পঞ্চগড়ে আওয়ামী লীগ নেই, আছে সুজন-সম্রাট লীগ!
পঞ্চগড়ে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ চলে না। এখানে চলে সুজন-সম্রাট লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথমন্ত্রী) ও সাধারণ সম্পাদক সম্রাট এবং তাদের যে হাত গুলো আছে বিগত নির্বাচনে (২০১৬ সালে) তারা আমাকে পরাজিত করেছিল। ঠিকই একই কায়দায় এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু তোয়বুর রহমানকে পরাজিত করেছে। পঞ্চগড় জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারের কারণ আওয়ামী লীগই।
পঞ্চগড় জেলা পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক শুক্রবার দুপুরে পঞ্চগড় প্রেস ক্লাব হলরুমে জেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা টাকার কাছে হেরেছি। জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা অনেকে দিনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু তোয়বুর রহমানের মোটরসাইকেল মার্কার পক্ষে এবং রাতে জেলা চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হান্নান শেখের চশমা মার্কার হয়ে কাজ করেছেন। টাকার কাছে তারা বিক্রি হয়েছেন।
পঞ্চগড় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি তারেক ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুজনের চাচাতো ভাই ও ময়দানদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জব্বার ও সুজনের ভাতিজা প্রকাশ্য দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরোধিতা করেছেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হয়েছে তারাও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরোধিতা করেছে। এর মধ্যে মাগুড়ার জোতিষ, গড়িনাবাড়ির দিপুও ছিল।
বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি এখনো অনুমোদন পায়নি। তাই দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ এ কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি করবেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসব নেতাদের যেন মনোনয়ন না দিতে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করে তিনি আরও বলেন, এদের মনোনয়ন দিলে নৌকা জিতবে না। এদের বাইরে নতুন কাউকে মনোনয়ন দেয়া হোক। সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যেমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দলের গ্রুপিং বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়নি। এখানে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগই চলে। অন্য কোন লীগ নেই। এটা ওনার ব্যাক্তিগত অভিমত। নির্বাচনে হারলে সবাই এমন কথা বলে। বরং এর আগে গত জেলা পরিষদ উপনির্বাচনে (২০১৯) উনি আমার বিরুদ্ধে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী দাড় করিয়েছিলেন। আমি ও জেলা আওয়ামী লীগ দলের প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছিলেন বলেই আবু তোয়বুর রহমান এতগুলো ভোট পেয়েছেন। তা না হলেও পেতেন না।
এএজেড