মুরগির দাম শুনেই শেষ, ফিরছেন খালি হাতে

সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে আবারো দাম বেড়েছে সব মুরগির। সবজীর দাম না বাড়লেও জেলার বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ, মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদি। সেই সঙ্গে মুরগির দাম নিয়ে অস্বস্তি তো রয়েই গেছে। ফলে মাছ, মাংস ও মুরগির দাম নিম্ন আয়ের মানুষদের বেশ ভোগাচ্ছে। এমনকী অনেকেই অভিযোগ করছেন, ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক দামের কারণে তারা মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন।
বুধবার জেলার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা দরে। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩২০ টাকা পর্যন্ত। আর লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
মুরগীর অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় মুরগির দাম শুনে হতাশ হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সৈয়দপুর বাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা আনছারি বলেন, মাসে এক-দুদিন পরিবার নিয়ে মাংস ভাত খাওয়ার চেষ্টা করি।আমাদের পক্ষে তো গরু বা খাসির মাংস কেনা সম্ভব না। তাই ব্রয়লার মুরগিই ভরসা। তবে এটাও মনে হচ্ছে কপাল থেকে উঠে যাবে। তিনি বলেন ব্রয়লার কাঁচা মাংস ৩২০ টাকা কেজি যা কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এমন দাম হওয়ায় মুরগি না কিনে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি কিনতে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন রিকশাচালক ফরিদ। তিনি বলেন, অনেকদিন মাংস খাওয়া হয়নি। তাই বাজারে এসেছিলাম একটা মুরগি কিনতে। কিন্তু ব্রয়লার মুরগির দামও অস্বাভাবিক। তাই মুরগি না কিনে ফিরে যাচ্ছি।
রিক্সাচালক জাহিদ বলেন, গরু ও খাসির মাংস কিনে খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি কয়েক বছর হয়ে গেছে। সর্বশেষ গত কোরবানির ঈদে কিছু মাংস পেয়েছিলাম। এরপর আর গরুর মাংস খাওয়া হয়নি। মাঝে মধ্যে ব্রয়লার মুরগি কিনে খাই। এখন ব্রয়লার মুরগির দামও অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। তাই ব্রয়লার খাওয়া বাদ দিতে হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির বিক্রেতা জাকারিয়া জানান, গত কয়েকদিন থেকে মাংস বিক্রি অর্ধেকে নেমে গেছে। মানুষজন দাম শুনেই মাংস না কিনে চলে যাচ্ছে। মাংস বিক্রি করতে না পারায় প্রতিদিনেই লোকসান গুনতে হচ্ছে। এভাবে চললে এক সপ্তাহের মধ্যেই সকল পুজিঁ শেষ হয়ে যাবে।
এএজেড
