কাঠ-কয়লার কারখানা গুড়িয়ে দিল প্রশাসন

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে চলমান কাঠ-গাছের গুড়ি পুড়িয়ে কয়লা তৈরির একটি কারখানা গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার(২১ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নে বাসুদেবপুর (নুরিয়াপাড়া) গ্রামে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময় ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা প্রথমে কারখানার ৭টি চুল্লির আগুন পানি ছিটিয়ে নিভিয়ে দেন। পরে এস্কেভেটর দিয়ে সম্পূণ গুড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগের উপপরিচালক হাসন-ই-মোবারক। তার সঙ্গে ছিলেন পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান নয়ন।
অবৈধ ভাবে চলমান ওই কারখানা চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় এদিকে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। অন্যদিকে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছিল সাধারণ মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় নজরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কারখানা স্থাপন করেন। যা পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরুপ।
প্রতিটি চুল্লিতে প্রতি রাউন্ডে ২শ থেকে ৩শ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। ৮ থেকে ১০ দিন পোড়ানোর পর চুলা থেকে কয়লা বের করা হয়। পোড়ানো কয়লা শীতল করে ব্যবসার উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রেতাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় আশপাশ আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
এতে একদিকে এলাকায় শ্বাসজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে উঠতি ফসলের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। অবিলম্বে অবৈধ এসবকারখানা বন্ধের জোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা। অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন,পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: কামরুজ্জামান নয়ন।
এএজেড
