ডোমার বন বিভাগের ৬০০ একর জমি বেদখল
সামাজিক বন বিভাগ রংপুর অঞ্চলের অধীনে নীলফামারীর ডোমার বন বিভাগের ৬০০ একর জমি বেদখল হয়ে গেছে। এসব জমি দখল মুক্ত করতে একশ’র বেশি মামলা আদালতে চলমান বলে ডোমার বন বিভাগ জানিয়েছে। একই সঙ্গে জনবল সংকটও রয়েছে এখানে।
ডোমার বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ডোমার ফরেস্ট রেঞ্জে ৩ হাজার ০.৫৩ একর জমি রয়েছে। তার মধ্যে ৫৯০.৯৯ একর জমি দীর্ঘ দিন থেকে বেদখল হয়ে আছে। এসব জমি কত দিন থেকে বেদখল হয়ে আছে জানে না ফরেস্ট রেঞ্জের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী। জমিগুলো দখল মুক্ত করতে ১০০’র বেশি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন থেকে জনবল সংকটে ভুগছে ডোমার বন বিভাগ। ১৩ জন কর্মকর্তা কর্মচারী দিয়ে চলছে ডোমার-ডিমলা উপজেলার ৭টি বিট ও রেঞ্জ অফিস। জনবল সংকটের কারণে ডোমার সদর ও ছাতুনা এই ২ বিটেই দায়িত্বে পালন করছেন বিট অফিসার রেজাউল করিম।
গোমনাতি বিটের স্টাফ আব্দুল আলিম জানান, এই বিটে আমরা দুজন থাকি। রাতের আঁধারে কিছু লোক বন বিভাগের জমিতে থাকা গাছ, বাঁশ কেটে সাবাড় করছে। গাছ কেটে তৈরি করছে আবাদি জমি। গোমনাতি বিটে ৩১৪.১৫ একর জমি রয়েছে তার মধ্যে ৬২.৫৫ একর জমি ভূমিদস্যুদের দখলে। কিছু বলতে গেলে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেন তারা। গত ৯ অক্টোবর গোমনাতির একটি স’মিল থেকে ২৩টি গাছের ৯০.২০ ঘনফুট লক উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জনবল সংকটের ব্যাপারে জানতে চাইলে ডোমার ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আ. মান্নান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ৩৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জায়গায় ১৩ জন কর্মকর্তা কর্মচারী দিয়ে চলছে ৭টি বিট। আমাদের ডোমার ফরেস্ট রেঞ্জে ৩ হাজার ০.৫৩ একর জমি আছে। তার মধ্যে ৫৯০.৯৯ একর জমি বেদখল হয়েছে। জনবল সংকটের কারণে জমিগুলো দখলে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। একটি বিটে কমপক্ষে চারজন করে জনবল প্রয়োজন। জনবল না থাকায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। জমিগুলো দখল মুক্ত করতে ৭টি বিটে ১০০’র বেশি মামলা আদালতে চলমান। জমিগুলো উদ্ধার ও জনবল সংকটের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এসএন