অবৈধ ওষুধ তৈরি কারখানায় অভিযান, জরিমানা
পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোড এলাকার একটি বাসায় অবস্থিত অবৈধ ওষুধ তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান অনুমোদনহীন ওষুধ, উৎপাদনের জন্য কাঁচা মাল ও অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের এ. আর কর্নারের বিপরীত পাশে অবস্থিত আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস ভবনের ৫ম তলায় রিবার্থ ইউনানী ড্রাগস ল্যাবরেটরিজ এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কারখানার মালিক শরিফুল ইসলামকে নিজ বাসায় বেআইনি ভাবে ওষুধ তৈরির দায়ে ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল হাসনাত জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি রিবার্থ ইউনানী ড্রাগস ল্যাবরেটরিজ নামক এই কারখানায় অনুমোদনহীন ওষুধ উৎপাদন করা হয়। অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, সেখানে বিপুল পরিমান ওষুধের মোড়ক এবং ওষুধ তৈরির কাঁচামাল মজুদ রয়েছে। তাৎক্ষনিক ভাবে সেগুলো জব্দ করে ধ্বংস করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এসময় কারখানার মালিক শরিফুল ইসলাম অপরাধ স্বীকার করলে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড আর করবে না বিষয়ে জবানবন্দি দিলে তাকে ড্রাগ এ্যক্ট ১৯৪০ এর ২৭ ধারায় সংশোধনমূলক ভাবে ২ লক্ষ্য টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে জরিমানা কমিয়ে ১ লক্ষ টাকা করা হয়।
সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে জরিমানা করা হলো ২ লাখ টাকা, পরে সেটি ১ লাখ টাকা কিভাবে হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আবুল হাসনাত জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় ১ লাখ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট ২০০৯-এ ৭ এর ৩ ধারায় এমন মওকুফ করার সুযোগও রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার এই কারখানায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করার হয়েছিল। তারপরেও এই বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ করা যায়নি। এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন শেষ বারের মত ওনাকে সংশোধনের জন্য সুযোগ দেয়া হল। না হলে পরবর্তীতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া।
এএজেড