নওগাঁয় খেয়া জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে দেশীয় প্রজাতির মাছ
এখন আশ্বিন মাস, শরৎকাল। এসময় খুব একটা বৃষ্টিপাত হয় না। তবে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে একঘণ্টার বৃষ্টিতে খাল-বিলে বেড়েছে পানি, ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ। মাছ শিকারে ব্যস্ত নানা বয়সী পুরুষ এবং শিশু-কিশোররা।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া বটতলী এলাকায় সরেজমিনে এমন চিত্রের দেখা মিলে। খেয়া জাল দিয়ে মাছ শিকারের হিড়িক পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়। পরিবার প্রধানের সঙ্গে মাছ শিকারে ব্যস্ত শিশু-কিশোররা।
পার বোয়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা ডা. ফেরদৌস ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সম্প্রতি বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ ভোরে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে পুরো এলাকার সব কৃষি জমি পানিতে ডুবে যায়। খেয়া জালে টাকি, টেংরা, শিং, কৈ, পুঁটিসহ সাড়ে ৩ কেজি মাছ পেয়েছি।
আনিছুর মিয়া নামে এক যুবক বলেন, বিলে বৃষ্টির পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড রৌদ্রের তাপে ছোট মাছগুলো খালে চলে এসেছে। এলাকার নানা শ্রেণিপেশার মানুষ খাল থেকে খেয়া জাল দিয়ে মাছ শিকারে ব্যস্ত। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাছ শিকার করে জনপ্রতি ৫-১০ কেজি মাছ শিকার করা যায়। এ কারণে মাছের হিড়িক পড়েছে বলে জানান তিনি।
বোয়ালিয়া এলাকার রাজমিস্ত্রি সাবু বলেন, প্রতি খেয়ায় জালে উঠছে মাছ। সব সময় টাটকা মাছ পাওয়া যায় না। তাই সবাই বৃষ্টির পানিতে মাছ ধরছে দেখে মাছ ধরতে এসেছি। দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত এক কেজি ওজনের একটা চিতল ও পুঁটি-মলাসহ মিশ্র জাতের ৪ কেজি ছোট মাছ ধরেছি।
এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আমিমুল এহ্সান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন খাল-বিলের পানি বেড়ে যাওয়ায় জালে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় প্রজাতির মাছ শিকার হচ্ছে। যে কারণে আজ আড়তে ছোট মাছের দাম কিছুটা কমে গেছে। আড়তে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০-৩০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়। মোট বিকিকিনির প্রায় অর্ধেক বাজারদর ছোট মাছের দখলে রয়েছে বলে জানান তিনি।
এসজি