ঠাকুরগাঁওয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির অভিযোগ
রমজান ও ঈদুল ফিতরকে ঘিরে ঠাকুরগাঁওয়ের সেমাই ও মুড়ি তৈরির কারখানাগুলো ব্যস্ত সময় পার করছে। মিল কারখানায় দিন-রাত শ্রম দিয়ে বাড়তি আয়ের সুযোগ পেয়েছেন শ্রমিকরা। লাভবান হচ্ছেন মালিকরাও। তবে ব্যস্ততার এমন সুযোগ কাজে লাগিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হামিদ বেকারিসহ কিছু কিছু কারখানায় নোঙরা তেলে সেমাই ভাজছেন। যা সামান্য বিষয় বলে মনে উড়িয়ে দেন সংশ্লিষ্টরা।
ঈদকে সামনে রেখে বাজারের চাহিদা পূরণে প্রতিদিনিই সেমাই কারখানাগুলোতে তেলে ভাজা নানা রকমের সুস্বাদু সেমাই তৈরিতে একযোগে কাজ করছেন পুরুষ ও নারী শ্রমিকরা। এসব কারখানায় ব্যতিক্রম নানা আইটেমের লাচ্ছা সেমাই তৈরি করায় চাহিদাও বেড়েছে প্রচুর। বিএসটিআই অনুমোদনের পাশাপাশি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়েও অন্যান্য কারখানার তুলনায় ভাল বলে দাবি স্থানীয়দের। ঈদ বাজার ধরতে জেলার প্রতিটি সেমাই কারখানাই এখন সরগরম।
পুরুষদের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও সমান তালে কারখানায় সেমাই তৈরি ও প্যাকেটিংসহ বাজারজাতে প্রস্তুত করছেন। সেমাই কারখানাগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলছে মুড়ি কারখানাগুলোও। মুড়ি ভাজার কাজে ব্যস্ত প্রশিক্ষিত শ্রমিকরাও।
সেমাই কারিগররা বলনে, ঈদে চাহিদা বেশি থাকায় তাদের ব্যস্ততাও বেশি। ব্যস্ততা থাকলেও তারা সেমাই তৈরিসহ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাজারজাতকরণের জন্য প্যাকেটজাত করছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, করোনার কারণে ব্যবসায়ে ক্ষতি হয়েছে তাদের। এবার সুযোগ থাকলেও আটা-ময়দার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা উৎপাদন কমিয়েছেন।
এদিকে হামিদ বেকারির মতো প্রতিষ্ঠিত কারখানায় নোঙরা পরিবেশে সেমাই তৈরির বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন ভোক্তারা। অথচ নিঃসন্দেহে তাদের সেমাই সবচেয়ে বেশি ক্রয় করে থাকেন ভোক্তারা।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির কথা স্বীকার করে হামিদ বেকারির কর্মচারীরা জানান, কারখানা চালাতে গেলে এমন থাকবেই। চেস্টা করছি ভালভাবে উৎপাদন করতে।
অন্যদিকে ডেইলি ফ্রেশ বেকারির প্রোপাইটর আশরাফুজ্জামান জানান, আমরা ভালো মানটিই ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে চাই। এ কারণে কারখানার পরিবেশ থেকে শুরু করে উৎপাদন ও মোরকজাত পর্যন্ত স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করি। বর্তমানে রং-বেরংয়ের বিভিন্ন রকম লাচ্ছাসহ এবার চকলেট লাচ্ছা তৈরি করছি আমরা। আমাদের সেমাইয়ের মান ভালো বলেই দূর-দূরান্তের পাইকাররা ছুটে আসছেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। নোঙরা পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনে অবশ্যই তাদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআইএইচ