রংপুর চিড়িয়াখানায় ৩২ বছর পর জলহস্তির বাচ্চা প্রসব
রংপুর চিড়িয়াখানায় ৩২ বছর পর প্রথমবারের মতো জলনুপুর নামে জলহস্তি একটি বাচ্চা প্রসব করেছে। তবে বাচ্চাটি কোন লিঙ্গের তা নিশ্চিত করতে পারেনি কতৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে জলনুপুর বাচ্চা প্রসব করে। রংপুর চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. আমবার আলী তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রংপুর চিড়িয়াখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শাহাদৎ হোসেন জানান, জলহস্তি নুপুর ও কালোপাহাড়কে ২ হাজার সালের ১৭ আগস্ট জুটি হিসেবে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে নিয়ে আসা হয়। এর আগে একটি জলহস্তি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যায়। কালোপাহাড়ের জন্ম ২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর ও নুপুরের ২০১৭ সালের ১১ জুলাই। তাদের আদিনিবাস কেনিয়ায়। স্ত্রী জলহস্তি ৪ থেকে ৫ বছর ও পুরুষ ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং বাচ্চা জন্ম দিতে সক্ষম হয়। ১৯০ থেকে ২৪০ দিনের মধ্যে গর্ভধারণের পর পানিতেই একটি সাবক প্রসব করে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা বেজে ১৫ মিনিটে জলহস্তি নুপুর শাবকটি প্রসব করে। তবে শাবকটি কোন লিঙ্গের তা এখনো বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। নুপুরের শাবককে দেখতে চিড়িয়াখানায় উৎসুক দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন।
অন্যদিকে, চিড়িয়াখানায় এক জোড়া ঘোড়া থেকে এখন ৪টি ও গাধার জুটি থেকে ৬টিতে দাঁড়িয়েছে। এখন ৩টি গাধা গর্ভধারণ করেছে। আরও এক জোড়া বাঘ চট্টগ্রাম থেকে রংপুর চিড়িয়াখানায় আসার কথা জানালেন চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা। রংপুর চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৩১টি প্রজাতির ২৫১টি প্রাণী রয়েছে।
রংপুর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা মারুফা আক্তার জানান, জলহস্তির শাবক দেখে খুবই ভালো লাগছে। এখানে আসা এখন সার্থক মনে হচ্ছে।
রংপুর চিড়িয়াখানায় জ্যু অফিসার এইচএম শাহাদাত জানান, যখন বুঝতে পারলাম জলনুপুরের পেটে বাচ্চা এসেছে তখন থেকে তাকে বিশেষ পরিচর্যা শুরু করি। আট মাস প্রতীক্ষার পর সকাল সোয়া ৯টার দিকে জলহস্তিটি শাবক প্রসব করে। শাবকের ওজন ২৫-৩০ কেজি হবে। শাবকটি এখনো সুস্থ রয়েছে।
রংপুর চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. আমবার আলী তালুকদার জানান, জলহস্তির পেটে সাবক আসার পর থেকেই সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় ছিলাম আমরা। নিরাপদে সাবক প্রসবের জন্য ইতোমধ্যে পুরুষ জলহস্তিকে আলাদা আবাস স্থলে নেওয়া হয়েছে। অনুকূল পরিবেশের কারণে চিড়িয়াখানার সব বন্যপ্রাণী ও পাখিগুলো সুস্থ রয়েছে।
এসএন