আদালতের আদেশ অমান্য, কাঠগড়ায় শাস্তি পেলেন চেয়ারম্যান!
স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা করেন এক গৃহবধু। আদালত ওই ঘটনা তদন্ত ও প্রতিবেদন জমা দিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু ওই দায়িত্ব নিজে পালন না করে ইউপি সচীবকে কাজটি করার জন্য বলেন ওই চেয়ারম্যান। ইউপি সচীব প্রতিবেদন দিলে তাতে অনেক ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়।ওই বিষয়ে ওই চেয়ারম্যানকে তলব করেন আদালত। এ সময় আদালতের প্রশ্নের জবাবে ওই চেয়ারম্যান নিজ দায়িত্ব সচীবকে দিয়ে করানোর কথা স্বীকার করলে আদালতের আদেশে তাকে প্রায় ১ ঘন্টা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে।
দণ্ডপ্রাপ্ত ওই চেয়ারম্যানের নাম ওমর আলী প্রধান। তিনি সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান। নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এফএম গোলজার রহমান ওই আদেশ দেন। অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বেঞ্চ সহকারী আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জেবা খাতুনের মামলার ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল ওই চেয়ারম্যানের।
তিনি আরো জানান, ওমর আলী প্রধানকে তলব করা হলে বুধবার তিনি আদালতে আসেন। আদালত এ সময় তার কাছে জানতে চান- তিনি নিজে তদন্ত করেছেন না অন্য কাউকে দিয়ে তদন্ত করিয়েছেন। ওমর আলী প্রধান আদালতের বিচারককে জানান, তিনি তার ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে দিয়ে তদন্ত করিয়েছেন।
এ সময় বিচারক বলেন, আপনি আদালত অবমাননা করেছেন। এ জন্য আপনাকে দুই ঘণ্টা হাজতবাস করতে হবে। আদালতের নির্দেশের পর তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তবে ঘণ্টাখানেক পর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক এ্যাডভোকেট জানান, এর আগেও ওমর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেয়া ও তদন্ত করার সংক্রান্ত অবহেলার প্রমাণ রয়েছে। তবে আজকের ঘটনায় তাকে কাঠগড়ায় নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সময় রাখা হয়, এমন শুনেছেন তবে ওই সময় কতটুকু তা তিনি নিশ্চিত নন।
এএজেড