রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আকাশ সংস্কৃতির দাপটে জৌলুশ হারাচ্ছে ‘ধামের গান’

সনাতন ধর্মালম্বীদের লক্ষ্মীপূজা ও কালীপূজাকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ধামের গান। সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের সাধারণ ঘটনা রঙ্গরসের মাধ্যমে পরিবেশনার কারণে ধামের গান উত্তরাঞ্চলের সব শ্রেণির মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। অনেকটা সৌখিনতার স্বাদে জমকালো ভাবেই আয়োজন হয় এই ধামের গান উৎসব।

রঙ-বেরঙের কাপড় টাঙিয়ে ও মাটির উঁচু ঢিবির চারপাশে বাঁশের ঘের দিয়ে বানানো হয় মঞ্চ। সেখানে রাতভর অভিনয় সহকারে গান গাওয়া হয়। দৈনন্দিন জীবনযাপনের নানা উপকরণ নিয়েই গল্প ও গান তৈরি হয়। প্রান্তিক কিংবা সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, সাংসারিক জটিলতা, প্রেম, পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের অবহেলা, দুশ্চরিত্রের লাম্পট্যসহ যাবতীয় বিষয়াদি অত্যন্ত সহজভাবে উঠে আসে এসব গানে। জটিল বিষয়গুলোকেও হাস্যরসের মাধ্যমে চিত্তাকর্ষক করে তোলা হয় অভিনয়ের মাধ্যমে।

স্থানীয়দের দাবি, আকাশ-সংস্কৃতির প্রভাব আর তেমন অর্থকড়ি না থাকায় এখন আর আনাগোনা নেই ধামের দলের, আসরও জমে না তেমন। তবে জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ধামের গানের স্বীকৃতি ও প্রসারের জন্য চেষ্টা করা হবে।

আকাশ সংস্কৃতি ও স্মার্ট ফোনের যুগে আগের মতো চাহিদা না থাকায় দিন দিন জৌলুস ‍হারাতে বসেছে ঠাকুরগাঁওয়ের এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী এই লোকনাট্য সংগীত। সাধারণত শীতের আগমনী থেকে শুরু হয়ে সারা শীত মৌসুমজুড়ে ধামের গানের আসর বসে জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

ধামের গানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও বয়োবৃদ্ধদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের স্থানীয় লোকনাট্যই ‘ধামের গান’ নামে পরিচিত। একে অঞ্চল ভেদে সোরীগান বলেও চিহ্নিত করা হয়। ধামের আভিধানিক অর্থ গৃহ বা স্থান। কারো কারো মতে, স্থানীয় ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে যে স্থানে পুণ্যার্থীদের সমাগম হয় তাকেও ধাম বলে। এই ধামে উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশে যে সাংস্কৃতিক আয়োজন বা পরিবেশনা তাই মূলত ধামের গান।

অন্যান্য লোকনাট্যের মতো ধামের গানেও নৃত্য, গীত ও অভিনয়ের মাধ্যমে একটি কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়। তবে আসরে বসেই ঠাকুরগাঁওয়ের আঞ্চলিক ভাষায় তাৎক্ষণিকভাবে এ গান রচিত ও পরিবেশন করেন ধামের গানের শিল্পীরা।

এই গানের ধারার প্রচলনের সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে ৯০ বছর বয়সী প্রবীণ ধামের গানের শিল্পী সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের মাহিন্দ চন্দ্র পাল জানায়, এই গানের কথা তিনি তার বাবা-দাদার কাছে শুনেছেন। ২০ বছর বয়স থেকেই তিনি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। শুরুর দিকে আসর থেকে তিনি পারিশ্রমিক হিসেবে কমিটির কাছ থেকে পেতেন ৩০/৪০ টাকা। বয়সের কারণে বর্তমানে আর গান করা হয়ে ওঠে না। তবে বাড়ির আশপাশে ধামের আসর বসলে ছুটে যান তিনি।

ধামের গানের দল পুরুষকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। প্রতিটি দলে ১২ থেকে ২৫ জন সদস্য থাকেন। চরিত্র অনুযায়ী পুরুষরাই নারী সেজে অভিনয় করেন। সাধারণত শীতের দিনে বিকাল বা সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি চলে এই গান-অভিয়নের আসর। নানা ঢংয়ে গান ও সেই সঙ্গে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয়ের চেষ্টা করেন দলের সদস্যরা। তবে ধামের দলের সদস্যরা পুরুষ হলেও এই অঞ্চলের নারীদের মধ্যেই ধামের গানের জনপ্রিয়তা বেশি। তাই সংসারের ‍কাজকর্ম সামলে সন্ধ্যার আগেই আসরে এসে বসেন গ্রামের কিশোরী-তরুণী ও গৃহবধূরা। বাদ যান না বাড়ির বৃদ্ধারাও।

ধামের গানের শিল্পী জয়ন্ত পাল ও প্রেমা পাল জানান, এটা তাদের পূর্ণ পেশা নয়। গ্রামাঞ্চলের মানুষকে বিনোদন দিতেই ধামের গানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তারা।

এদিকে আকচা ইউনিয়নের বলদিয়া ধামের দলের সঙ্গে আসা এক অভিনেতা শুকুল পাল জানান, কয়েক বছর ধরে ধামের গান করে আসছেন। কিন্তু আগের মতো আর এর কদর নেই। আসরও জমছে না।

তার দলে ১৭ জন সদস্য রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও জানান, কর্মীদের তেমন পারিশ্রমিকও দিতে পারেন না এখন। এক পালা থেকে অন্য পালায় যাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু কোনও মতো খরচ উঠে আসছে শুধু।

জানা গেছে, ধামের আসরগুলোতে শিল্পীদের বসার তেমন ব্যবস্থা নেই। থাকে না আলোকসজ্জাও। খোলা আকাশের নিচে বসেই প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হয় অভিনয় মঞ্চে। অর্থের যোগান না থাকায় শিল্পীদেরও উপযুক্ত সম্মানী দিতে পারেন না আয়োজকরা। তবু সামান্য পারিশ্রমিকেই শিল্পীরা খুশি মনে করে যান ধামের গান।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেও বিগত কয়েক বছর ধরে ধামের গানের আয়োজন করে আসছেন সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মণ। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এ ধরনের উদ্যোগে অর্থের প্রয়োজন হয়। স্থানীয়ভাবে অর্থ সংগ্রহ করে এর আয়োজন করে থাকেন। তার ইউনিয়নের বেশ-কয়েকটি স্থানে এখন ধামের গানের আসর চলছে। এ অঞ্চলের গ্রামীণ লোক সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান অনুষজ্ঞ ও ঐতিহ্যবাহী। এ ধামের গান ধরে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা কালচারাল কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ধামের গান’ উত্তরাঞ্চলের সব শ্রেণির মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। সাধারণত শরৎ-হেমন্তকালে ধামের গানের আসর বসে। লক্ষ্মীপূজার পরের তিথি থেকে শুরু হয়ে চলে কালীপূজা পর্যন্ত। আকাশ সংস্কৃতির দাপটে গ্রামবাংলার জনপদ মাতানো এই সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে। ধামের গানের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে জেলা শিল্পকলা একাডেমির পাশাপাশি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো: মাহাবুবুর রহমান বলেন, ধামের গানের ঐতিহ্য ধরে রাখতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভূমিকা রাখবে এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ গানকে অন্যান্য জেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি জাতীয় গান হিসেবে স্বীকৃতির জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।

এসআইএইচ 

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী

বৈভব সূর্যবংশী। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলামে দল পাওয়ার পরই হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। কারণ ওই সময়ে তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে অভিষেক হতে হতে যা ১৪ পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বুঝতেই দেননি অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে বয়সের ফারাকটা। প্রথম বলেই কাভার অঞ্চলের ওপর দিয়ে যেভাবে বলটাকে সীমানাছাড়া করলেন, তাতে চোখ জুড়ানো নেটিজেনরা বলে বসলেন ‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’!

বৈভব সূর্যবংশীর জন্ম হয়েছিল ২০১১ সালের ২৭ মার্চ, ততদিনে আইপিএলের দুটি আসর শেষে তৃতীয়টির অপেক্ষা। আর তার জন্মের বছরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। সেই ক্রিকেটার আইপিএলের অষ্টাদশ আসরেই সুযোগ পেয়ে যাবেন এমনটা হয়তো কেউ ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেনি। বৈভবকে আইপিএলের মেগা নিলামে ১.১ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।

বৈভবের জন্য আরও আনন্দের বিষয় কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে পাওয়া। যদি আইপিএলের চলতি আসরে তাকে খেলানোর সম্ভাবনা কমই ছিল। কিন্তু রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ইনজুরি তার অভিষেকের ক্ষণটা এগিয়ে আনে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গতকালই অভিষেক হয়ে গেল বিহারের এই বিস্ময়-বালকের। তবে ম্যাচটিতে তাকে ফিল্ডিং করতে হয়নি। ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে কেবল ব্যাটিংয়েই নামেন বৈভব, অভিষেকেই খেললেন ২০ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ক্যামিও ইনিংস।

আইপিএলের প্রথম ম্যাচে বৈভবের যত রেকর্ড-

আইপিএলের মঞ্চে বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা, সেটাই প্রমাণ করলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। ব্যাট হাতে অভিষেকেই ঝড় তুলেছেন এই কিশোর। প্রথম বলেই হাঁকালেন ছক্কা, গড়লেন একাধিক রেকর্ড—আর তাতেই ক্রিকেটবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে "অ্যা স্টার ইজ বর্ন" জ্বর!

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে বিহারের এই বিস্ময়বালকের। মাত্র ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে মাঠে নামা খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান বৈভব। এর আগে রেকর্ডটি ছিল প্রয়াস রায় বর্মণের (১৬ বছর ১৫৭ দিন) দখলে।

কিন্তু বৈভব এসেই যেন দেখালেন, তিনি এসেছেন ইতিহাস গড়তে। ইনিংসের প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারেন ছক্কা—যা তাকে বানিয়েছে আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সে ছয় মারা ক্রিকেটার। এতোদিন রেকর্ডটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসেরই রিয়ান পরাগের (১৭ বছর ১৬১ দিন) নামে।

শুধু এখানেই থামেননি বৈভব। আইপিএলে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানো ক্রিকেটারদের ক্লাবে তিনিই দশম সদস্য। সেই তালিকায় আছেন আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, মহেশ থিকশানা, রব কুইনিসহ আরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

২১ মার্চ ২০১১ জন্ম নেওয়া বৈভব যখন এই ইনিংস খেলেন, তখন হয়তো অনেকেই ভুলে গিয়েছিলেন তার বয়স মাত্র ১৪। কারণ তার ব্যাটিংয়ে ছিল পরিপক্বতা, ছিল আত্মবিশ্বাস। ২০ বলে ৩ চার ও ২টি বিশাল ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলে স্ট্রাইক রেট ছুঁয়েছেন ১৭০।

যদিও ইনিংসের শেষ দিকে একটি ভুল শটে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নেন এই কিশোর তারকা। ফেরার সময় চোখে জল লেগে ছিল—যা তার খেলায় আবেগ ও দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়।

রাজস্থানের ইনিংস থেমেছে ১৭৮ রানে, ১৮০ রানের লক্ষ্যে। ২ রানের হার সঙ্গী হলেও, এই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন বৈভবই।

Header Ad
Header Ad

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশকিছু দাবির কথা বেলেন। তিনি ব‌লেন, ফ্যা‌সিবা‌দী আম‌লে হেফাজ‌তের বিরু‌দ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সা‌লে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংষ্কার ক‌মিশ‌নের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও ক‌মিশন বা‌তিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফি‌লিস্তান‌রে গণহত্যার প্র‌তিবাদে আগামী মঙ্গলবার থে‌কে ১ সপ্তাহ গণসং‌যোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ প্রতি জেলা উপ‌জেলায় বি‌ক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

Header Ad
Header Ad

আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন

প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী প্রশংসা দিবস। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনটি পালন করা হয়—যার মূল উদ্দেশ্য পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

স্বামীদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের প্রচলন। যদিও দিবসটির সূচনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক জীবনে স্বামীর ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসা স্বীকার করতেই দিনটি উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, যেখানে স্বামীরা শুধু উপার্জনের দায়িত্বই পালন করছেন না, পাশাপাশি ঘরের কাজ, সন্তান লালন-পালনসহ পারিবারিক নানা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন—তাদের জন্য এমন একটি দিন আয়োজনের যৌক্তিকতাও বাড়ছে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাউকে সামান্যভাবে প্রশংসা করলেও তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হয় আরও মজবুত। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্কে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই দিনে স্বামীকে একটি চিরকুট, শুভেচ্ছা বার্তা বা ছোট্ট কোনো উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো যেতে পারে। এমনকি শুধু মৌখিকভাবে “তুমি অনেক ভালো করছো” বলাটাও হতে পারে প্রশংসার অনন্য উপায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবার গঠনের পথে যেমন স্ত্রীর অবদান রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ভূমিকাও কম নয়। কাজেই সম্পর্কের ভারসাম্য ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এমন দিনে সামান্য ভালোবাসা ও স্বীকৃতিই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানো কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার এক চমৎকার অভ্যাস। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষভাবে জানানোর এক দারুণ সুযোগ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
উত্তরায় প্রকাশ্যে যুবককে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু