শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আ.লীগ নেতার রগ কর্তন

আহত সেলিম রেজা। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতার দুই পায়ের রগ কেটে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত সেলিম রেজার বাড়ি সদর উপজেলার পূর্বমোহনপুর গ্রামে। তিনি সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।

সেলিমের ছেলে আব্দুল জলিল বলেন, ‘সকালে ৩০-৩৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী বাড়ির সামনে থেকে বাবাকে অটোভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা বাবাকে পিটিয়ে দুই পা, ডান হাত ভেঙে ফেলে। দুই পায়ের রগও কেটে দেয়। পরে তার মাথায় কুপিয়ে জখম করে অচেতন অবস্থায় পূর্ববাঐতারা স্কুলের সামনে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।’

জলিল জানান, সেলিমকে উদ্ধারের পর সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় নিয়ে তাকে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার পরিবার বা তার পক্ষে কারও অভিযোগ তারা পাননি।

সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম রাজা জানান, হামলার শিকার সেলিম রেজা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত যুবদল নেতা সোহানুর রহমান রঞ্জু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। সরকার পতনের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তিন দিন আগে বাড়ি ফেরেন। সেলিম বাড়ি ফেরার পর স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরকার মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সেলিমকে মারধরের সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নন।

তিনি আরও বলেন, ‘যুবদলের দুই নেতা হত্যা মামলার আসামি সেলিম রেজা। এতদিন পলাতক ছিলেন। এলাকায় ফেরার পর স্থানীয় জনতা তাকে ধরে মারধরের পর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমি এবং বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমি এবং বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ মারা গেছেন। উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর তিনটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তার ৮৩ বছর ৫ মাস।

গণমাধ্যমকে মুয়াজ আরিফ জানান, তার বাবা উপদেষ্টা হাসান আরিফ হঠাৎ করে মেঝেতে পড়ে যায়। এরপরে তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

১৯৪১ সালের ১০ জুলাই এ এফ হাসান আরিফ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক এবং পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে এলএল.বি সম্পন্ন করেন।

তিনি ১৯৭০ এর দশকে এ.এফ. হাসান আরিফ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি অক্টোবর ২০০১ সাল থেকে ২৮ এপ্রিল ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রতারণামূলক প্রশংসাপত্র ব্যবহারকারী বিএনপি-সমর্থক বাংলাদেশ হাইকোর্টের একজন বিচারকের লাইসেন্স প্রত্যাখ্যান করেন। তাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আইনজীবীদের সমর্থন করতে ব্যর্থতার কারণে তিনি চার বছর দায়িত্ব পালন করে পদত্যাগ করেন।

২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ছিলেন।

তিনি ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এর উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান।

Header Ad
Header Ad

নেপালকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাগিনীরা

ছবি: সংগৃহীত

নেপালকে উড়িয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ৯ উইকেটের দাপুটে জয়ে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আগামী রোববার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সুযোগটা ছিল নেপালেরও। সমান পয়েন্ট নিয়ে লড়াইতে নেমেছিল দুদল। তবে শেষ হাসিটা হাসল বাংলাদেশ।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটি নেমে এসেছিলেন ১১ ওভারে। বাংলাদেশের বোলিং তোপের পরও ৮ উইকেট হারিয়ে নেপাল তুলেছিল ৫৮ রান। ৯ ব্যাটারের মধ্যে মাত্র ওপেনার সাবিত্রি ধামিই পেরেছিলেন দুই অংক ছুঁতে। ছোট লক্ষ্য পেয়ে বাংলাদেশকে ৭ বল বাকি রেখেই জয় এনে দেন ফাহমিদা ছোঁয়া-ইভারা।

রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দাপুটে। প্রায় জয়ের কাছেই দলকে নিয়ে যায় দুই ওপেনার ফাহমিদা ও ইভা। ৮ম ওভারের দ্বিতীয় বলে কাসুম গোদার শিকার হয়ে ফেরেন ১৮ করা ইভা। ভাঙে ৪৬ রানের জুটি। এরপর সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণাকে সঙ্গে নিয়ে জয় তুলে মাঠ ছাড়েন ফাহমিদা। ৩২ বলে ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ফাহমিদা। তার সঙ্গী সুমাইয়া আক্তার ৬ বলে খেলেছেন ১০ রানের জয়সূচক ইনিংস।

Header Ad
Header Ad

জামদানি শাড়ির ফ্যাশনে নতুনত্ব তুলে ধরলেন জয়া আহসান

ছবি: সংগৃহীত

বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ব্যক্তিজীবনে পোশাক-আশাকে অনেকটাই শৌখিন এই অভিনেত্রী। প্রায় দিনই ভিন্ন রূপে-অবতারে নিজেকে মেলে ধরেন জয়া। এইতো, দিন কয়েক আগে ভারতের এক ফিল্মফেয়ার অনুষ্ঠানে ভিন্নভাবে জামদানি পরে শাড়ির ফ্যাশনে নতুনত্ব তুলে ধরেছিলেন। তা নিয়ে অবশ্য কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি জয়াকে।

তার আজ শুক্রবার ( ২০ ডিসেম্বর) সকালে ক ফেসবুক পোস্টে একাধিক ছবি শেয়ার করেন জয়া আহসান। তার ফ্যান পেজের নতুন ছবিগুলো যেন রীতিমতো উত্তাপ ছড়াচ্ছে এই শীতকালে। ছবিগুলো তার ভক্ত অনুসারীরা ভীষণ পছন্দ করেছে। মাত্র এক ঘণ্টায় ১১ হাজার রিঅ্যাক্ট পড়ে এই পোস্টে। বয়ে যায় কমেন্টর বন্যা!

জয়া তার ছবির ক্যাপশনেও সে কথাই লিখেছেন। জয়ার ভাষ্য, তার এই নতুন ফটোশুটের আইডিয়া নেয়া হয়েছে ভারতীয় চিত্রশিল্পী রাজা রবি ভার্মার আইকনিক পেইন্টিং থেকে।

দুই বাংলার প্রিয় এই অভিনেত্রী বউ সেজেছেন, তবে আর সবার চেয়ে একেবারে ভিন্ন কায়দায়।

বলা বাহুল্য, জয়াকে এমন অবতারে দেখে নেটিজেনদের মাঝে যে রীতিমতো উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। সঙ্গে একঝাঁক সমালোচনা তো রয়েছেই।

নেটিজেনদের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ওরে বাপ্রে! শীত সকালে আগুন ফায়ার সার্ভিস কই’ আরেক নেটিজেনের মন্তব্য, ‘এই বেডির এই বুইরা বয়স এ কি হইছে পাগল হইয়া গেছে নাকি’। আবার অন্য এক নেটিজেনের মন্তব্য, ‘চন্দ্রমুখী আমি তো তোমার প্রণয়ে আসক্ত নই! তবে কি আমি তোমার আগুনে পুড়তে বসেছি??’

ফটোশুটের নেপথ্যে রয়েছে কলকাতাভিত্তিক ফটোগ্রাফার, রূপসজ্জাকর, ফ্যাশন ডিজাইনার ও স্টাইল ডিরেক্টর। গয়না থেকে শাড়ি সবটায় সেখানবার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের।

জয়াকে দেখা যাচ্ছে একটি গাঢ় বেগুনী রঙের কাতান শাড়িতে। তার ওপর সোনালী জরি সুতার সাবেকী ডিজাইন।

হলুদ রঙের ব্লাউজে লক্ষ্নৌ ঘরানার ডিজাইন। গোল্ড প্লেটেড গয়নার সঙ্গে পার্লের মিশেল।

জয়া শুধু গলা আর কানেই গয়না পরেননি। সিঁথিপাটি, টায়রা থেকে শুরু করে নাকে এমনকি হাত পায়েও গয়না পরেছেন।

শাড়ি পরার স্টাইল, মেকাপ, ব্র্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে আরও বাহারি কিছু শাড়ির ব্যবহার সব মিলিয়ে ছবিগুলো হয়ে উঠেছে মোহনীয়।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন
নেপালকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাগিনীরা
জামদানি শাড়ির ফ্যাশনে নতুনত্ব তুলে ধরলেন জয়া আহসান
ভারতের আদালতে জামিন পেলেন পি কে হালদার
ট্রাম্পের সঙ্গে যেকোনো সময় আলোচনায় প্রস্তুত পুতিন
জামালপুরে জামাই মেলা জমে উঠেছে
৩ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে উত্তরার রেস্টুরেন্টের আগুন, উদ্ধার ৭
পূর্বাচলে বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু, সহপাঠীদের ৬ দফা দাবি
স্মৃতিস্তম্ভে হিরো আলমের টিকটক, সমালোচনার ঝড়
নিয়ন্ত্রণে আসেনি রেস্টুরেন্টের আগুন, ৬ জনকে উদ্ধার  
সিলেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকার খাদে, নিহত ৩
বিশ্বব্যাংক থেকে ১৩ হাজার ৯২০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ
সরবরাহ বাড়ছে, সবজির দাম কমেছে মুরগীর দাম বাড়ছে
উত্তরায় রেস্টুরেন্টে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট
চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আ.লীগ নেতার রগ কর্তন
ভারতে পেট্রল পাম্পে ভয়াবহ আগুন, পর্যন্ত চারজনের প্রাণহানি
সাদপন্থীদের নেতা মুয়াজ বিন নূর গ্রেফতার
সাবেক এমপি আনারের দেহাংশের সঙ্গে মেয়ের ডিএনএ মিলেছে
ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশের ইতিহাস
৫ আগস্টের আগে সংগ্রাম ছিল স্বৈরাচার পতনের আর এখন রাষ্ট্র মেরামতের; তারেক রহমান