রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেনার অভিযোগ
রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলুর (মোটরসাইকেল) বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের মধ্যে টাকা বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইলিয়াস আহমেদ (আনারস) নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মোছাদ্দেক হোসেন বাবলুর প্রার্থীতা বাতিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রির্টানিং কর্মকতার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
জানা যায়, রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু অংশ নিলে দলীয় নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এদিকে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হলফনামায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছাদ্দেক হোসেন বাবলুর হাতে নগদ টাকা ১৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার ৫২৪ টাকা এবং আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ইলিয়াস আহমেদের হাতে নগদ ৩০ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু লাহিড়ীরহাটে একটি অফিসে ইউপি সদস্যদের ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগে উঠে। এ বিষয়ে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এরপর বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ইলিয়াস আহমেদ নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মোছাদ্দেক হোসেন বাবলুর প্রার্থীতা বাতিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রির্টানিং কর্মকতা জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন। আবেদনে জানানো হয়, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোছাদ্দেক হোসেন ভোটার প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে নির্বাচন ফলাফল তার পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
ইলিয়াস আহমেদ বলেন, আমি ছাত্র রাজনীতি, যুব রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ করে এখন জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। রাজনীতি করা মানুষের কাছে বর্তমানে রাজনীতি নেই। রাজনীতি চলে গেছে টাকাওয়ালাদের কাছে। তাই জনপ্রিয়তা না থাকা সত্ত্বেও টাকা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ভোট কিনে নির্বাচনে জয়লাভের চেষ্টা করছে। টাকার বিনিময়ে যদি আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়, তবে এ হার রংপুরবাসীর হবে। আমি রির্টানিং কর্মকর্তার কারছে নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি কোথাও যাইনি, বাসায় ছিলাম।
এসএন