প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থলে জাতিসংঘের চেয়ারম্যান

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বারোটি মন্দিরের চৌদ্দটি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘ মাইনোরিটি ওয়াচ ও মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ারম্যান রিচার্ড এল বেনকিং ও বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার সিন্ধুপিন্ডি এলাকার প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তারা।
বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ২০দিন পার হয়ে গেল তবুও পুলিশ বলছে তারা তদন্ত করছেন। পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এবং কাউকে সন্দেহ করতে পারিনি। সরকার ও প্রশাসনের লোকজনের কাছে দাবি জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে যারা ধর্মীয় সহিংসতা করেছে তাদেরকে যেন গ্রেফতার করে।
জাতিসংঘ মাইনোরিটি ওয়াচ ও মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ারম্যান রিচার্ড এল বেনকিং বলেন, আমি জানি এদেশে হিন্দু, মুসলিম সকলেই ভালভাবে বসবাস করে। তাদের সম্পর্কগুলো ভাল। জানিনা কারা এ কাজটি করেছে। আর কেন করেছে। আমি কঠোর শাস্তি চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ কেন্দ্রের চিপ মেম্বার শাহিনুল ইসলাম, জেলা মাইনোরিটি ওয়াচের সভাপতি গৌরহরি বর্মন, সাধারণ সম্পাদক অরুন কুমার রায়, জয় মহন্ত অলক, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল কুমার, বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি তদন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহ্, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রবির কুমার রায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, চাড়োল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দিলিপ কুমার চ্যাটার্জি, ধনতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সমর কুমার, উপজেলা আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক আশরাফুল আলম প্রমুখ। এছাড়াও জেলার রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জ উপজেলার দুটি স্থান পরিদর্শন করেন তারা।
এএজেড
