শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস

চলছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। এ সময় সবারই মন চায় সারাদিন রোজা রেখে রাতে একটু ভালো-মন্দ খেতে। কিন্তু মানুষের উপর চেপে বসেছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঘোটক। প্রতিনিয়ত সে বাজারের রশি টানছে। এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষ এখন মহা ভাবনায় হাবুডুবু খাচ্ছে। প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশচুম্বী। আগের তুলনায় দ্রব্যের মূল্য কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে কাঁচাবাজারের লাগামহীন মূল্যে নিম্ন আর মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন এখন বিপর্যস্ত। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সবজি কেনাও এখন দুরূহ ব্যাপার।

পেটের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন বাজারে গিয়ে হাত পুড়ছে মানুষের। তাপময় বাজার আর ঠাকুরগাঁও জেলার সাধারণ মানুষ কীভাবে চলছে সেই খোঁজ নিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে গেলে সবারই একই কথা লাগামহীন ঘোটক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে আমাদের ক্রয়ক্ষমতা।

কথা হয় আকচা ইউনিয়নের বাসিন্দা তরিকুলের ইসলামের সঙ্গে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কেমন করে চলছে তার সংসার জানতে চেয়েছিলাম। দীর্ঘ আলোচনায় উঠে আসে তার চলমান সময়ের সব কথা। দেবীগঞ্জ বাজারে ছোট একটি পানের দোকান নিয়ে বসেন তিনি। তার উপর ভর করেই চলে সংসার। নিজস্ব তেমন জমি-জায়গা নেই। ফলে পান-সিগারেট বিক্রি করেই বাজার কিনতে হয় তাকে। সংসারের অন্যান্য খরচও চালাতে হয় পান বেঁচেই। দিনের বেলায় বেচা-কেনা কম হলেও সন্ধ্যায় একটু বেশি হয়। গত কয়েক মাসে বাজারের টালমাটাল অবস্থায় অনেকটা দিশাহারা। সব কিছুর দাম নাগালের বাইরে। কোথাও সহজে হাত দিতে পারছেন না তিনি। তারপরও সংসারের যাবতীয় খরচ জোগাড় করতে হচ্ছে। বাজারের তাপে তিনি অনেকটা ঝলছে গেছেন বলে ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান তরিকুল।

জিনিসের অগ্নিমূল্য নিয়ে কথা হয় ঠাকুরগাঁওয়ের রানীংশকৈল উপজেলার সাংবাদিক নাজমুলে সঙ্গেও। চলমান বাজার পরিস্থিতি এবং সাধারণ মানুষের আয় এই দুইয়ের সমন্বয় কীভাবে করছে মানুষ? এক কথায় উত্তর দিয়ে তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। মানুষের আয় মোটেও বাড়েনি। বিশেষ করে গ্রামের মানুষের নির্ধারিত কোনো আয়ও নেই। জমির ফসলের উপর নির্ভর করে তারা। ফসল ভালো হলেও অনেক সময় ন্যায্য দাম পায় না কৃষকরা। তাই কম দামে বিক্রি করে দেয় তাদের কষ্টের ফসল। এখন প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। অতিরিক্ত দামের কাছে গ্রামের মানুষরা কাবু হয়ে পড়েছে। সব মানুষের ক্ষমতা নেই সব জিনিস ক্রয়ের।

তিনি মনে করেন, বর্তমান দেশের বাজার পরিস্থিতি একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ব্যবসায়ীরা লোক বুঝে একেকজনের কাছে একেক রকম দামে পণ্য বিক্রি করছেন। এতে একেবারেই খেটে-খাওয়া শ্রেণির মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। সেই সঙ্গে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ চরম হতাশায় ভুগছেন। বাজার পরিস্থিতি এ রকম থাকলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।

ডিমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এক ব্যবসায়ী জানান, একদিকে মুরগির খাবারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যদিকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিমের দাম বাড়ানো হয়েছে।

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চাকরিজীবীরাও বাজারের এমন টালমাটাল পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। পরিবারের চাহিদা পূরণে প্রতিনিয়ত শরীর থেকে ঘাম ঝড়াছেন। দিন যত যাচ্ছে ততই দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক গতি বাড়ছে। চলমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকাপ্রকাশের কাছে কষ্ট আর হতাশার কথা জানান বেসরকারি কলেজের কয়েকজন শিক্ষক।

শিক্ষকরা বলেন, অন্য যেকোনো চাকরিজীবীর তুলনায় শিক্ষকদের বেতন কম। মাসের অর্ধেক না যেতেই বেতনের টাকা শেষ হয়ে যায়। সারা মাস বিভিন্ন দোকানে বাকিতে জিনিস কিনে সংসার চালাতে হয়। সময় মতো দোকানিদের টাকা দিতে না পারলে বাকি দেওয়া বন্ধ করে দেয়। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস উঠেছে বেসরকারী শিক্ষক সমাজের। শিক্ষকরা মনে করেন এ রকম চলতে থাকলে শিক্ষকদের সবকিছু ছেড়ে মাঠে গিয়ে কাজ করতে হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এদিকে সরকার ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য কম দামে দেওয়া শুরু করেছে। সেই পণ্য চাহিদার তুলনায় একেবারেই নগণ্য। টিসিবির পণ্য কিনতে আসাদের লম্বা লাইন দেখলে সহজেই অনুমান করা যায় চলমান পরিস্থিতিকে। অনেক মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ লজ্জা লুকিয়ে টিসিবির পণ্য ক্রয়ের লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকছেন।

তবে মানুষ এখন নিরুপায়। কারণ পাঁচ টাকার শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। করলার কেজি ৮০ টাকা, পটোলের কেজি ৭০ টাকা, আলুর কেজি ২৫-৩০ টাকা। ডিমের হালি ৪৫-৪৮ টাকা। বেড়েছে পেস্ট, শ্যাম্পু, সাবান, মাথার তেলের দামও।

এ বিষয়ে সবজি ব্যবসায়ী কাউসার বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা যেমন ক্ষীপ্ত তেমনি আমরাও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। সাধারণ মানুষ বাজারে এসে দাম শুনে প্রয়োজনীয় অনেক কিছু না কিনে চলে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

খুচরা বিক্রেতা দুলাল বলেন, পণ্যের দাম একবার বাড়লে তা সহজে কমে না। শীতের সবজি শেষের দিকে। ফলে দাম বাড়ছে। আরেক বিক্রেতা বলেন, যেসব সবজির মৌসুম শেষ সেসব সবজির দাম কিছুটা বেশি। কারণ ওইসব সবজির সরবরাহ কমে গেছে।

তবে বাজার ঘুরে অধিকাংশ দোকানে দেখা মেলেনি নির্দিষ্ট মূল্য তালিকার। এর ফলে একেক বাজারে একেক রকম দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা।

এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার ঠাকুরগাঁও জেলার সহকারী পরিচালক মো. শেখ সাদী বলেন, রমজান মাসে যাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি না হয় সেই অনুযায়ী বাজারগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে।

এসআইএইচ

Header Ad

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন। একই সময়ে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৫১ পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ শিক্ষার্থী, ১৮ শিক্ষক, ৭৬ নারী, ৬২ শিশু, ৫ চিকিৎসক, ৯ সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Header Ad

গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র তিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানায় পর্দা উঠবে গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম আসরের। বৈশ্বিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে উইন্ডিজ ক্রিকেট আয়োজন করছে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ, আর এই টুর্নামেন্টের জন্য তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে দলে ভিড়িয়েছে স্বাগতিক গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই টাইগার পেসার।

এর আগে বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুরে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন সাকিব। এরপর গায়ানায় সাকিবকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় ফ্যাঞ্চাইজিটি। নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে গ্লোবাল সুপার লিগ কতৃপক্ষ।

চোটের কারণে এই আসরে সাকিবের খেলা নিয়ে এতদিন অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন সাকিব। কিন্তু গত সোমবার ফিটনেস টেস্ট দিয়ে সেই অনিশ্চিয়তা দূর করেছেন তিনি। যার ফলে বিসিবির কাছ থেকে এই লিগে খেলার অনুমতি পান সাকিব।

রংপুর রাইডার্স ও গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সসহ টুর্নামেন্টটিতে অংশ নেবে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্স, ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলা ভিক্টোরিয়ান ক্রিকেট দল।

টুর্নামেন্টটির প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে। পাঁচ দলের মধ্য থেকে চার দল যাবে সেমিফাইনালে। এরপর আগামী ৭ ডিসেম্বর হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল।

Header Ad

আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার

ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র ২৪ ঘন্টার অপেক্ষা তারপর আগামীকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মেগা নিলাম। তবে সেই নিলামের আগেই বড় দুঃসংবাদ পেলেন ভারতীয় দুই ক্রিকেটার মানীশ পান্ডে ও সৃজিত কৃষ্ণ। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছেন তারা।এছাড়াও সন্দেহজনকের তালিকায় রাখা হয়েছে আরও তিনজন ক্রিকেটার।

নিষিদ্ধ হওয়া দুই ক্রিকেটার হলেন- মনীশ পান্ডে এবং সৃজিত কৃষ্ণ। দুজনই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এবং আইপিএলে পরিচিত মুখ। যদিও তারা ব্যাটার হিসেবে খেলতে পারবেন, তবু এই নিষেধাজ্ঞা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করবে।

এছাড়া সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের তালিকায় থাকা অন্যরা হলেন- দীপক হুদা, সৌরভ দুবে এবং কেসি কারিয়াপ্পা। যদিও এই ৫ ক্রিকেটারের কাউকেই দল রিটেইন করেনি। তবে নিলাম থেকে তাদের দল পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বিসিসিআইয়ের এমন খবর জানার পর দলগুলো তাদের দলে ভেড়াতে নিশ্চয় ভাববে।

আইপিএলের মতো বড় টুর্নামেন্টে এমন বিষয়গুলো খেলোয়াড়দের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করা হলে তারা আবার ফিরে আসতে পারবেন। তবে দলগুলোর দৃষ্টিকোণ থেকে, এই নিষেধাজ্ঞা এবং সন্দেহ তাদের নিলামে প্রাধান্য হারানোর কারণ হতে পারে।

এদিকে, গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতীয় বোর্ড জানিয়েছে, আগামী বছর আইপিএল শুরু ১৪ মার্চ থেকে। জানিয়ে দেয়া হয়েছে ফাইনালের দিনও। আসন্ন আইপিএলের ফাইনাল হবে ২৫ মে। শুধু আগামী বছরের নয়, ২০২৭ পর্যন্ত আইপিএলের শুরু এবং ফাইনালের দিন জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২