খাদ্য কর্মকর্তা যখন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত

দীর্ঘ দিন ধরে ঠাকুরগাঁও খাদ্য গুদামের ভালো চাল বাইরে বিক্রি এবং ভালো চালের পরিবর্তে গুদামে কমদামি ও নিম্নমানের চাল সংরক্ষণের অভিযোগ উঠেছে খোদ খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রবণ কুমার গোস্বামীর বিরুদ্ধে। আর তার এই অনিয়মের সাক্ষ্য দিতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন গুদাম শ্রমিকরা। কেবল মারধরেই সীমাবদ্ধ নয়, অনবরত তাদের দেওয়া হচ্ছে হুমকি ধামকি।
এদিকে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের পক্ষ থেকে করা হয় তদন্ত কমিটি। সেই তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। তবে শ্রমিকদের মারধরের ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে।
জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাল সংগ্রহ হয় ঠাকুরগাঁও সদর সরকারি এই খাদ্য গুদামে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে যোগদানের পর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের যোগসাজশে নিজের ইচ্ছেমতো চাল সংগ্রহ শুরু করেন প্রবণ কুমার। বাড়তি অর্থ লুফে নিতে জেলার বিভিন্নস্থান থেকে একের পর এক ট্রাক যোগে হাইব্রিড ধানের চাল গুদামে সংরক্ষণের পর সুযোগ বুঝে মিলারদের সংরক্ষিত গুটি ও বেশি দামি চাল বের করে বিক্রি করে আসছেন তিনি। বেশ কয়েক মাস ধরেই গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ঘুরপাক খাওয়ায় সবশেষ ২০ অক্টোবর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ৪ সদস্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এর সত্যতা পেয়েছে ওই কমিটি।
আর শ্রমিকদের মারধরের ঘটনায় ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর অভিযোগ করেছেন শ্রমিকরা।
সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রিয়াজুল ইসলাম এবং খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রবণ কুমার গোস্বামী অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করেন। তবে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।
অন্যদিকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। আর মারধরের ঘটনা তদন্তে করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানান খাদ্যের এই কর্মকর্তা।
গত ২০২১-২২ আমন মৌসুমে সদরের এই খাদ্য গুদামে চালকল মালিকদের কাছে ৮ হাজার ৬৫২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ।
এসজি
