পঞ্চগড়ে আরও ৩ মামলায় গ্রেপ্তার ৫, আসামি ৩০০

পঞ্চগড়ে সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও তিনটি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলায় ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩-তে। এর মধ্যে পঞ্চগড় থানায় ১১টি ও বোদা থানায় দুইটি মামলা করা হয়েছে। মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৩৫ জনকে। মামলাগুলোতে মোট আসামি করা হয়েছে ১১ হাজার জনকে।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এমএম সিরাজুল হুদা বলেন, আমরা এ ঘটনায় আরও মামলা করব। ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের ধরা হচ্ছে। অযথা কাউকে হয়রানি বা আসামি করা হবে না। সে বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখছি।
পঞ্চগড়ে সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় পর পাঁচ দিন পেরিয়ে গেছে। স্বাভাবিক হয়েছে সার্বিক পরিস্থিতি। দূর হয়েছে মানুষের মনের উৎকণ্ঠা ও ভয়-ভীতি। দোকানপাটে বেড়েছে ভিড়, বেড়েছে বিক্রিও। সড়কে মানুষের উপস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। আগের মতোই সড়কে যান চলাচল করছে। নিয়মিত আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাস জেলা থেকে ছাড়ছে। জেলা শহর জুড়ে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। অফিস-আদালত পাড়ায় মানুষের মাঝে কর্মব্যস্ততা দেখা গেছে। তবে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের অবস্থান ও টহল কমে গেছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সল্প সংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের আহমদ নগড়, ফুলতলা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পুলিশের তৎপরতা ও উপস্থিতি আগের মতোই রয়েছে। তবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
গত শুক্রবার (৩ মার্চ) আহমদিয়া সম্প্রদায়ের তিন দিনব্যাপী বার্ষিক সালানা জলসা শুরু হয় আহমদনগরে। কিন্তু এতে বাদ সাধে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদ সমর্থক মুসল্লিরা। তারা এই জলসা বন্ধ করা এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে শহরে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পঞ্চগড়। বাধ্য হয়ে প্রশাসন রাত ৮টায় জলসা বন্ধ করে দেয়। এরপরও ওই সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এসএন
