উদ্ধারের ২ দিন পার হয়ে গেলেও নিষ্ক্রিয় হয়নি গ্রেনেড!

রংপুর মহানগরীর দমদমা ব্রিজের পাশ থেকে গ্রেনেড সদৃশ বস্তু জব্দ করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার হলেও রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টা পর্যন্ত সেটি নিষ্ক্রিয় করেনি কর্তৃপক্ষ। দুইদিন ধরে পুলিশি পাহারায় গামলায় পানিতে সংরক্ষিত আছে সেখানে। পুলিশের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে বলা হয়েছে।
গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি উদ্ধারকারী স্থানীয় তাহমিনা নামের গৃহবধূ আজ বেলা ১২টার দিকে বলেন, গত শুক্রবার সকালে দমদমা ব্রিজের নিচে ঘাগোর নদীতে কাজ করতে গিয়ে পানির মধ্যে ওই জিনিসটি পাই। তখন সেটি শ্যাওলা দিয়ে মোড়ানো ছিল। আমি পাথরের শিল মনে করে বাড়িতে নিয়ে যাই। এরপর শ্যাওলাগুলো পরিষ্কার করার পর সেটি গরম হয়ে উঠে। তখন ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পুলিশ এসে বস্তুটি উদ্ধার করে দমদমা বধ্যভূমির পাশে গামলার পানিতে রেখে দিয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকেই সেখানে বস্তুটি পড়ে আছে এবং একজন পুলিশ পাহারা দিচ্ছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল কাদের বলেন, দমদমা ব্রিজের পাশে পানিতে কাজ করার সময় তাহমিনা নামের এক গৃহবধূ শুক্রবার সকালে ওই গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি পেয়ে প্রথমে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে বস্তুটি গরম হয়ে গেলে জুমার নামাজের পর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে থানায় জানানো হয়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গ্রেনেড সদৃশ ওই বস্তুটি জব্দ করে করে বধ্যভূমির পাশে গামলায় পানিতে রেখে দিয়েছে। সে দিনই কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আদালতের আদেশসহ সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেবেন।
তিনি আরও বলেন, বস্তুটি সেখানে এখন পুলিশি পাহারায় রাখা হয়েছে। হ্যান্ড গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের নাকি আরও আগের সেটি সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল টিম আসার পরেই বোঝা যাবে।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় নগরীর দমদমা ব্রিজের পাশে পাকবাহিনী নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে পুঁতে রেখেছিল। সেটি এখন সরকারিভাবে একাত্তরের বধ্যভূমি হিসেবে উল্লেখিত।
এসজি
