চট্টগ্রাম বন্দরে আলোচিত কোকেন জব্দ মামলার বিচার শুরু
চট্টগ্রাম বন্দরে আলোচিত কোকেন চালান জব্দের ঘটনায় চোরাচালান আইনের মামলায় বিচার কাজ শুরু হয়েছে।
আদালতে ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার। এর মধ্য দিয়ে বহুল আলোচিত এ মামলার বিচার চলতে আর কোনো বাধা থাকল না।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত শুনানি শেষে চার্জ গঠনের এ আদেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা সোহেল, মালিক নূর মোহাম্মদ, মোস্তাফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মো. মেহেদী আলম, গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) একেএম আজাদ রহমান, সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদের ভাই খান জাহান আলী লিমিটেডের পরিচালক মোস্তাক আহমদ খান, দুই যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া।
তাদের মধ্যে চার্জ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন- একেএম আজাদ, সাইফুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল ও মো.আতিকুর রহমান।
মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দ করার ঘটনায় বিচার শুরু হয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় চার্জ গঠন করার পরই বিচার শুরু হয়। ২ মার্চ আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। পাঁচ জন আসামি চার্জ গঠন করার সময় উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নোমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবু জাফর, অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমেদ শাকিল, অ্যাডভোকেট মো. সাহাব উদ্দীন ও অ্যাডভোকেট আবু ঈসা।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৬ জুন কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে ১টির নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় (৯৬ ও ৫৯ নম্বর) কোকেন শনাক্ত হয়।
এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদক ও চোরাচালান আইনে বন্দর থানায় মামলা হয়। তখন সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে বড় মাদক পাচারকারবারীদের তৎপরতাও নতুন করে আলোচনায় আসে।
টিএস/এমএসপি