গোবিন্দগঞ্জের করতোয়া নদী এখন পানি শূন্য
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের করতোয়া নদী পানি শূন্য হয়ে পড়ায় হেঁটেই পারাপার হচ্ছেন এলাকবাসী। আবার কোথাও কোথাও গবাদী পশুর চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদীর বুক জুড়ে শুধুই বালুচর। প্রমত্তা করতোয়ার এই দুরাবস্থায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকসহ নদীর উপর নির্ভলশীল মানুষেরা।
জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের বালুপাড়া দিয়ে করতোয়া নদী প্রবেশ করে এই উপজেলায়। এরপর সোজা পূর্ব দিকে চলে গেছে নদীটি। পরে গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী ব্রিজের পূর্ব পাশ দিয়ে গোবিন্দগঞ্জের সীমানা অতিক্রম করে। এই দীর্ঘ পথ অতিক্রমকালে সৃষ্টি করেছে নানা শহর, বন্দর ও গঞ্জ। এক সময় এই নদীতে চলাচল করতো বড় বড় বজরা নৌকা। কালের আবর্তে সব বন্ধ হয়ে গেছে। এখন নদীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে। নদীতে পানি না থাকায় দুই পারের মানুষ হেঁটেই চলাচল করছেন। আবার অনেকেই পার হন মোটরসাইকেল অথবা অন্য কোনো যানবাহনে চড়ে। নদীর বুকেই চাষ হচ্ছে ধানসহ নানা ধরনের ফসল। কোথাও কোথাও গরু-ছাগলের গো-চারণ ভূমিতেও পরিণত হয়েছে।
এর আগে কাটাবাড়ী, দরবস্ত, সাপমারা রাখালবুরুজ, হরিরামপুর, তালুককানুপুর ইউনিয়নের বেশীর ভাগ জমির ফসলে সেচ হিসেবে ব্যবহার হতো এই নদীর পানি। এখন সেই অবস্থা কালের আবর্তে আর আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে।
দরবস্ত ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মিলন বলেন, আগে নদীর পানিতে গোসল করতাম, গরু-বাছুরকে গোসল করাতাম এখন সেই অবস্থা শুধুমাত্র স্মৃতি।
তিনি আরও বলেন, নদীতে পলি মাটি জমা পড়ায় এবং নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। যে জন্য শুস্ক মৌসুমে আর পানি পাওয়া যায় না।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পে নদীর নাব্যতা ফেরাতে করতোয়া নদীর পূর্ব পার্শ্বে বাঙ্গালী নদী খনন কাজ শুরু করেছেন। পর্যাক্রমে পশ্চিম এলাকাতেই নদী খনন শুরু হবে।
এসআইএইচ