গাইবান্ধায় চাঞ্চল্যকর শিশু বাইজিদ হত্যার রহস্য উদঘাটন
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু আব্দুল্লাহ ওরফে বাইজিদ (৪) হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে দুইজনকে রিমান্ডে নিলে এই হত্যার স্বীকারোক্তি দেয় হত্যাকারীরা।
মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার কামাল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা (বালুখোলা) গ্রামের তাহারুল ইসলাম ও রাহেনা বেগম দম্পতির ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে বাইজিদ গত ৮ মে বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে খেলারত অবস্থায় নিখোঁজ হয়। এরপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেও বাড়িতে না ফেরায় ৯ মে শিশুর মা রাহেনা বেগম পলাশবাড়ী থানায় জিডি করেন। পরবর্তীতে ১০ মে রাহেনা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিন একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম শেরেকুলের ছেলে সাকিব হাসান রোমান (১৯) ও সোহরাফ হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২০) কে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাইজিদকে হত্যা করা হয়েছে-এ মর্মে তথ্য প্রদান করে। এরপর গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ আবেদন করে।
এদিকে ১৩ মে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আসামি রোমানের বাড়ির পূর্ব পাশে ধানক্ষেত থেকে আব্দুল্লাহ বাইজিদের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন (১৪ মে) বিজ্ঞ আদালত রোমান ও শরিফুলের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ডে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সাকিব হাসান রোমান এই হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
অপরদিকে এ ঘটনায় খোরশেদ আলম (২১) আশাদুজ্জামান রনি (১৯), ছকিনা বেগম (৬০), ববিতা বেগম (৪৫), মনিরা বেগম (২২), রোস্তম আলী মন্ডল (১৪) ও সোহাগ মন্ডল (১৬) সহ এই মামলায় মোট ৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইবনে মিজান, পলাশবাড়ীর ওসি মাসুদ রানা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক নুর-ই আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।
এসআইএইচ