দুর্গাপূজাকে ঘিরে রংতুলিতে ব্যস্ত জয়পুরহাটের শিল্পীরা
মহালয়ার মধ্য দিয়ে স্বর্গে অবস্থান করছেন দেবী দুর্গা। মহাষষ্ঠীতে দেবী দুর্গাকে আগমনের আহ্বানের মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব ১৪২৯। ফলে দুর্গাপূজাকে ঘিরে রংতুলিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জয়পুরহাটের শিল্পীরা।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে। করোনোকালে দুই বছর সীমিত করা হলেও এবার জয়পুরহাটে উদযাপনের কোনো কমতি নেই। মণ্ডপগুলোতে চলছে রংতুলির কাজ, দম ফেলার সুযোগ নেই প্রতিমা তৈরির কারিগরদের।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে শহরের রেল গেইট মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, দুর্গাপূজাকে ঘিরে মাদারীপুরে বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা। তাদের নিপুণ হাতে মাটির কাজ শেষে মণ্ডপগুলোতে চলছে রংতুলির কাজ। রাতদিন একত্রে চলছে কর্মযজ্ঞ। নির্দিষ্ট সময়ের আগে কাজ শেষ করার আশা শিল্পী ও কারিগরদের।
শাস্ত্রমতে, গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী ও সরস্বতী এই চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে হাতির পিঠে চড়ে বাবার বাড়ি মর্ত্যলোকে আসবেন দেবী দুর্গা, আর কৈলাশে ফিরে যাবেন নৌকাতে। দুর্গতিনাশিনীর আগমনে কাশবন ও আকাশ সেজেছে নতুন রূপে। সব ধরনের অপশক্তি দূর হয়ে পৃথিবীজুড়ে বইবে শান্তির বাতাস, এমন প্রত্যাশা সবার।
প্রতিমা কারিগর সনজয় পাল বলেন, ৫টি মণ্ডপের কাছ হাতে নিয়েছি। দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি কারণ পূজার আগেই সব প্রতিমা রং করা শেষ করতে হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জয়পুরহাট জেলা উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, উৎসব শান্তিপূর্ণ করতে পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাওয়া হয়েছে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে বলে প্রশাসন আমাদের জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে দুর্গাপূজা আয়োজনের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই লক্ষ্যে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর জেলায় মোট ২৮৯টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১১৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজামণ্ডপগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মনিটরিং টিম কাজ করবে।
এসজি