পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি, নিহত পরিবারকে সহায়তা ২১ লাখ

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা অর্থসহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকার নিহতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বজনদের হাতে এই অর্থসহায়তা তুলে দেন দলটির আমীর ডা. মুহম্মদ শফিকুর রহমান। একই সঙ্গে শোকাহত পরিবারগুলোকে সমবেদনা জানান তিনি।
নৌকাডুবিতে নিহত ৬৯ জনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাট পরিদর্শন করেন ডা. শফিকুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন- দলটির সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওঃ আব্দুল আলীম, পঞ্চগড় জেলা আমীর ইকবাল হোসেন, সাবেক জেলা আমীর মাওঃ আব্দুল খালেক, জামায়াত নেতা অ্যাড. আজিজুল ইসলাম প্রমূখ।
এর আগে, গত রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া উপলক্ষে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া আউলিয়া ঘাট থেকে শতাধিক মানুষ শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকায় করে বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন। ঘাট থেকে নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পর দুলতে শুরু করে। এক পর্যায়ে নৌকাটি ডুবে যায়। পরে উদ্ধার অভিযান শুরু করে প্রশাসন। এঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ৬৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৩ জন।
স্থানীয়রা জানান, বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীর অপরপাড়ে বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া পূজা উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। রবিবার দুপুরের দিকে মূলত ওই ধর্মসভায় যোগ দিতে সনাতন ধর্মালম্বীরা নৌকা যোগে নদী পার হচ্ছিলেন। তবে ৫০ থেকে ৬০ জনের ধারণ ক্ষমতার নৌকাটিতে দেড় শতাধিক যাত্রী ছিল।
এদিকে, ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়কে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠণ করে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায় ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, তদন্ত কমিটির সদস্যরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান, মরদেহ উদ্ধার এবং পরিবারকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদানে সক্রিয় থাকায় তদন্ত প্রতিবেদনের সময় তিন দিন বাড়ানো হয়েছে।
এএজেড
