সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বয়স ৫০ পার হলেই আবাসন সুবিধা পাবেন যৌনকর্মীরা

ছবি: সংগৃহীত

দেশে পেশাদার যৌনকর্ম (পতিতাবৃত্তি) আইন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হলেও বৈধ। আইন অনুসারে কেবল প্রাপ্তবয়স্ক নারীরা আদালতে ঘোষণা দিয়ে পেশাদার যৌনকর্মে নিয়োজিত হতে পারেন। দেশে যৌনকর্মীর সংখ্যা প্রায় দুই লক্ষ। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর এ পেশায় থাকা নারীদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। বয়স, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা, সেই সাথে অনিশ্চিত বাকি জীবন তাদের মানসিকভাবে আরও দুর্বল করে দেয়। সাথে যৌনপল্লীতে বেড়ে ওঠা শিশুরাও প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে ওঠে। এসব বিবেচনায় নিয়ে যেসব যৌনকর্মীর বয়স ৫০ বছরের বেশি তাদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে সরকার। শিশুরাও থাকবে এ সুবিধার অধীনে। এ খাতে সরকারের ব্যয় হবে ৩৬ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।

‘দৌলতদিয়ায় বয়স্ক নারী ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আবাসিক সুবিধা সৃষ্টিকরণ’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নিয়েছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান অধিশাখা) নাহিদ মঞ্জুরা আফরোজ বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছি। তবে প্রকল্পটি এখনো অনুমোদন হয়নি। আমরা আশা করি প্রকল্পটি দ্রুতসময়ে অনুমোদন হবে।’

প্রস্তাবনা অনুযায়ী, চলতি সময় থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় প্রায় দুই একর জমিতে ছয়তলা ভিতবিশিষ্ট তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হবে। এতে ১৫০ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব নারী এবং ৩০০ জন শিশুকে আবাসন সুবিধা দেওয়া হবে। প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ১৯টি আসবাবপত্র ও ৭০টি অফিস সরঞ্জামাদি কেনা হবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, নানান কারণে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। নারীরা একপর্যায়ে নিরূপায় হয়ে কিংবা অনেকে পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে যৌনকর্মের দিকে ধাবমান হচ্ছে। ফলে তাদের স্থান হয় সমাজবর্হিভূত যৌনপল্লীতে। ২০১৫-১৬ সালের সরকারি পরিসংখ্যান মোতাবেক বাংলাদেশে যৌনকর্মীর সংখ্যা এক লাখ দুই হাজারেরও বেশি। বর্তমানে যৌনকর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। দৌলতদিয়া যৌনপল্লী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গণিকালয়। এখানে প্রায় চার হাজার যৌনকর্মী এ পেশায় জড়িত। এক পর্যায়ে তারা যখন যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্যে উপনীত হয়, তখন তাদের দরিদ্রতা ঘিরে ধরে।

ক্ষুধামুক্তি, শিশুমৃত্যুর হার সর্বনিম্নকরণে বাংলাদেশের অগ্রগতি গর্ব করার মতো। এ ধারা অব্যাহত রাখতেই এ প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

দেশের যৌনকর্মীরা যখন যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্যে চলে যাচ্ছে তখন তাদের জীর্ণতা গ্রাস করছে। সমাজের মানুষের দ্বারা অবহেলার স্বীকার হচ্ছেন তারা। মানুষ তাদের সমাজে প্রবেশে বাধার সম্মুখীন করছে। এতে একদিকে তারা যেমন গৃহহীন হয়ে পড়ছে অন্যদিকে চিকিৎসার অভাবে অকালে মারা যাচ্ছে। এদেশের যৌনকর্মীরা তাদের মৌলিক মানবাধিকার থেকেও বঞ্চিত। বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয়ের পাশাপাশি তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাও সমপর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যৌনকর্মীরা একসময় সন্তানদের কাছ থেকে কষ্ট পেয়ে পরিবারের কাছাকাছি থাকতে পারে না। পাবনা জেলায় এ ধরনের একটি গবেষণায় ইনসমনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন মস্তিষ্ক-হানিকর রোগের প্রাদুর্ভাব আমাদের প্রবীণদের মধ্যে দেখা যায়। দুর্ভাগ্যবশত বিদ্যমান এ ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যেই আর্থ-সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় অনেককেই। ঢাকার আগারগাঁওয়ের ‘প্রবীণ হিতৈষী সংঘ’ ফরিদপুর ও বরিশালের সরকারি বৃদ্ধাশ্রম এবং গাজীপুরের ব্যক্তিমালিকানাধীন ‘বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্র’সহ বৃদ্ধ নারী-পুরুষদের জন্য হাতে গোনা কয়েকটি আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। বয়স্ক যৌনকর্মীদের জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। তবে সার্বিক বিবেচনায়, সারাদেশের চাহিদাসাপেক্ষে তাদের জন্য যে ধরনের পুনর্বাসন বা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন তার কণা পরিমাণও নেই।

একইসঙ্গে জীবনচক্রের অপর প্রান্তে পিছিয়ে পড়া শিশুদের কথাও আনা হয়েছে এ প্রকল্পের উন্নয়নে। দারিদ্র্যের চক্রে পড়ে অনেক ছেলেমেয়ে রাস্তায় বের হয়ে ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়। তাদের মধ্যে শিক্ষা অনুপস্থিত। একটি দেশের ভবিষ্যৎ যদি এভাবে বড় হয় তবে সে দেশের উন্নয়ন আদৌ সম্ভব কি না সেটা যথেষ্ট ভাবনার বিষয় বলে জানায় মন্ত্রণালয়।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, যৌনপল্লীতে বেড়ে ওঠা শিশুদের উপযুক্ত পরিবেশ, শিক্ষার ও মানসিক বিকাশের অভাব রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হচ্ছে অনেক শিশু। অনেক শিশু খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণের সুযোগ পাচ্ছে না। এতে আমাদের দেশের একটা অংশ অন্ধকারেই থেকে যাচ্ছে। এসব শিশুর স্বাস্থ্য, খাদ্য ও সুন্দর জীবনধারণের সমস্যাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।

সার্বিক জীবনমানের উন্নয়ন ও বিকাশে সমাজের শিক্ষিত, অশিক্ষিত, অবসরপ্রাপ্ত, সুবিধাভোগী, বঞ্চিত, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মধ্যে দূরত্ব কমানোর জন্য অবসরপ্রাপ্ত ও অসহায় বৃদ্ধ এবং পিছিয়ে পড়া শিশু গোষ্ঠীকে একই ভৌত অবকাঠামোর আওতায় এনে আলোচ্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পের কার্যক্রম প্রসঙ্গে যুগ্ম-সচিব নাহিদ মঞ্জুরা আফরোজ বলেন, ‘যৌনপল্লীতে শিশুরা অনেক অসহায় হয়ে পড়ে। এসব বাচ্চাকে প্রশিক্ষণ-পড়াশোনার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে। বয়স্কদের জন্য গড়ে তোলা হবে আবাসন ব্যবস্থা। সারাদেশে দুই লাখের বেশি যৌনকর্মী আছে। সরকারের একার পক্ষে সবাইকে সুবিধাভোগী করা সম্ভব হবে না।’

‘সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাও এগিয়ে আসতে পারে। সমাজে অনেক বিত্তবান মানুষ আছে তারাও এগিয়ে আসতে পারে। সরকার সুবিধাবঞ্চিত নারীদের উন্নয়নে নানা কাজ করছে। একটা সময় বাধ্য হয়ে যৌনকর্মী ছিলেন, এখন ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে- এমন নারীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে এই সুবিধার আওতায় আনা হবে।’

 

সংবাদ সূত্র: জাগো নিউজ

 

Header Ad
Header Ad

আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা

বক্তব্য রাখছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এই সরকার অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে। যতই বদনাম করুন, চার মাসের কাছাকাছি শোনেন নাই যে হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। এই সরকারে যারা কাজ করছে হয়ত তাদের অনেকেরই আমাদের মত প্রশাসনিক নলেজ কম থাকতে পারে, কিন্ত কোনো অসৎ ব্যক্তি আমাদের কেবিনেটে নেই, টপ টু বটম।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বোট ক্লাবে বিএসসির (বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন) ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নৌ উপদেষ্টা বলেন, বিএসসিতে আগের মতো চুরিচামারি ও হেরফের হবে না। কোনো চোর ধরা পড়লে তার আর রক্ষা নেই।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বিএসসির জাহাজের বহর আরও বড় করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, আগামী দুই বছরে এটা সম্ভব হবে। তখন শেয়ার হোল্ডাররা আরও বেশি লভ্যাংশ পাবে বলে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চট্টগ্রামে (বন্দরে) ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থা করছি। কয়েকটা কান্ট্রি চট্টগ্রাম বন্দর, বে টার্মিনালসহ আরও অন্যান্য বন্দরে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ৬০০ মিলিয়ন ডলার বে টার্মিনালে বিনিয়োগ করার জন্য বসে আছে। দ্রুত আমরা এটা সাইন করবো।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শেয়ারের বাজারে বর্তমান দুর্দিনে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আশা করছি, আগামী বছর এ লভ্যাংশ আরও বাড়বে।

বিএসসির ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ নিট মুনাফা করেছে বিএসসি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর সমন্বয়ের পর সংস্থাটির নিট মুনাফা হয়েছে ২৪৯.৬৯ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। তখন শিপিং করপোরেশনের বহরে ছিল ৩৪টি জাহাজ। এতো জাহাজ থাকার পরও সে সময় বিএসসি লোকসানি প্রতিষ্ঠান ছিল। বর্তমানে পাঁচ জাহাজে রেকর্ড সংখ্যক লাভ করেছে।

Header Ad
Header Ad

কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে এবং নতুন কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যেতে পারেন।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আশা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৯ ডিসেম্বর তিনি লন্ডনে যাবেন। ম্যাডামের সঙ্গে তার চার-পাঁচজন চিকিৎসক যাবেন। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, শারীরিকভাবে নতুন কোনো সমস্যা উদয় না হলে, ২৯ ডিসেম্বর (রোববার) দিনে একটি ফ্লাইটে খালেদা জিয়া ঢাকা ছাড়বেন। তার সঙ্গে সফর করবেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা. শাহাবউদ্দিন, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ কয়েকজন।

এর আগে, ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক

ছবি: সংগৃহীত

গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনীর চলমান অভিযানের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। দখলদার বাহিনীর সঙ্গে হামাস ও ইসলামী জিহাদ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংঘর্ষে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে ইসরাইলি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং এর আশপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আক্রমণে অন্তত ৩৫ জন ইসরাইলি সেনা নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। সংঘর্ষের এই ঘটনা দখলদার বাহিনীর জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এছাড়া ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, গাজার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের ৭০ শতাংশ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

দখলদার সেনারা ৯৬,০০০ ফিলিস্তিনি নাগরিককে জাবালিয়া শিবির ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসরাইলি বাহিনী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় একটি গণহত্যামূলক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এ আগ্রাসন শুরু হয় হামাসের ঐতিহাসিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায়। যা ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদারদের বাড়তে থাকা অত্যাচার-নিপীড়নের জবাব হিসেবে পরিচালিত হয়।

এরপরই ইসরাইল গাজার ওপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে এবং গণহত্যামূলক নির্মূল অভিযান শুরু করে। উপত্যকাটিতে ২০ লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস করত। তাদের জন্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

গাজায় গত ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা বর্বর ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত মোট ৪৫,২৫৯ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ১০৭,৬২৭ জন।

রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা
কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল
হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক
নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান