ নং সোলায়মানকে (কসাই জয়নালের কর্মচারী) সাথে নিয়ে বাড়িতে এসে সংঘবদ্ধভাবে গণধর্ষণ করে। অতঃপর আসামি মো. সোলায়মান (২৯) গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। বিবাদীগণের পালাক্রমে নির্যাতনের ফলে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং উক্ত সংবাদ শুনে তার স্বামী মো. জাহাঙ্গীর আলম টাঙ্গাইল হতে বাড়ি আসে। স্বামী জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রীর পালাক্রমে ধর্ষণের কথা লোকমুখে শুনে স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে, ভিকটিম দুইমাসের বেশি সময় যাবৎ পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে জানায়।

পরবর্তীতে সালিশের মাধ্যমে বিচার না পেয়ে গত ২৪ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকালে স্বামী-স্ত্রী লোক-লজ্জার ভয়ে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বিষ পান করে। উক্ত বিষক্রিয়ায় ভিকটিম মৃত্যুবরণ করেন এবং স্বামী অসুস্থ অবস্থায় জীবন অতিবাহিত করছেন।

Header Ad

১০ মাসে ১৩০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে বিদেশিরা: সংসদে অর্থমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা তাদের আয় থেকে ১৩০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

অর্থমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ৫৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকগুলোর এই পরিমাণ টাকা পাওনা আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ১৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা পাওনা আছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেনের (বিএডিসি) কাছে। এছাড়া বড় অঙ্কের টাকার মধ্যে চিনিকলগুলোর কাছে পাওনা প্রায় ৭ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা, সার, রাসায়নিক ও ওষুধ শিল্পের কাছে পাওনা ৭ হাজার ২৫০ কোটি টাকা, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কাছে পাওনা ৫ হাজার ১৮ কোটি টাকা, বাংলাদেশ বিমানের কাছে পাওনা ৪ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।
এদিকে, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল র্পযন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা তাদের আয় হতে ১৩০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন (১৩ কোটি ৫৮ লাখ) মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে আজ জাতীয় সংসদে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বছরে আয় সংশ্লিষ্ট তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই। গত ১০ মাসে বাংলাদেশে বসবাসকারি বিদেশি নাগরিকগণ তাদের আয় হতে ১৩০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫০.৬০ মিলিয়ন ডলার গেছে ভারতে। এছাড়া চীনে ১৪.৫৬ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কায় ১২.৭১ মিলিয়ন ডলার, জাপানে ৬.৮৯ মিলিয়ন ডলার, কোরিয়ায় ৬.২১ মিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ডে ৫.৩০ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্যে ৩.৫৯ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানে ৩.২৪ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্রে ৩.১৭ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়ায় ২.৪০ মিলিয়ন ডলার ও অন্যান্য দেশে গেছে ২১.৯২ মিলিয়ন ডলার গেছে।

চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো ব্যাংকেই আর্থিক সংকট নেই। তবে কতিপয় ব্যাংকে উচ্চ খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি ও তারল্য সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে। এ সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন করে কর্মকর্তা ৯টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং সাতটি ব্যাংকে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতির চলমান সংকটের মূলে যে কারণগুলো রয়েছে তা হলো- বৈশ্বিক পণ্য বাজারে সরবরাহে অনিশ্চয়তা, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি।

অর্থনৈতিক এ সংকট কাটিয়ে দ্রবমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত হ্রাস পাওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হওয়ায় মানুষ আমানত তুলে বিনিয়োগ করছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাহীনতা বা মূল্যস্ফিতির কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত কমছে না।

প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন বলেই খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন : আইনমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন বলেই তিনি সুস্থ আছেন।

আজ সোমবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আনিসুল হক বলেন, আমি এইটুকু বলব যে, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার যেই চিকিৎসা প্রয়োজন, তিনি সেটা পাচ্ছেন বলেই কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ আছেন। তার যেসব অসুখ আছে, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটা আছে যেগুলো সারার মতো না এবং সেটাকে ট্রিটমেন্ট করে কমিয়ে রাখতে হবে। সেটা করা হচ্ছে।

গতকাল বিকেল ৪টার দিকে তার পেসমেকার লাগানো হয়েছে এবং সেই পেসমেকারে তিনি এখন যথেষ্ট সুস্থ আছেন বলে আমি খবর পেয়েছি বলে জানান আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, যখন এখানকার চিকিৎসকরা মনে করেছিলেন বাইরে থেকে চিকিৎসক এনে তার কিছু চিকিৎসা করতে হবে, তখন সরকার কিন্তু সেই অনুমতি দিতে কার্পণ্য করেনি। আমি তখনো সঙ্গে সঙ্গে অনুমতি দিয়েছি। যারা এই কথা বলছেন যে আমার জন্য চিকিৎসা পাচ্ছেন না, তারা নিজেকে হাস্যকর করছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, উনাদের এখন ভারসাম্য সঠিক আছে কি না, সেটা একটু দেখতে হবে। এই ভারসাম্য ঠিক নাই বলেই তারা এসব কথা বলছে। আমার প্রতি তারা যদি প্রেস কনফারেন্স করে তাদের রাগ, উষ্মা প্রকাশ করতে চায়, বাংলাদেশে স্বাধীনতা আছে সবকিছুর, সেটা তারা করতে পারবে। কিন্তু আমি আশা করব তারা সত্য কথা বলবেন। আমি আশা করব তারা ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না।

রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যের মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিম রেলওয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে পালন করেন পুলিশের সাথে আনসার সদস্যরা। এসব নিরাপত্তাবাহিনীর কারণে কোনো যাত্রী প্লাটফর্মে ধূমপান করলে তাদের হেনস্তা করা হয়। এমনকি তাদের ধরে জরিমানা পর্যন্ত করার রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু এসব নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে অধিকাংশই মাদকাসক্ত।

এরই মধ্যে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যের বিরুদ্ধে রেলের এক দপ্তরে বসে মাদক সেবনের অভিযোগ উঠছে। সম্প্রতি এমনই বেশ কয়েকটি ভিডিও গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে এসে পৌঁছেছে।

মাদকসেবনের অভিযুক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হলেন, সিপাহী সাদ্দাম হোসেন ও শাহিনুর রহমান । তারা দুজনেই রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে আরএনবি শাখার নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

তাদের মাদক সেবনের বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, (আরএনবি) ওই দুই নিরাপত্তা কর্মী রেলওয়ে ভবনের একটি দপ্তরে বসে ইয়াবা সেবন করছে। প্রথম একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা কাগজের ওপর মেঝেতে সারিবদ্ধভাবে বেশ কয়েকটি ইয়াবা সেবনের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে ।

এর কিছু দূরে নিরাপত্তা কর্মী সাদ্দাম হোসেন ইয়াবা সেবন করছে। পাশের আরেকটি চেয়ারে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন সিপাহী শাহিনুর রহমান। এরপর তার কথা বলা শেষ হলে দুজনই একসাথে মাদকআড্ডায় মেতে ওঠে।

বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তাদের এমন মাদকসেবনের কর্মকাণ্ড। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (আরএনবি) নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য জানান, সাদ্দাম ও শাহিনুর তারা নিয়মিত মাদক সেবনের সাথে জড়িত। প্রায় সময়ই তারা রেলওয়ের ভবনের বিভিন্ন (রুমে) রাতে মাদকের আড্ডা বসায়। এতে যোগ দেয় অনন্য বহিরাগতরাও। তাদের এমন কর্মকাণ্ড চললেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না বলে অভিযোগ তাদের।

ভিডিও সত্যতা জানতে (আরএনবি)’র নিরাপত্তা কর্মী অভিযুক্ত (সিপাহী) শাহিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন এবং প্রতিবেদককে ম্যানেজের চেষ্টা চালান।

অপর অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে মুঠোফোনে কল দেয়া হলে , তিনি তার ফোনটি বন্ধ করে দেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল (আরএনবি) শাখা চিফ কমান্ডার আসহাবুল ইসলাম জানান, যদি এমন ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সাসপেন্ড করা হবে। এমন কর্মকাণ্ডে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা ।

সর্বশেষ সংবাদ

১০ মাসে ১৩০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে বিদেশিরা: সংসদে অর্থমন্ত্রী
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন বলেই খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন : আইনমন্ত্রী
রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যের মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল
তামিলনাড়ুতে বিষাক্ত মদপানে মৃত বেড়ে ৫৬
আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন
কৃষক বেঁচে থাকলে দেশে খাদ্যের অভাব হবেনা: খাদ্যমন্ত্রী
তদন্তের আগে কাউকে দুর্নীতিবাজ বলা যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের অর্ধকোটি মানুষ অনলাইন জুয়ায় জড়িত: পলক
বাংলাদেশকে ৪ বছরে ২০.৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
১২তম সন্তানের বাবা হলেন ইলন মাস্ক
যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেও হামাসের সঙ্গে লড়াই চলবে: নেতানিয়াহু
ঈদযাত্রায় ১৩ দিনে সড়কে ঝরেছে ২৬২ প্রাণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরল সেনা সদস্যের প্রাণ
বিদেশ যাওয়ার পর মতিউর ও তার স্ত্রী-ছেলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা!
নতুন প্রজন্মই স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী
রাশিয়ার দাগেস্তানে বন্দুকধারীর হামলায় ১৫ পুলিশ, যাজকসহ নিহত ২২
সারদা পুলিশ একাডেমিতে ১৬টি রাসেলস ভাইপার উদ্ধার
২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৩ কোটি টাকা টোল আদায়
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা
‘ছাগলকাণ্ডে’ এবার দেশ ছাড়লেন মতিউর রহমান