শ্বশুরবাড়ির উপহারের হাঁস পাড়ছে কালো ডিম

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মিলল পাতি হাঁসের কালো ডিম। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পাতি হাঁসের কালো ডিম দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন কৌতুহলী মানুষ।
জানা যায়, উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের যুবক ইব্রাহিম আলী ৫টি দেশি হাঁস পালন করেন। অনার্স শেষ বর্ষের এই শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি হাঁস পালন করেন। গত ২৯ অক্টোবর তার একটি হাঁস কালো ডিম দেয়। পরদিন আবারও একই ঘটনা ঘটলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। দূর-দূরান্ত থেকে হাঁসের কালো ডিম দেখতে ভিড় জমায় শতশত মানুষ।
ইব্রাহিম আলী জানান, ৬ মাস আগে শশুরবাড়ি থেকে উপহার পাওয়া ৫টি হাঁস উপহার পান তিনি। তিনি ও তার স্ত্রী রেহেনা বেগম হাঁসগুলো লালন-পালন করছেন। ২৯ অক্টোবর (শনিবার) সকালে হাঁসের খোপড়া (বাসস্থান) থেকে একটি কালো ডিম দেখতে পান তিনি।
তিনি বলেন, প্রথমে ডিমটি দেখে অবাক হই। পরে বাড়ির অন্য সদস্যদের ডাকি এবং ডিমটি বের করে আনি। পরদিন ৩০ অক্টোবর একই ধরনের আরেকটি ডিম পাড়ে হাঁস। এই খবরে প্রতিবেশী থেকে শুরু করে দূর-দূরান্তের গ্রাম থেকেও মানুষ একনজর ডিমটি দেখতে বাড়িতে ভিড় করতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, হাঁসগুলোকে স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রাকৃতিকভাবেই সেগুলো প্রতি পালন হচ্ছে।
৭০ বছর বয়সী প্রতিবেশী মোজাহার আলী বলেন, এই বয়সে প্রথমবার হাঁসের কালো ডিম দেওয়ার কথা শুনলাম ও দেখলাম।
ইব্রাহিমের ভাবি সাহিদা বেগম বলেন, হাঁসটি অন্যান্য হাঁসের মতো স্বাভাবিক চলাফেরা করছে। কিন্তু অবাক কাণ্ড! কীভাবে কালো ডিম দিচ্ছে হাঁসটি? জীবনের এই প্রথম হাঁসের কালো ডিম দেখলাম।
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আশিকুজ্জামান বলেন, নারায়নপুরে পাতি হাঁসের কালো ডিম পাড়ার সংবাদটি পেয়েছি। এটি একটি বিরল ঘটনা। এটা অস্বাভাবিক ব্যাপার।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, হাঁসের জরায়ুতে কোনো ইনফেকশন থাকার কারণে এমন হতে পারে। এ ছাড়া ডিম তৈরির যে পরিমাণ পিগমেন্টের দরকার তা যদি অনুপস্থিত থাকে তাহলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
এসজি
