বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বড় বোনের পর ছোট বোনের মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন পূরণ

দিবা ইসলাম। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

আমরা যেন ডাক্তারি পড়াশোনা করি, সেজন্য ছোটবেলা থেকেই আব্বু-আম্মু উৎসাহ দিয়ে এসেছে। তাঁদের কথা মতো সব সময় আমরা ভালো করে পড়াশোনা করেছি। আপু দুই বছর আগে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে, এবার আমিও চান্স পেলাম। এখন আমাদের চেয়ে আব্বু-আম্মুই বেশি খুশি।’

কথাগুলো বলছিলেন নওগাঁর মেয়ে দিবা ইসলাম। এবারের মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। বড় বোন রাহমানিয়া ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ২০২১-২০২২ সেশনের শিক্ষার্থী রাহমানিয়া বর্তমানে এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

তাঁদের সাফল্যের পিছনে রয়েছে নিজেদের চেষ্টা আর বাবা-মার সংগ্রাম। তাঁদের বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার রামরায়পুর সরদারপাড়া গ্রামে। বাবা আসাদুল ইসলাম রামরায়পুর দিঘীরপাড় উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মা দেওয়ান মোসলেমা বেগম গৃহিনী। মা-বাবা আর দুই বোনের সংসার তাঁদের।

দিবা ইসলাম

 

দুই বোনই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেছেন নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে দুইজনেই প্রাথমিক ও জেএসসিতে জিপিএ-৫ ও মেধাবৃত্তি পেয়েছেন। একই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসিতেও পান জিপিএ-৫। আবার উচ্চমাধ্যমিকেও দুই বোন একই প্রতিষ্ঠান রাজশাহী কলেজে পড়াশোনা করেছেন। সাফল্যের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখে রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেন।

সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বড় বোন রাহমানিয়া ইসলাম দোলা ২০২১-২০২২ সেশনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। বড় বোনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবার মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেলে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে ছোট বোন দিবা ইসলাম। দিবা রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।

দিবার বাবা আসাদুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে পারে, এটা আমাদের একটা বড় স্বপ্ন। ওদের দুজনেরও স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। আমার দুই মেয়েই বেশ বুদ্ধিদীপ্ত এবং পড়াশোনায় মনোযোগী। ওদের মা দুজনের পেছনে অনেক সময় দিয়েছে। বড় মেয়ের পর ছোট মেয়েটাও মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাওয়ায় পরিবারের সবাই অনেক খুশি। এখন ওরা যাতে করে ভালো করে চিকিৎসাশাস্ত্রের পড়াশোনা শেষ করে মানুষের সেবা করতে পারে এটাই আমাদের চাওয়া।’

দিবা ইসলাম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিল। বড় আপু যখন মেডিকেল ভর্তির চান্স পেল। তখন আমার চিকিৎসক হওয়ার আকাঙ্খা আরও বেড়ে যায়। পড়াশোনায় মনোযোগ আরও বাড়িয়ে দেই। অবশেষে সেই স্বপ্ন ধরা দেওয়ায় এখন অনেক ভালো লাগছে। আব্বু-আম্মুও অনেক খুশি।’

দিবা বড় বোন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রাহমানিয়া ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমাদের সাফল্যের পেছনে বাবা-মার অবদানই বেশি। তাঁরা অনেক কষ্ট করে আমাদের বড় করেছেন। এছাড়া আমাদের শিক্ষকসহ আরও অনেকেই উৎসাহ দিয়েছেন। তাঁদের কষ্টের কথা মাথায় রেখে আমরা স্বপ্ন পূরণ চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

Header Ad
Header Ad

চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  

ছবিঃ সংগৃহীত

কারখানা খুলে দেয়া ও ব্যাংকিং সুবিধা চালুর দাবীতে গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকার বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভণ-ভাঙচুরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক। এ সময় আন্দোলনরত শ্রমিকরা ৫টি যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকে আগুন দেয়। এছাড়াও অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন চক্রবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালাচ্ছে।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে বেক্সিমকো গ্রুপের কয়েকটি কারখানার ৪২ হাজার শ্রমিক দাবী আদায়ে গণ সমাবেশ ঘোষণা করে। ওইদিন তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এ ঘটনার পর আজ বিকেল ৩টার দিকে সমাবেশ শুরু করেন। সমাবেশে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে প্রথমে তারা চন্দ্রা নবীনগর সড়ক অবরোধ করে। যানবাহন ভাঙচুর শুরু করে ৫টি বাস ও ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমে কর্মরত অফিসার জানান, আমাদের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরবর্তী খবর না আসা পর্যন্ত কিছু জানাতে পারবো না।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ ২ এর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, চক্রবর্তী এলাকায় বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ সৃষ্টি করেছে। সেখানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  

ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তি (আবু সালেহ) এনআইডি কার্ড থেকে নেওয়া।ছবিঃ সংগৃহীত

অবশেষে পরিচয় মিলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি মেহগনি গাছে ফাঁস নেওয়া ব্যাক্তির। তার নাম আবু সালাহ (৪৫) বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার নগরকসবা গ্রামে। থাকতেন ঢাকার কেরানীগঞ্জে। তার ছোটভাই আবু রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে তার ছোটভাই আবু রায়হান ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ শনাক্ত করেন।

তিনি বলেন, গত ২০ বছর যাবৎ নেশায় আসক্ত তার বড় ভাই আবু সালেহ, তবে বাড়িতেই থাকতেন। তিন বছর যাবৎ বাড়ি ছাড়া। একেক সময় একেক জায়গায় থাকতেন। তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ নয়বাড়ি এলাকায় তাদের নিজেদের বাড়ি আছে। চার ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। এলাকায় একটি টেইলার্সে কাজ করতেন আবু সালেহ। সেখান থেকেই বাজে বন্ধুদের পাল্লায় পরে নেশা করা শুরু করেন। গাজা,ইয়াবার পাশাপাশি শেষ পর্যন্ত প্যাথেডিনও নেওয়া শুরু করেন তিনি।

শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ হাদিউজ্জামান জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে তারা খবর পান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের বিপরীত পাশে ফুটপাতে একটি মেহগনি গাছের চূড়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন এক ব্যক্তি। সেখানে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস আসলে তাদের সহায়তায় গাছ থেকে মরদেহটি নিচে নামানো হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে পাঠানো হয়।

এসআই আরও জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে। থাকতেন ওই এলাকার ফুটপাতে। মানসিক সমস্যাও ছিল তার।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যেকোনো সময় সে ওই মেহগনি গাছের চূড়ায় উঠে গলায় রশি পেচিয়ে ফাঁস দিয়েছেন তিনি।

এসআই বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় সিআইডির ক্রাইম সিন হাতের আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে। পরে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি মাদকাশক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পাঁচ বছর যাবৎ তিনি বাড়ির বাইরে থাকতেন। ঢামেকের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে ছাত্রশিবিরের পাশে থাকার ঘোষণা ছাত্রলীগের’ শীর্ষক ঢাকা পোস্টের লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হয়েছে। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং এমন কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি ঢাকা পোস্টের কোনো প্রকৃত প্রকাশনা নয়। ফটোকার্ডে ঢাকা পোস্টের লোগো এবং প্রকাশের তারিখ হিসেবে ‘১৯ জানুয়ারি ২০২৫’ উল্লেখ থাকলেও, ঢাকাপোস্টের ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

 

ছবি: সংগৃহীত

এছাড়া ফটোকার্ডটির ফন্ট ডিজাইন এবং শিরোনামের শেষে দাঁড়ি দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোও ঢাকা পোস্টের প্রচলিত ফটোকার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। উপরন্তু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বা সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনানের পক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা বা মন্তব্যের নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি।

তথ্য যাচাইয়ের ভিত্তিতে বলা যায়, ‘ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে ছাত্রশিবিরের পাশে থাকার ঘোষণা ছাত্রলীগের’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  
পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর  
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ
চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস
৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার
সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!