রংপুরে আবার বেড়েছে মুরগি-মাছ ও সবজির দাম
রংপুরে রমজানের আগেই মাছ-মাংস দূরে থাক, সবজি খাওয়াই দুষ্কর হয়ে পড়েছে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। বাজারে এখনই যে অবস্থা, রোজায় কি হবে তা ভেবে শঙ্কিত রংপুরের সাধারণ মানুষ সেই সঙ্গে আবারও বেড়েছে মুরগি ও মাছের দাম। কাঁচা তরকারী ধনেপাতা, ফুলকপি ও মটরশুঁটি বেগুন, করলা, শশা, ঢ়েড়স, পাটশাকসহ কিছু সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। কিছুটা কমেছে রসুন ও সজনে ডাঁটার দাম। চাল, ডাল ও তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
রংপুর নগরীসহ জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৪৫-২৬০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫০-৩৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৩৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৪৫-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পাকিস্তানি লেয়ার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকায়। গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতোই ৬৭০-৭০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৯০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর বাজারের মুরগি বিক্রেতা জিতু মিয়া বলেন, মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট। তারা খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি মুরগি কিনে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে সাধারণ মুরগী ব্যবসায়ীরা চড়া দামে মুরগি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এ কারনে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়ছে।
রংপুর সিটি বাজারে মুরগি কিনতে আসা আরিফুরল ইসলাম বলেন, গরিবের মাংসের স্বাদ পূরণ করে ব্রয়লার মুরগীর মাংস খেয়ে। ১২০-১৩০ টাকার সেই ব্রয়লার এখন ২৫৫-২৬০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে।
জেলার আট উপজেলার বিভিন্ন সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো ২৫-৩০ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা, শসা ৩০-৩৫ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা,গোল বেগুন ৪০-৪৫ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, লেবু হালি ২০-২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০-১২৫ টাকা, শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে দাম ৩৫-৪০ টাকা, ধনেপাতার ৭০-৮০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টিকুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, শিম ৩৫-৪০ টাকা,বাঁধাকপি ১৫ টাকা পিস এবং ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বক্রি হচ্ছে।
আদা ১৩০-১৪০ টাকা এবং রসুন ১৩০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সব ধরনের শাকের আঁটি পাওয়া যাচ্ছে ১৫-২৫ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১৫০-১৬০ টাকা, মিষ্টি আলু ৩৫-৪০ টাকা, পটোল ৭০-৮০ টাকা,ঢেঁড়শ ১০০-১২০ টাকা, মটরশুঁটি ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলু ১৫-১৬ টাকা, শিল ও ঝাউ আলু ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে।
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৮৭ টাকা, দুই লিটার ৩৭৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।স্বর্ণা চাল ৫০-৫২ টাকা, পাইজাম ৫৪-৫৫ টাকা, বিআর২৮ ৬০-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৭৫-৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।খোলা চিনি১১৫-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট আটার দাম কমে ৬৫-৬৮ টাকা ও খোলা আটা ৫৮-৬০ টাকা, ছোলা ৯৫-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৪০-১৫০ টাকা এবং বুটডাল ৯৫-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪০-৪২ টাকা। হাসেঁর ডিম ৬০-৬৫ টাকা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে। আকার ভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কার্প ২১০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতলা ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩৫০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৭০০-৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এএজেড