ফুলবাড়ীতে সাধারণ সদস্য পদে নারী প্রার্থীর জয়লাভ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সোমবার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এর মাধ্যমে কোনও ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপুর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদ ছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে নারী প্রার্থীরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এই প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে একমাত্র নারী সাধারণ সদস্য হিসেবে জয় লাভ করেছেন ৩ নং ওয়ার্ড ফুলবাড়ী উপজেলার প্রার্থী মোছা. মনোয়ারা বেগম। তিনি হাতি প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন।
একমাত্র নারী প্রার্থী মনোয়ারা বেগম পুরুষ প্রার্থীর সাথে ভোটে লড়ে সাধারণ সদস্য পদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করায় ফুলবাড়ী উপজেলাসহ কুড়িগ্রাম জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। মনোয়ারা বেগম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী সরকারের সহধর্মীনী।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়,৩ নং ওয়ার্ডে (ফুলবাড়ী) সাধারণ সদস্য পদে হাতি প্রতীক নিয়ে ৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মনোয়ারা বেগম। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম মন্ডল বুলবুল। তিনি তালা প্রতীকে ভোট পেয়েছে ৩৪ টি। উপজেলায় ৬ ইউনিয়নে মোট ভোট সংখ্যা ছিল ৮১।
জীবনের প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয় লাভ করায় আনন্দে ভাসছেন মনোয়ারা বেগমসহ তার পরিবার। তিনি তার অবস্থান থেকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গরীব-অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন। বিজয় লাভের পর নিজের অনুভূতি জানতে চাইলে মনোয়ারা বেগম জানান, আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি এবং আল্লাহ আমার মনের আশা পুরণ করেছে। তাই আমার বিজয়ের জন্য সম্মানিত ভোটার ও এলাকাবাসীর প্রতি চির কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের জন্য কাজ করতে চাই।
স্ত্রীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী সরকার জানান, এবার আমার স্ত্রী আমাকে বললেন, সারাজীবন কিছু চাইনি। আমি এবার জেলা পরিষদ নির্বাচন করতে চাই। প্রথমে রাজি না হলেও পরে রাজি হয়ে যাই এবং স্ত্রীর বিজয়ের লক্ষ্যে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চেয়েছি। সম্মানিত ভোটাররা আমার স্ত্রীকে ভোট দিয়ে জয়লাভ করায় ভোটাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার নয় উপজেলাকে ৯ টি ওয়ার্ড ও তিনটি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়। ৯ ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে মোট ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৩ নং ওয়ার্ডে (ফুলবাড়ী) মনোয়ারা বেগম এবং ৪ নং ওয়ার্ডে (সদর) মোছা. জেসমিন আরা বেগম সাধারণ সদস্য পদে পুরুষদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও হেরে যান। তিন ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ১০ প্রার্থী।
এর মধ্যে সাধারণ সদস্য পদে ৯ জন সদস্য এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে তিনজন নারী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলীকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। জাফর আলী এর আগের মেয়াদেরও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এএজেড