দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে শালকী নদী

দখল আর দূষণে অস্তিত্ব সংকটে হারিয়ে যেতে বসেছে এক সময়ের খরশ্রোতা শালকী নদী। নীলফামারীর ডোমার উপজেলা শহরের বুক চিরে বহমান শালকী নদী। নাব্য সংকটে দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এই নদী। ময়লা-আর্বজনা ফেলে নাব্য হারিয়ে মরা খালে পরিণত হচ্ছে শালকী নদী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন স্থান দখলে নিয়ে মাটি ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করায় সংকুচিত হয়েছে নদীটি। কোথাও কোথাও মাটি ভরাট করে ঘর নির্মাণ করে কেউ দোকান আবার কেউ ক্লিনিক হিসেবে ব্যবহার করছে। শালকী নদীকে বলা হয় ডোমার পৌরসভার প্রাণ। এই নদীকে কেন্দ্র পয়োনিষ্কাশনের পরিকল্পনা করলে পৌরসভা আর পানিবন্দি হয়ে থাকবে না।
ডোমারের বড়রাউতা থেকে উৎপত্তি হওয়া এই নদী প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার গিয়ে মিলিত হয়েছে দেওনাই নদীতে। এই নদী এক সময় পানিতে ভরপুর ছিল। জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু বর্তমানে নদীর বেশিরভাগ জায়গা শুকিয়ে গেছে। শহরের ময়লা-আর্বজনা ফেলায় নদীটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
নদীর উপর দিয়ে বয়ে গেছে চিলাহাটি যাওয়ার রেললাইন। প্রতিদিন এই লাইন দিয়ে ৫টি ট্রেন যাতায়াত করে থাকে। নদীটি ভরাট হয়ে রেলসেতুর কিছু জায়গার মাটি ধসে গিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে।
শিক্ষক জুলফিকার আলী মিঠু বলেন, নদীটি সংস্কার করে এর দুই ধার দিয়ে ছোট রাস্তা তৈরি করলে মানুষের চলাচল উপযোগী হবে। তাহলে নদীটি তার সৌন্দর্য ফিরে পাবে।
সাংবাদিক রওশন রশীদ বলেন, নদীটি রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। গত কয়েক বছর জেলার সব নদী খনন হলেও অজ্ঞাত কারণে এই নদীটি খনন করা হয়নি। নদীটি সংস্কার না করায় দিনে দিনে মাটি ভরাট হয়ে নদীটি মরা খালে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর বলেন, নদীটি খনন করা সময়ের দাবি। পৌরসভা পানি নিষ্কাশনের জায়গা হিসেবে নদীটি ব্যবহার করলে আর পানিবন্দি থাকবে না পৌরবাসী।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেন, নদীটি সংস্কার করা অতি জরুরি। সংস্কার হলে নদীটি পানি ধরে রাখতে পারবে। আবারও হারানো গৌরব ফিরে পাবে নদীটি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীলফামারী বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান জানান, নদীটি খননের বিষয়ে আমরা উপরে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে খননের প্রক্রিয়ায় রয়েছে শালকী নদী।
এসএন
