গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কোচাশহর শাখায় ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (২৮ মে) ভোরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রবিবার ভোরে কয়েকজন ডাকাত ব্যাংকের গেটের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত নৈশপ্রহরীকে বেঁধে ফেলে। এরপর ভোল্টের তালা খুলে সেখানে থাকা প্রায় ১৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
ব্যাংক ম্যানেজার জেসমিন আক্তার বলেন, প্রতিদিনের মতো ভোল্ট বন্ধ করে বাড়ি যাই। সকালে ব্যাংকে ঝাডুদার এসে নৈশপ্রহরীকে ফোন দেয়। ফোন না ধরায় সে আমাকে ফোন দেয়। আমি দ্রুত এখানে এসে এই অবস্থা দেখতে পাই।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দিন জানান, ব্যাংকের সব তালা স্বাভাবিকভাবেই খুলে তারা টাকা নিয়ে যায়। এজন্য বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।
এবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইবি প্রশাসনের মামলা। ছবি: সংগৃহীত
পরীক্ষা দিতে এসে আটক হওয়া ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান এ মামলা করেন।
গতকাল সোমবার পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ইবি শাখার সহ-সভাপতি মামুন অর রশিদ। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রক্টরিয়াল বডি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে ইবি থানায় সোপর্দ করে। তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে জুলাই আন্দোলনের বিরোধীতা ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়া এবং আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
এরআগে গত ৩০ অক্টোবর কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আহত আরমান মীর সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় করা মামলায় ১৮ নম্বর আসামি মামুন অর রশিদ। গত ৩১ ডিসেম্বর ওই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর পরবর্তীতে ৭ জানুয়ারি সে জামিন পায়।
‘ভুল ইংরেজি’ বলে ঢাকা মেডিকেলে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) আবারও এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া এক নারীকে আটক করা হয়। তাঁর নাম ডালিয়া (৩২)।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ভবনের তৃতীয় তলায় আরমান নামের এক যুবককে আত্মীয় বানিয়ে চিকিৎসা দিতে নিয়ে এসে ধরা পড়েন ডালিয়া। পরে বার্ন ইউনিটের প্রথমে আনসার সদস্যরা আটক করে। পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা যুবক আরমান জানান, তার বাসা কেরানীগঞ্জে। গত এক বছর আগে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে পায়ে আঘাত পান। এরপর গত এক বছর ধরে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছে ডা. সালমা আমানের কাছে। তখন থেকেই ডালিয়া আমাদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ করত এবং হাসপাতালেও আসত। সে আমাদের দুসম্পর্কের আত্মীয়। সে নিজে আমাদের কাছেও ডা. পরিচয় দেয়। আজকে জানলাম সে ডাক্তার না।
তিনি আরও বলেন, আজ সকালে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য বার্ন ইউনিটে আসি। সাথে ডালিয়াও ছিল। তার চিকিৎসার বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে কথপোকথনের সময় ভুলভাল ইংরেজি বলছিল ডালিয়া। তখন কর্তব্যরত ওই চিকিৎসকই তাকে ভুয়া চিকিৎসক বলে শনাক্ত করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, এপ্রোন পড়া ও গলায় স্টেথোস্কোপ লাগানো এক তরুণীকে আটক করা হয়েছে। সে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিলেও আটক হওয়ার পর কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। তার কাছ থেকে কোন ধরনের তথ্য বের করা সম্ভব হয়নি। তবে তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে সে প্রফেশনাল প্রতারক। তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আইনুযায়ী তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ ভুয়া চিকিৎসক পরিচয় দানকারী ডালিয়া নামে এক ভুয়া চিকিৎসক আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। পরে আমরা তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেছি। শাহবাগ থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করবে।
এর আগে, গত বছরের ১৭ নভেম্বর হাসপাতালটি থেকে আটক হয় পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা নামে এক ভুয়া নারী চিকিৎসক। আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আটক হয় আরেক প্রতারক ও ভুয়া চিকিৎসক টিকটকার মুনিয়া খান রোজা।
কলকাতার খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিত মুখার্জী এবং অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। চার বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন সৃজিত ও মিথিলা। বিয়ের পর একমাত্র মেয়ে আইরাকে নিয়ে কলকাতায় বসবাস শুরু করেন মিথিলা।
তবে বর্তমানে তাঁদের সম্পর্ক অনেকটাই শীতল। মিথিলা কলকাতায় কম আসেন এবং সৃজিতের সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকেন না—এমনটাই শোনা যাচ্ছে। ফলে তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যায়, অনেকেই তাদের বিচ্ছেদের কথা বলছেন। যদিও তারা এসব গুঞ্জনকে খারিজ করেছেন, কিন্তু সৃজিতের সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে যেন নতুন করে সেই সম্পর্ক নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
সেই পোস্টে সৃজিত অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীকে নিয়ে একটি ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে ঋতাভরী সৃজিতের বুকে মাথা রেখে রয়েছেন এবং সৃজিত তার সঙ্গে সেলফি তুলছেন। এটি দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন সৃজিত প্রাক্তন প্রেমিকাকে নিয়ে এমন একটি পোস্ট করলেন।
ঋতাভরীর সঙ্গে সৃজিতের সম্পর্ক নিয়ে এক সময় টালিউডে বেশ গুঞ্জন উঠেছিল, যদিও তাদের সম্পর্ক নিয়ে কখনো কিছু স্পষ্ট বলা হয়নি। সৃজিতের এই পোস্টে এমন একটি ইঙ্গিতপূর্ণ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে, যা অনেকেই তার এবং ঋতাভরীর সম্পর্কের নতুন রূপ হিসেবে দেখছেন। এমনকি, ঋতাভরীর জন্মদিনের পার্টিতেও সৃজিত উপস্থিত ছিলেন এবং দুজনের মাঝে খোলামেলা স্নেহের সম্পর্ক দেখা গেছে।
পোস্টের ক্যাপশনে সৃজিত লেখেন, "জমাখরচ হিসেব-নিকেশ, কোথায় শুরু, কোথায় বা শেষ, কেমন আছো? অনেক বছর পেরিয়ে এলাম, হঠাৎ তোমার দেখা পেলাম, কেমন আছো?" এই সাহিত্যিক ভাষায় লেখা ক্যাপশনটি যেন সম্পর্কের হিসাব-নিকাশের ইঙ্গিত দেয়, যা একসঙ্গে অনেক প্রশ্নও তৈরি করেছে। সৃজিত এবং ঋতাভরীর এই ছবি ও ক্যাপশন নিয়ে তার ভক্তরা নানা অনুমান করতে শুরু করেছেন, যদিও সৃজিত নিজে এই ব্যাপারে কিছুই স্পষ্ট করেননি।
এদিকে, সৃজিত ও মিথিলার সম্পর্কের বিষয়ে নানা ধরনের মন্তব্য উঠে আসছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও তাদের মধ্যে কোনো শর্তসাপেক্ষ বিচ্ছেদ হয়নি, তবে তাদের অনুরাগীরা এখনও তাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। সৃজিতের এই পোস্টের মাধ্যমে কি আবার নতুন কোনও সম্পর্কের সূচনা হতে যাচ্ছে, নাকি পুরনো সম্পর্কের কোনও বিশেষ মুহূর্তের স্মৃতি শেয়ার করা হচ্ছে—তা নিয়ে চলতে থাকা আলোচনা এবং অনুমানকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।
যদিও এখনো স্পষ্ট নয় সৃজিত ও ঋতাভরীর সম্পর্কের পরিস্থিতি, তবে সৃজিতের ইনস্টাগ্রাম পোস্টটি বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে এবং তার ভক্তদের মধ্যে নতুন জল্পনা তৈরি করেছে।