রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কৃষক বেঁচে থাকলে দেশে খাদ্যের অভাব হবেনা: খাদ্যমন্ত্রী

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

কৃষকরাই দেশের প্রাণ। কৃষিই মূল চালিকা শক্তি। কৃষিতেই আমাদের সমৃদ্ধি। কৃষক বেঁচে থাকলে এদেশে খাদ্যের অভাব হবেনা- দুর্ভিক্ষও হবেনা বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে নিয়ামতপুর সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় "কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪ " এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার কৃষিতে যান্ত্রীকিকরণের পদক্ষেপ নেওয়ায় ফসল উৎপাদনে বিপ্লব ঘটেছে। এখন স্বল্প সময়ে সীমিত জমিতে অধিক ফসল ফলাতে সক্ষম হচ্ছে কৃষক।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি ও প্রযুক্তি মেলা আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি ও উচ্চফলনশীল জাতের সাথে কৃষককে পরিচিত করা হচ্ছে। কৃষকও সাদরে প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল গ্রহণ করছে। ধান উৎপাদন ও ভোগে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনেও তৃতীয় স্থানে আমরা।

তিনি বলেন,আওয়ামী লীগ কৃষকবান্ধব সরকার। শেখ হাসিনা কৃষকের বন্ধু।কৃষি প্রণোদনা দিয়ে- ভর্তূকি দিয়ে কৃষকের পাশে আছেন তিনি। সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ হলে কৃষির জমি বাড়বে,উৎপাদনও বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মডেল হিসেবে অনেক স্থানে সমবায় ভিত্তিতে চাষাবাদ হচ্ছে।এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে দিন দিন।

ধানের দাম কম বলে অভিযোগ ছিল।সরকার ধানের দাম বাড়িয়েছে। ৩০ টাকার ধানের দাম ৩২ টাকা করেছে সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিনিকেট নামে ধান নাই- চালও নাই। নতুন আইনে বস্তার গায়ে দাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যত্যয় ঘটলে ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

স্বাধীনতার সময় সাত কোটি মানুষ পান্তার পানি খেয়ে পার করেছি।দেশের মানুষ ১৭ কোটি পার হয়ে গেছে ,এখন খাদ্যরর অভাব নেই। প্রযুক্তি ও কৃষির সমন্বয়ের ফলে গতবছর এক কেজি চালও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় নি,এবছরও হবে না বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইমতিয়াজ মোর্শেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: ফরিদ আহমেদ, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান বিপ্লব এবং জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো: আবেদ হোসেন মিলন। স্বাগত বক্তব্য উপজেলা কৃষি অফিসার মো: কামরুল হাসান।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত এ মেলায় প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান (স্টল) অংশগ্রহণ করছে। স্টলগুলোতে কৃষি যন্ত্রপাতি ও উন্নত প্রজাতির বিভিন্ন ফসল প্রদর্শন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ১২৫০জন কৃষকের মাঝে উফশী জাতের ধানের বীজ বিতরণ করা হয়।

এর আগে খাদ্যমন্ত্রী নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।

Header Ad
Header Ad

ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন

ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলায় নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শহরের মুক্তির মোড়ে ওলামা মাশায়েখ, তাবলীগ সাথী ও সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে মার্কাস জামে মসজিদের খতিব জামিলুর রহমানের নেতৃত্বে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা ইজতেমায় হামলা ও হতাহতের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় তাবলীগ নামধারী বিপথগামী পথভ্রষ্ট উগ্র সন্ত্রাসী সাদপন্থীরা সন্ত্রাসী কায়দা হামলা চালিয়ে অন্তত চার জনকে হত্যা করে। এছাড়াও অসংখ্য শান্তিপ্রিয় সাধারণ মুসল্লী, ওলামাগণ নৃশংস হামলার শিকার হয়ে গুরুতর অবস্থায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাইভেট কিনে নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি ও সাদপন্থিদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি বজায় রাখতে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধনে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা ১ হাজারের বেশি মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

Header Ad
Header Ad

আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?

ফাইল ছবি

বোরো মৌসুমের পর চালের দাম বাড়তে থাকায় ক্রেতাদের আশা ছিল, আমন মৌসুমে দাম কমবে। শুরুতে সেই প্রত্যাশার কিছুটা প্রতিফলনও দেখা গিয়েছিল। আমন মৌসুমের শুরুতে কিছু প্রকারের চালের দাম এক-দুই টাকা পর্যন্ত কমেছিল। তবে, গত সপ্তাহ থেকে দাম বাড়তে শুরু করে, এবং চলতি সপ্তাহে সেই বৃদ্ধির গতি আরও তীব্র হয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের দাম বাড়তি প্রবণতা পেয়েছে পাইকারি এবং খুচরা দুই পর্যায়েই। গত দুই সপ্তাহে পাইকারি বাজারে ৫০ কেজির একেকটি বস্তার দাম বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে, যেখানে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৭ থেকে ৮ টাকা এবং মোটা ও মাঝারি চালের দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা।

দামের এই বৃদ্ধির জন্য খুচরা বিক্রেতা, পাইকারি ব্যবসায়ী, এবং মিল-মালিকরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। ব্যবসায়ীদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে চালের উঁচু দাম ও ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে আমদানি খরচ বাড়ছে, যা বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণ।

এ বিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট মাসিক বাজেট থাকে। হঠাৎ করে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে গেলে সেই ঘাটতি পূরণ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও চাল কিনতেই হয়, না খেয়ে তো আর থাকা যায় না।

বাজারে বর্তমানে সবচেয়ে সস্তা চাল গুটিস্বর্ণা, যার দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৫২ টাকায় পৌঁছেছে। পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়, আর মিনিকেট মানভেদে ৭২ থেকে ৭৮ টাকায়। নাজিরশাইল চালের দাম কেজিপ্রতি ৭৫ থেকে ৮০ টাকার নিচে নেই। খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন, মিলাররা সিন্ডিকেট করে বাজারে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এ বিষয়ে এক বিক্রেতা বলেন, মিলে দাম বেড়েছে। তারা চাল দিতে চায় না, অনেকে নতুন অর্ডারও নিচ্ছে না।

ধানের চড়া দামের অজুহাত তুলছেন আড়তদাররা। পাশাপাশি দাম বৃদ্ধির জন্য গুটিকয়েক করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কারসাজিকেও দায়ী করছেন তারা। এ বিষয়ে এক আড়তদার গণমাধ্যমকে বলেন, মিলাররা চালের দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা এতটা না বাড়ালেও পারতো। এক-দুইদিনের ব্যবধানে দুইশ থেকে চারশো টাকা দাম বাড়ার ইতিহাস কখনও নেই।

তবে স্থানীয় উৎপাদনে চালের চাহিদা মিটছে না বলে দাবি করেছেন মিল মালিকরা। তারা বলছেন, আমদানি করা চালের বাড়তি দাম এবং ডলারের উচ্চমূল্যের প্রভাব পড়ছে দামে।

বিষয়টি নিয়ে ফরহাদ হোসেন চকদার নামের এক মিল মালিক বলেন, আমদানি করা পণ্য খুব ধীরে দেশে আসছে। তাছাড়া সেগুলোর দামও চড়া। এর প্রভাব দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে পড়েছে। আমদানিতে খরচ কমলে দেশের বাজারেও দাম কমবে।

মোস্তাফিজার রহমান নামের এক আমদানিকারক বলেন, ডলারের দাম বাড়ার ফলে আমাদের আমদানি খরচ বেড়েছে। এজন্য খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে। ডলারের দামের লাগাম টানতে পারলে বাজারে স্বস্তি ফিরবে।

Header Ad
Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বনফুল হোটেল এলাকা ও সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকায় দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় এক নারীসহ ২জন নিহত হয়েছেন। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল সাতটার দিকে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর সড়কের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় দিনাজপুরমুখী অজ্ঞাতনামা একটি ট্রাক চাপা দিলে লুকাস মুরমু (৩০) নামের এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহত লুকাস গোবিন্দগঞ্জের সাপমারা ইউনিয়নের চামগাড়ী এলাকার হোপনা মুরমু'র পুত্র।

অপর দিকে একই দিন ভোরে শহরের বনফুল হোটেলের পাশে রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী অজ্ঞাতনামা একটি ট্রাক চাপায় অজ্ঞাতনামা (৪০) এক নারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘন কুয়াশার মধ্যে সড়ক পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে লুকাস মুরমু’র লাশ তার স্বজনের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। অপর দুর্ঘটনায় ওই নারীর মাথা পিষ্ট হওয়ায় তার কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান
আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস