রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

রত্নাই নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণে সুফল পেতে যাচ্ছে দুই জেলার মানুষ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী এলাকায় নির্মিত শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটির উদ্ধোধনের পর থেকে আংশিক সুফল পেলেও গত পাঁচ বছরেও শতভাগ সুফল পায়নি দুই জেলার মানুষ। শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর সার্বিক ব্যবহার এবং শতভাগ সুফল নিশ্চিত করতে কুলাঘাটে রত্নাই নদীর উপর নতুন একটি সেতু নির্মাণের উদ্দ্যোগ নেয় সরকার। তাই গত ৮ মার্চ পার্শ্ববর্তী জেলা লালমনিরহাটের কুলাহাট এলাকায় রত্নাই নদীর উপর প্রায় ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩০.৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রীজের কাজ শুরু হয়েছে।

এদিকে রত্নাই নদীতে ব্রীজের কাজ শুরু হওয়ায় কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার মানুষ শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর শতভাগ সুফল পেতে যাচ্ছে। তাই দুই জেলার মানুষদের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার।

রত্নাই ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষে মালবাহী ভারী যানবাহন ও ঢাকাগামী কোচ চলাচল শুরু হলে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামরী উপজেলাসহ লালমনিরহাট জেলার ব্যবসা-বানিজ্যে অর্থনৈতিক সফলতার দ্বার দ্বিগুনভাবে উন্মোচন হবে বলে প্রত্যাশা জেলার মানুষের।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিশিষ্টজনরা মনে করেন, বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত ও বাস্তবায়িত এ প্রকল্পটি যোগা‌যোগ ব্যবস্থার উন্নয়ণের লক্ষ্যে রত্নাই ব্রীজটির মাধ্যমে এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে শতভাগ অবদান রাখবে। এর পাশাপ‌াশি উত্তর ধরলার মানুষের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

তাদের ধারণা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও মানবিক নেতৃত্বের শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর মাধ্যমে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট জেলার লাখো মানুষ উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে। রত্নাই ব্রীজটি ১৮ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হলে শতভাগ উন্নয়নের ছোঁয়ায় এই দুই জেলার আমূল পরিবর্তন আসবে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ধরলা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। সেদিন থেকে সাধারণ মানুষ চলাচল শুরু করেন এবং সাথে ছোট ছোট হালকা যানবাহন চলাচল শুরু হয়। কিন্তু পণ্য পরিবহনের জন্য ভারী যানবাহন ও ঢাকাগামী নাইট কোচসহ বড় ধরনের যাত্রীবাহী কোনো যানবাহন আজও চলাচল করতে পারছে না। ফলে গত পাঁচ বছর থেকে শতভাগ সুফল পেতে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে শেখ হাসিনা ধরলা সেতু থেকে ১ কিলোমিটার দূরে লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার কুলাঘাট এলাকায় রত্নাই নদীর উপর এই বেইলি ব্রীজটি। ছোট এই বেইলি ব্রীজটির ভগ্নদশা হওয়ায় এটির উপর দিয়ে হালকা যানবাহন ছাড়া পণ্য পরিবহনের জন্য বড় ধরনের যানবাহন ও ফুলবাড়ী থেকে ঢাকাগামী কোনো নাইট কোচ চলাচল করতে পারেনি।

ফুলবাড়ী উপজেলার বালারহাট বাজারের মের্সাস তানিয়া স্টোরের মালিক আবু তালেব ও ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এমদাদুল হক মিলন জানান, পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাটের কুলাঘাট এলাকার রত্নাই নদীর উপর অনেক পুরাতন ও জরাজীর্ণ বেইলি ব্রীজের কারণে শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর সুফল থেকে আমরা ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত ছিলাম। প্রায় ৭০ কিলোমিটার ঘুরে আমরা ঢাকা, রংপুর ও লালমনিরহাট জেলা শহর থেকে পণ্য আনা-নেওয়া করছি। এতে গাড়ি ভাড়াও অনেক বেশী দিতে হচ্ছে। যেহেতু বর্তমান সরকার রত্নাই নদীতে ব্রীজের কাজ শুরু করায় আমরা শত শত ব্যবসায়ীসহ দুই জেলার লাখো মানুষ খুশী হয়েছেন। আশা করছি ১৮ মাস পর রত্নাই ব্রীজটি চালু হলে আমাদের বহুল কাঙ্খিত স্বপ্নের শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটি দিয়ে কম খরচে মালামাল আনতে পারব। সেই সাথে অর্থনৈতিক ব্যাপক পরিবর্তন আসবে পুরো উপজেলায়।

ফুলবাড়ী উপজেলার বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা সরকার জানান, কুলাঘাটে রত্নাই বেইলি ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় আমরা ফুলবাড়ীবাসী তথা ব্যবসায়ী মহল শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর পুরোপুরি সুফল পাইনি। ইতিমধ্যে কুলাহাট এলাকায় রত্নাই ব্রীজের কাজ শুরু হওয়ায় ফুলবাড়ীবাসী ও ব্যবসায়ী মহলের মাঝে আনন্দের জোঁয়ার বইছে। এই ব্রীজটি নির্মাণ হওয়া মাত্র দুই জেলার ব্যবসা-বানিজ্যের প্রসার ঘটবে। সেই সাথে লাভবান হবে এ অঞ্চলের সামাজিক অর্থনীতিও।

লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লা সর্দার জানান, কুলাঘাটে রত্নাই নদীর উপর প্রায় ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩০.৮-মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ব্রীজ নির্মানের কাজ শুরু করেছে কনক্রিট এন্ড স্টীল টেকনোলজি লিমিটেড নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেই সাথে লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাঠে থেকে ব্রীজ নির্মাণের কাজ অত্যান্ত নির্বিরভাবে দেখাশুনা করবে এবং আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ব্রীজ নির্মাণের কাজ সু-সম্পূর্ণ করবে। এই ব্রীজটি নির্মাণ হলেই লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে বলে আমার বিশ্বাস।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস জানান, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাহাট এলাকায় রত্নাই নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এটা ফুলবাড়ীবাসীর জন্য এটি বড় সুখবর। সেই সাথে এই ব্রীজটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

উল্লেখ্য,২০১৮ সালের ৩ জুন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’র শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে ২০১৬ সালে ‘বসগিরি’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে নাম লেখান শবনম বুবলী। একজন সংবাদ পাঠিকা থেকে হয়ে যান চিত্রনায়িকা।

সিনে ক্যারিয়ারের ৯ বছরের মাথায় নতুন পরিচয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। বুবলী নাম লেখালেন প্রযোজনায়। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

জানা গেছে, বুবলীর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম বিগ প্রোডাকশন। এর ব্যানারে তৈরি হবে সিনেমা, নাটক, স্বল্পদৈর্ঘ্য, মিউজিক ভিডিও। কার্যক্রম শুরু হবে নাটক দিয়ে। যেটি নির্মিত হবে আগামী কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে। আর সিনেমার ঘোষণা আসবে আগামী বছর।

এ বিষয়ে বুবলী বলেন, প্রায় এক দশকের ক্যারিয়ারে অনেক প্রোডাকশন হাউসের সিনেমায় অভিনয় করেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বিগ প্রোডাকশনের ভাবনা। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেক মেধাবী ও অভিজ্ঞ মানুষ যুক্ত হচ্ছেন। আমি সব সময় মানসম্পন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করেছি। প্রযোজক হিসেবেও চাইব ভালো কাজ উপহার দিতে।

প্রতিষ্ঠিত অভিনয়শিল্পীদের পাশাপাশি নতুন শিল্পীদের নিয়েও বিশেষ ভাবনা আছে বুবলীর। তিনি বলেন, আমি চাই সবাইকে নিয়ে কাজ করতে। এখানে প্রতিষ্ঠিত কলাকুশলীদের পাশাপাশি নতুনরাও থাকবেন। অনেকে হয়তো ভালো কাজ করেন, কিন্তু নতুন হওয়ার কারণে বড় কোনো কাজে সুযোগ পাচ্ছেন না। সেই শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে চাই আমরা।

বিগ প্রোডাকশনের পরিকল্পনা জানিয়ে বুবলী বলেন, আমি সিনেমার মানুষ, তাই সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এর জন্য আরও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। তাই চলতি বছর নাটক, শর্টফিল্ম, মিউজিক ভিডিও বানিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই। যাত্রাটা শুরু হবে কোরবানি ঈদের নাটক নিয়ে। এর পাশাপাশি অন্যান্য কাজ আসতে থাকবে। বিগ প্রোডাকশন থেকে সিনেমা নির্মাণ হবে আগামী বছর। সে সময় বড় আয়োজন করে ঘোষণা দেওয়া হবে।

এদিকে, অভিনয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন বুবলী। আসছে রোজার ঈদে একাধিক সিনেমায় তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যেই ‘পিনিক’ ও ‘জংলি’ সিনেমা দুটির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টা সাথে দেখা করতে

চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  

ছবিঃ সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শরিফুল ইসলামের অপসারণ ও নতুন নিয়োগসহ ছয় দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে এই সাক্ষাত হওয়ার কথা রয়েছে।

সকাল ৮টায় কুয়েট ক্যাম্পাস থেকে দুটি বাসে করে ৮০ শিক্ষার্থী ঢাকার পথে রওনা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাথায় লাল কাপড় বাঁধা ছিল।

ঢাকার পথে রওনার আগে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীন। এজন্য আমরা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করব। এরপর নিরাপদ জায়গায় চলে যাব। সেখান থেকেই অনলাইনে আমাদের কার্যক্রম চলবে। যতদিন দাবি পূরণ না হচ্ছে, ততদিন ক্যাম্পাসে ফিরব না।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এই মুহূর্তে ক্যাম্পাস ছেড়ে দিচ্ছি। আমরা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সাহস করে যেতে পারছি না । তাই নিজেদের অর্থায়নে ক্যাম্পাসে বাস ডেকে এনেছি।

'আমরা কুয়েট অথরিটির কাছে বাস সহায়তা চেয়েছিলাম। তারা আমাদের কোনো সহায়তা করেননি। সরকার যেহেতু আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাই আমরা চোখে লাল কাপড় বেঁধে ক্যাম্পাস টোটালি শাটডাউন করে চলে যাচ্ছি। আমাদের দাবি পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত কুয়েট ক্যাম্পাসে কোন রকমের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ চলবে না, বলেন তারা।

তারা আরও বলেন, 'ঘটনার পাঁচ দিন পরেও সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহায়তার আশ্বাস আসেনি। আমাদের নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর চাপাতি, রামদা দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, যা জুলাই বিপ্লবের পর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন হামলা করতে কেউ সাহস করেনি । অথচ এই হামলায় আমাদের শিক্ষার্থীদের মাথা ফেটে গেছে ,হাত তিন টুকরো হয়ে গেছে।

যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই বিপ্লবের ওপর দাঁড়িয়েছে সেই সরকার আমাদের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরার পরও যোগাযোগ করেনি । সেই সরকারকে আমাদের রক্তের দায় নিতে হবে। ইমেইলের মাধ্যমে স্মারকলিপি পাঠানোর তিন দিন পার হয়েছে, কিন্তু সরকারের থেকে কোনো সাড়া পাইনি। এই ক্যাম্পাস আমাদের জন্য সেফ না। যেখানে হামলার পর সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা নিরাপত্তা দেওয়ার কথা সেখানে কুয়েটের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া কেউ নেই। আমাদের নিরাপত্তা এখন আমরাই দিয়ে যাচ্ছি।

শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ক্যাম্পাসের বাইরে যেসব শিক্ষার্থী থাকে, তাদের বাড়িওয়ালা বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছেন। তারা অনেক জায়গা থেকে হুমকি পাচ্ছেন। আমরা সবাই আতঙ্কিত, আমাদের পরিবার আতঙ্কিত। আমরা ক্যাম্পাসের ভিতরে বাইরে সেইফ না । আমরা অভিভাবকহীন। আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কেউ নেই।

তারা বলেন, ভিসিসহ কিছু শিক্ষক বলার চেষ্টা করছেন আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বক্তব্য। হামলাকারীরা স্পষ্ট এবং চিহ্নিত কিন্তু তাদের বাদ দিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। রক্তাক্ত কুয়েট প্রদর্শনীতে অস্ত্রধারীদের নাম পরিচয়, ছবি বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কুয়েটে ছাত্রদল সমর্থক ও বিএনপির লোকদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের মনে হচ্ছে কুয়েট প্রশাসনেরই সমস্যা রয়েছে।

এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার কাছে ই-মেইলে চিঠি পাঠান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। তা স্বত্বেও ছাত্রদল ক্যাম্পাসে রাজনীতি শুরু করতে চাইলে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলের ফর্ম বিতরণের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দেয়। এসময় কুয়েট ছাত্রদলের কর্মীরা হঠাৎ মিছিলে এসে ধাক্কা দিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়। এতে কুয়েট ছাত্রদল এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ওই হামলায় কুয়েটের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয় এবং চার ঘণ্টা যাবত এই হামলা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের কোনো ধরনের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। এই মর্মে আমরা ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবি উত্থাপন করি।

Header Ad
Header Ad

বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  

ছবিঃ সংগৃহীত

নাটোরে বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে উচ্চ শব্দে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাসরঘরে ঢুকে বরকে মারধর ও বাসরঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বরের মা, নানীসহ আরও তিনজন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জয়ন্তীপুর এলাকার মিন্টু আলী শাহের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহাবুবুর রহমান মিঠু। দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ১ নম্বর জয়ন্তীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাগাতিপাড়ার জয়ন্তীপুর এলাকার মিন্টু আলী শাহের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহাবুবুর রহমান মিঠু।

এ ঘটনায় শনিবার দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ১ নম্বর জয়ন্তীপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ওই গ্রামের মিন্টু আলী শাহের ছেলে আরাফাত শাহের (২১) সঙ্গে নাটোরের লালপুরের ওয়ালিয়া ছোটময়না এলাকার আব্দুল মজিদের মেয়ের বিয়ে হয়।

বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে দুইদিন ধরে বাড়িতে সাউন্ড বক্সে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে উদ্‌যাপন করেন আগত অতিথিরা।

বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী আব্দুল আওয়াল শাহ অভিযোগ করলে বরের বাবা মিন্টু বক্সের সাউন্ড কমিয়ে দেন।

পরে শুক্রবার রাতে ফের উচ্চশব্দে গান বাজালে আব্দুল আওয়াল শাহ ও তার ছেলেসহ স্থানীয় কয়েকজন এসে বর, তার মা, নানীসহ চারজনকে মারপিট করে। এসময় তারা বাসর ঘরটিও ভাঙচুর করেন।

মিন্টু আলী শাহ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ করে আব্দুল আওয়াল শাহ তার ছেলেসহ স্থানীয় তিনজন আমার ছেলেকে বাসর ঘর থেকে টেনে বাইরে নিয়ে এসে মারপিট করেন।

এরপর তারা বাসর ঘরে ঢুকে বাড়িতে আগত অতিথিদের বলে- তোরা এখন গান বাজা, আমরা বাসর করবো।’ এরপর ঘরে থাকা খাটসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন তারা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল আওয়াল শাহ বলেন, কয়েকদিন ধরে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে এলাকার কাউকে ঘুমাতে দিচ্ছে না বিয়ে বাড়ির লোকজন। আমরা তাদের গান বাজাতে মানা করেছি, কাউকে কোনো মারপিট করা হয়নি।

এ বিষয়ে শনিবার রাত ৮টার দিকে ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ঘটনায় গ্রাম্যভাবে বসা হয়েছে, বিষয়টি সমাধান করা হচ্ছে। বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটছে।

তবে তিনি বলেন, ভাঙচুর করেনি, এগুলো মিথ্যা। এখন সেই সালিশে আছি, পরে কথা বলি।

তাহলে সালিশ করছেন কী নিয়ে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ওইযে মারামারি করিছিল, তখন হয়তোবা ইয়া হইছে…। ওরা নিজেরাই হয়তো ভাঙচুর করি এখন ঝামেলা করতিছে।

এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিয়ে বাড়িতে সাউন্ড বক্স বাজাচ্ছিল সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে একটা ঝামেলা হয়েছিল। বাসরঘরের ফুলটুল টান দিয়ে ছিঁড়ছে, অন্য কিছু না। গান বাজাচ্ছিল এ নিয়ে, রাগের মাথায় দুই একটু হয় না!

চারজন আহত হয়েছে জানেন কিনা জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাসরঘর ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আমি থানায় পাইনি।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক
দিনাজপুরের বিরামপুরে ৮ জুয়াড়ি গ্রেফতার
চীনে নতুন করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব, আবারও মহামারির শঙ্কা
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রায়হান, সম্পাদক বেলায়েত
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে: মঈন খান
জামায়াত দাবি করে ২১ শে ফেব্রুয়ারির সমস্ত কৃতিত্ব তাদের: রনি
যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে আ.লীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)