গো খাদ্যের খরচে দিশেহারা খামারিরা

ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট লাহিড়ীতে বর্তমানে প্রতি হাটে চার থেকে পাঁচশো গরু কেনাবেচা হয়। আগের চেয়ে গরু প্রতি দাম বেড়েছে ৩-৫ হাজার টাকা। তবে আগের মতো বাজারে গরু বেচাকেনা হচ্ছে না বলে জানান হাট ইজারাদার। গতকাল সরেজমিনে লাহিড়ী গরুর হাটে দেখা যায়, কেউ হেটে কেউ বা গাড়িতে করে এই হাটে গরু নিয়ে আসছেন। মুহূর্তেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় গরুর হাট।
গরু বিক্রেতা রশিদুল ইসলাম বলেন, গত ৬ মাস আগে ৩২ হাজার টাকা দিয়ে একটি ছোট বাছি (মেয়ে গরু) গরু কিনেছিলাম ৬ মাস ধরে লালন পালন করে সেই গরুর দাম আজ বলছে ৩২ হাজার। এতো দিন ধরে গরুটিকে যেগুলো খাওয়াছি ও তার পরিচর্যা করেছি সেগুলা সব বৃথা। কিন্তু কি করবো অভাবের সংসার টাকার প্রয়োজনে এই দামেই হতো গরুটা বিক্রি করতে হবে।
মহেশমারি গ্রামের গরু ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম বলেন, আগের তুলনায় বর্তমান বাজারে গরুর দাম বেশি। আগে ৮০ কেজি ওজনের গরু ৫০-৫৫ হাজার টাকায় কিনতাম কিন্তু সেই গরু এখন ৬০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে।
বিশ বছর ধরে গরুর ব্যবসা করছেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চোসপড়া দালাল বস্তির মো.সাব্বির। তিনি বলেন, মাঝখানে গরুর দাম কম থাকলে এখন প্রতি গরুতে ৩-৫ হাজার টাকা বেশি।
গরু বিক্রেতা সুজন আলী বলেন, বর্তমানে জিনিসপত্রের যে দাম। গরুর খাবারেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন তো আর আগের মতো মাঠে গরু বাঁধা যায় না ও ঘাসও নেই। যা খাওয়াতে হয় তা সব কিনে খাওয়াতে হচ্ছে। আমাদের মতো ছোট ছোট খামারি বা গরু লালন পালনকারিদের এভাবে গরু পালতে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে।
হাট ইজারাদার আলহাজ্ব মো. আব্দুর রশিদ বলেন, আগের মতো আর লাহিড়ী হাট জমে না। আগে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার দিনে দেশি বিদেশি মিলে প্রায় ৪-৫'শ গরু কেনাবেচা হতো এখন কোনদিন ৩'শ গরু কেনাবেচা হয় না। বাজারের অবস্থা ভালো না। মানুষের হাতে টাকা পয়সা কম তাই বেচাকেনাও কমে গেছে। তার পরেও বর্তমানে প্রতি হাটে ৭০-৮০ লাখ টাকার গরু কেনাবেচা হয়।
এএজেড
