চিলাহাটি-মংলা পর্যন্ত রেলপথ ব্যবহার করতে চায় ভুটান

বাংলাদেশের সাথে বানিজ্য সম্প্রসারণ ও একই সাথে খরচ কমাতে চিলাহাটি থেকে মংলা পর্যন্ত রেলপথ ব্যবহার করতে চায় ভুটান। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ও ঢাকা-মংলা বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে চিলাহাটি রেল স্টেশন পরিদর্শন শেষে এ আগ্রহের কথা জানান ভুটানী প্রতিনিধি দল। ভুটানি এ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিস শেওয়া লাদেন।
বৃহস্পতিবার ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চিলাহাটি রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন। তারা অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ঢাকা-মংলা থেকে মালামাল স্বল্প সময়ে ও সুবিধাজনক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বচক্ষে দেখেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তারা বলেন, অবকাঠামোগত কাজ শেষ করা গেলে এই রেলপথ দিয়ে বানিজ্যের বড় সম্ভবনা তৈরি হবে। একই সাথে চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু করা গেলে এই সম্ভবনা আরও বেশি গতি পাবে।
ভবিষ্যতে ভুটান ঢাকা ও মংলা পোর্ট থেকে পন্য পরিবহনে চিলাহাটি শুল্ক ও স্থলবন্দর ব্যবহার করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বর্তমানে ভারত থেকে আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহি মিতালি এক্সপ্রেস এবং পণ্যবাহী রেল চিলাহাটি স্টেশন হয়ে বাংলাদেশে চলাচল করছে। তবে বাংলাদেশের সাথে বানিজ্য সম্প্রসারণে এবং খরচ কমাতে এই রেলপথ ব্যবহার করতে আগ্রহ দেখিয়েছে ভুটান।
বর্তমানে বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে সড়ক পথে পণ্য আমদানি রপ্তানি হচ্ছে। তবে চিলাহাটি রেলপথ ব্যবহার করা গেলে মংলা বন্দরের দুরত্ব যেমন কমবে একই সাথে অনেক বেশি পণ্য আনা নেয়া করা যাবে। ফলে খরচ ও দুরত্ব দুইই কমবে। আর সে কারনে ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে বানিজ্য সম্প্রসারনে এই রেলপথ নতুন সম্ভবনা হয়ে দেখা দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে এডিবির একজন বিশেষজ্ঞকে সাথে নিয়ে ভুটানের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল চিলাহাটি স্টেশন পরিদর্শন করেন। এসময় লুপ লাইনসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখেন। এর আগে রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে তারা একটি বৈঠক করেন।
পরিদর্শন শেষে ভুটান প্রতিনিধি দলের পক্ষে সফরে আসা এডিবি কনসালট্যান্ট ফিরোজ আহম্মেদ জানান, এই রেলপথ ব্যবহার করা গেলে মংলা বন্দরে সহজে বানিজ্যের সুযোগ তৈরি হবে। এসময় চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু করা গেলে বানিজ্যের ক্ষেত্র বাড়বে।
এসময় চিলাহাটি স্টেশনে ভুটান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট কমল প্রধান, বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) প্রধান বানিজ্যিক ব্যবস্থাপক সুজিত কুমার বিশ্বাস, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক পাকশি শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ, প্রকল্প পরিচালক চিলাহাটি হলদিবাড়ি রেলপথ প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রমিজ আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এএজেড
