রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সরকারি ভাতাভোগীদের নাভিশ্বাস

জীবনের একমাত্র সম্বল এখন দীর্ঘশ্বাস! এর জন্য কোনো টাকাপয়সা লাগে না! তাই জীবন চালানোর চিন্তা করলে শুধু দীর্ঘশ্বাসই পড়ছে বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, বিধবাভাতাসহ সরকারি নানা ভাতাভোগীদের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে তাদের এখন করুণ অবস্থা। শুধু ভাতার টাকায় জীবন না চলায় প্রতিবন্ধীদের কেউ কেউ মাসের শেষ কটা দিন চলছেন ভিক্ষাবৃত্তি করে।

শারিরীক প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমান (৫৮) ছেঁড়া একখানা লুঙ্গি পরে কোনোরকমে বসে আছেন মলিন মুখে। তিনি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গজেরকুটি গ্রামের বাসিন্দা। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। হাবিবুর বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে যে টাকা পাই তা দিয়ে পেটের ভাতটুকুই জুটছে না, গায়ের কাপড় কিনব কী দিয়ে?’

তিনি জানান, খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে দাম, তাতে তাদের ক্রয়ক্ষমতা একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। একবছর ধরে এক পোশাকই পরছেন। তার হাঁটাচলা স্বাভাবিক নয়। লাঠি ভর দিয়ে কোনো রকমেই চলাচল করেন। অন্য কোনো কাজ করে যে সামান্য কিছু আয় করবেন, তাও পারেন না। পেটের ক্ষুধা মেটাতে যিনি হিমশিম খাচ্ছেন, নতুন পোশাক তার কাছে তো শুধুই স্বপ্ন।

হাবিবুর রহমান জানান, বাজারে চাল-ডাল, শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জীবন-জীবিকায় নেমে এসেছে চরম অস্থিরতা। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন তার মতো নিম্নআয়ের মানুষজন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। মাসিক ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকার এ সরকারি ভাতায় কোনো প্রয়োজনই মিটছে না তাদের। এখন দু’মুঠো অন্ন যোগাড় কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শারিরীক প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমান অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, সরকারি ভাতাভুক্ত হতে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে তাকে। দীর্ঘদিন ঘুরতে হয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির পেছনে। শারিরীক প্রতিবন্ধী দুই মেয়ের ক্ষেত্রেও পোহাতে হয়েছে একই যন্ত্রণা। এখন তিনজনের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকায় চলে তার ৫ সদস্যের সংসার। শুধুমাত্র ভাতার টাকা দিয়ে জীবন-সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে তার কাছে। নিজের অসুস্থতা ও শারিরীক প্রতিবন্ধী দুই মেয়ের ভরণপোষণে চলে যায় এর সিংহভাগ। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় করোনাকালে বন্ধ হয়ে গেছে একমাত্র ছেলেসহ দুই মেয়ের পড়ালেখা।

শুধু হাবিবুরই নয়, এরকম অনেকেই আছেন যারা শুধুমাত্র বয়স্ক, বিধবা কিংবা প্রতিবন্ধী ভাতার উপর নির্ভরশীল। সুবিধাভোগীর তালিকায় নাম লেখাতেও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদের। ভাতভোগীদের অধিকাংশের অবস্থা এমনই। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোনোদিন তাদের খাবার জোটে আর কোনোদিন কাটে উপোস করে। চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেছেন এসব মানুষ।

বিধবা ভাতাভোগী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের তালুক শিমুলবাড়ী গ্রামের সুখ জাদী। তিন বছর আগে মারা যান স্বামী হ্যাসপেসু মিয়া। স্বামীর রেখে যাওয়া ৪ শতক জমির ভিটাটুকুও বারোমাসিয়া নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। ওই গ্রামের শাহালম মিয়ার বাড়ির পেছনে একটি টিনের চালা তুলে মেয়ে মরিয়মসহ বসবাস শুরু করেন। পায়ে গোদরোগ থাকায় কেউ কাজে নিতে চায় না তাকে। অনেক চেষ্টার পর বিধবা ভাতা ভোগীর তালিকায় নাম ওঠে তার। বর্তমানে নিত্যপণ্যের দামের অস্থিরতায় জীবন-সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে তার। সরকারিভাবে ঘর পেতে স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ক্লান্ত। শুধু বিধবা ভাতার টাকায় খাবার জুটছে না আর। তাই ভাতার টাকা শেষ হলে কখনো কখনো তাকে বের হতে হচ্ছে ভিক্ষা করতে।

সুখজাদীর মতো অনেক প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বয়স্ক ভাতাভোগীদের এমনই অবস্থা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সুবিধা ভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোটে কাজ করা কর্মীসহ নিকটতম আত্মীয়-স্বজনদের প্রথমেই ভাতার ব্যবস্থা করেন জনপ্রতিনিধিরা। অধিকাংশ সুবিধাভোগীই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে তাদের খুশি করেই ভাতার সুযোগ পেয়ে থাকেন। বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগী অনেকেই তাদের এরকম অভিজ্ঞতার কথা অকপটে স্বীকার করেন। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে স্বচ্ছভাবে ভাতার টাকা পেলেও নিত্যপ্রয়েজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর পাশাপাশি ভাতাভোগী পরিবারসহ নিম্ন আয়ের মানুষ দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম জানান, উপজেলার ৬ ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতাভোগী ১১ হাজার ৪৭৩ জন, বিধবা ভাতাভোগী ৪ হাজার ৯৫১ জন, প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ৩ হাজার ৪৪৬ জন। এ ছাড়াও বিশেষ ভাতাভোগী (দলিত সম্প্রদায়) ৩১ জন, শিক্ষা উপবৃত্তি পান ২০ জন এবং প্রতিবন্ধী উপবৃত্তি পান ১৯৭ জন। সব মিলিয়ে মোট ২০ হাজার ১১৮ জন সুবিধাভোগী সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা পাচ্ছেন। আগে ভাতাভুক্ত হওয়া ও ভাতার টাকা উত্তোলন করতে টুকিটাকি সমস্যা থাকলেও এখন অনলাইন সুবিধা আসায় ভাতা প্রদানে স্বচ্ছতা ফিরেছে।

তিনি আরও জানান, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতা পাওয়ার উপযোগী প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে এখনো তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে পর্যাপ্ত বরাদ্দ আছে। বরাদ্দ আসামাত্রই তারা ভাতা সুবিধা পাবেন। ভাতার টাকার পরিমাণ কম হলেও তারা কিন্তু সরকারিভাবে সহায়তা পাচ্ছেন। ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একান্তই সরকার ও সমাজ সেবা মন্ত্রণালয়ের।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস জানান, আগে ভাতাভোগীদের কিছুটা দুর্ভোগ থাকলেও বর্তমান অনলাইন সুবিধা আসার পর থেকে ভাতাভোগীরা স্বচ্ছতার সঙ্গে ভাতার টাকা উত্তোলন করতে পারছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ালেও এসব ভাতাভোগীসহ স্বল্প আয়ের মানুষজন যেকোনো উপায়ে পরিবার-পরিজনদের জীবন নির্বাহ করছেন। স্বল্প আয়ের মানুষকে সহায়তা দেওয়ার সময় প্রতিটি দপ্তর সমন্বয় করে দেওয়া হলে নিম্নআয়ের মানুষ সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে না। সরকার কিন্তু ভাতাভোগীসহ নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি অব্যাহত রেখেছেন। তবে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেকে জানানো হবে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী

বৈভব সূর্যবংশী। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলামে দল পাওয়ার পরই হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। কারণ ওই সময়ে তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে অভিষেক হতে হতে যা ১৪ পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বুঝতেই দেননি অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে বয়সের ফারাকটা। প্রথম বলেই কাভার অঞ্চলের ওপর দিয়ে যেভাবে বলটাকে সীমানাছাড়া করলেন, তাতে চোখ জুড়ানো নেটিজেনরা বলে বসলেন ‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’!

বৈভব সূর্যবংশীর জন্ম হয়েছিল ২০১১ সালের ২৭ মার্চ, ততদিনে আইপিএলের দুটি আসর শেষে তৃতীয়টির অপেক্ষা। আর তার জন্মের বছরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। সেই ক্রিকেটার আইপিএলের অষ্টাদশ আসরেই সুযোগ পেয়ে যাবেন এমনটা হয়তো কেউ ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেনি। বৈভবকে আইপিএলের মেগা নিলামে ১.১ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।

বৈভবের জন্য আরও আনন্দের বিষয় কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে পাওয়া। যদি আইপিএলের চলতি আসরে তাকে খেলানোর সম্ভাবনা কমই ছিল। কিন্তু রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ইনজুরি তার অভিষেকের ক্ষণটা এগিয়ে আনে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গতকালই অভিষেক হয়ে গেল বিহারের এই বিস্ময়-বালকের। তবে ম্যাচটিতে তাকে ফিল্ডিং করতে হয়নি। ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে কেবল ব্যাটিংয়েই নামেন বৈভব, অভিষেকেই খেললেন ২০ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ক্যামিও ইনিংস।

আইপিএলের প্রথম ম্যাচে বৈভবের যত রেকর্ড-

আইপিএলের মঞ্চে বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা, সেটাই প্রমাণ করলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। ব্যাট হাতে অভিষেকেই ঝড় তুলেছেন এই কিশোর। প্রথম বলেই হাঁকালেন ছক্কা, গড়লেন একাধিক রেকর্ড—আর তাতেই ক্রিকেটবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে "অ্যা স্টার ইজ বর্ন" জ্বর!

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে বিহারের এই বিস্ময়বালকের। মাত্র ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে মাঠে নামা খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান বৈভব। এর আগে রেকর্ডটি ছিল প্রয়াস রায় বর্মণের (১৬ বছর ১৫৭ দিন) দখলে।

কিন্তু বৈভব এসেই যেন দেখালেন, তিনি এসেছেন ইতিহাস গড়তে। ইনিংসের প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারেন ছক্কা—যা তাকে বানিয়েছে আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সে ছয় মারা ক্রিকেটার। এতোদিন রেকর্ডটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসেরই রিয়ান পরাগের (১৭ বছর ১৬১ দিন) নামে।

শুধু এখানেই থামেননি বৈভব। আইপিএলে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানো ক্রিকেটারদের ক্লাবে তিনিই দশম সদস্য। সেই তালিকায় আছেন আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, মহেশ থিকশানা, রব কুইনিসহ আরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

২১ মার্চ ২০১১ জন্ম নেওয়া বৈভব যখন এই ইনিংস খেলেন, তখন হয়তো অনেকেই ভুলে গিয়েছিলেন তার বয়স মাত্র ১৪। কারণ তার ব্যাটিংয়ে ছিল পরিপক্বতা, ছিল আত্মবিশ্বাস। ২০ বলে ৩ চার ও ২টি বিশাল ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলে স্ট্রাইক রেট ছুঁয়েছেন ১৭০।

যদিও ইনিংসের শেষ দিকে একটি ভুল শটে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নেন এই কিশোর তারকা। ফেরার সময় চোখে জল লেগে ছিল—যা তার খেলায় আবেগ ও দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়।

রাজস্থানের ইনিংস থেমেছে ১৭৮ রানে, ১৮০ রানের লক্ষ্যে। ২ রানের হার সঙ্গী হলেও, এই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন বৈভবই।

Header Ad
Header Ad

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশকিছু দাবির কথা বেলেন। তিনি ব‌লেন, ফ্যা‌সিবা‌দী আম‌লে হেফাজ‌তের বিরু‌দ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সা‌লে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংষ্কার ক‌মিশ‌নের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও ক‌মিশন বা‌তিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফি‌লিস্তান‌রে গণহত্যার প্র‌তিবাদে আগামী মঙ্গলবার থে‌কে ১ সপ্তাহ গণসং‌যোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ প্রতি জেলা উপ‌জেলায় বি‌ক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

Header Ad
Header Ad

আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন

প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী প্রশংসা দিবস। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনটি পালন করা হয়—যার মূল উদ্দেশ্য পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

স্বামীদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের প্রচলন। যদিও দিবসটির সূচনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক জীবনে স্বামীর ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসা স্বীকার করতেই দিনটি উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, যেখানে স্বামীরা শুধু উপার্জনের দায়িত্বই পালন করছেন না, পাশাপাশি ঘরের কাজ, সন্তান লালন-পালনসহ পারিবারিক নানা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন—তাদের জন্য এমন একটি দিন আয়োজনের যৌক্তিকতাও বাড়ছে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাউকে সামান্যভাবে প্রশংসা করলেও তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হয় আরও মজবুত। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্কে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই দিনে স্বামীকে একটি চিরকুট, শুভেচ্ছা বার্তা বা ছোট্ট কোনো উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো যেতে পারে। এমনকি শুধু মৌখিকভাবে “তুমি অনেক ভালো করছো” বলাটাও হতে পারে প্রশংসার অনন্য উপায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবার গঠনের পথে যেমন স্ত্রীর অবদান রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ভূমিকাও কম নয়। কাজেই সম্পর্কের ভারসাম্য ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এমন দিনে সামান্য ভালোবাসা ও স্বীকৃতিই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানো কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার এক চমৎকার অভ্যাস। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষভাবে জানানোর এক দারুণ সুযোগ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
উত্তরায় প্রকাশ্যে যুবককে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু