দিন বদলের স্বপ্ন আগুনেই শেষ

নিভৃত পল্লি গ্রামের কৃষক ফয়েজ উদ্দিন গাভি পালনে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। এরই মধ্যে আগুনে তার সেই স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জেলার ডোমার উপজেলার সদর ইউনিয়নের খামাতপাড়া গ্রামে আগুনে পুড়ে যায় ছাই হয়ে যায় ৪টি গরু মারা যায় ছাগল, হাঁস ও মুরগী। বুধবার ভোরে খামাতপাড়া গ্রামের মফিজউল্লাহর ছেলে কৃষক ফয়েজ উদ্দিনের গোয়াল ঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে গোলাপ জানান, রাতে বাজার থেকে ফিরে গোয়াল ঘরে গরুদের খাবার দেয় বাবা।পরে রাতের খাবার খেয়ে আমরা সকলেই ঘুমিয়ে পড়ি।ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বাবার চিৎকারে ঘর থেকে বাহির হয়ে দেখি গোয়াল ঘর ও পাশের ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ঘরের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আমাদের চিৎকারে এলাকাবাসীরা এগিয়ে আসলে তাদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও গোয়ালঘরে থাকা ৪টি গরু,ছাগল,হাঁস,মুরগী,আলু বিক্রির ৭০ হাজার টাকা, আলু,ধান,চাল ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় গরু বাচাতে বাবা গোয়াল ঘের গেলে আগুনে দগ্ধ হন তিনি। বর্তমানে তাকে নীলফামারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত গোলাপী বেগম বলেন, আমাদের সকল পুজি শেষ হয়ে গেল। এখন আমরা কিভাবে চলবো। আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।আমার গোয়াল ঘরে লাগা অগ্নিকাণ্ডে ৪টি গরুসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। আমাদের ১০ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়। আগুনে আমাদের সকল স্বপ্ন শেষ করে দিছে। খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের কম্বল,শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ তুলে দেন গোলাপী বেগমের হাতে।
এ বিষয়ে ডোমার ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ জানান, বিষয়টি শুনেই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি আগুনে তাদের সকল সম্পদ পুড়ে গেছে বলেও তিনি জানান।
এএজেড
