সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘মাঘের বৃষ্টি হামার আলু শ্যাষ করচে বাহে’

রংপুরে দুই দিনের বৃষ্টিতে আলুসহ বিভিন্ন ফসলি জমিতে বৃষ্টির পানি জমেছে। এতে আলুর ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। কিছু দিন পরেই জমি থেকে আলু তোলার ধুম পড়ত এ জেলায়। কিন্তু মাঘের শেষে বৃষ্টিতে এখন বেশিরভাগ আলুর জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

মাঘের শেষে শীতের বিদায় ক্ষণে আবহাওয়ার এমন ছন্দপতনে শঙ্কিত রংপুরের আলু চাষিরা। বৃষ্টি বেশি হলে জমিতে পানি জমে আলু নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় এখন আলু তোলার ধুম পড়েছে। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর সবাই মিলে মাঠ থেকে আলু তুলছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৬ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

রংপুরের কৃষকরা বলছেন, এ অবস্থা আরও ২-৩ দিন স্থায়ী হলে আলু ছাড়াও সরিষা, গম, সবজিসহ অন্য ফসলও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

জেলার মিঠাপুকুরের শঠিবাড়ী সেড়ুডাঙ্গা এলাকার আবু বকর সিদ্দিক নামে আরেক কৃষক বলেন, ‘মাঘের বৃষ্টি হামাক শ্যাষ করচে বাহে। জমির রোপন করা সোগ ধান বৃষ্টির পানির তলে গেইছে। আলু আর সরিষার খ্যাতেরও একই অবস্থা। আলুর জমিতে পানি জমি থাকলে তো পঁচন ধরবে। এমনিতে এবার আলুর দাম নাই, তার ওপর বৃষ্টিতে হামরা শ্যাষ। এমন হইলে কেমন করি আলুর আবাদ করমো।’

রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুষ্কুরণী ও মমিনপুরের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে এমনটি জানা গেছে। এ পরিস্থিতি শুধু রংপুর সদরই নয় জেলার মিঠাপুকুর, পীরগাছা, কাউনিয়া, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকাজুড়ে। বৃষ্টি বিড়ম্বনায় আলু নিয়ে চিন্তায় আছেন রংপুরের আলু চাষিরা।

গত বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় জেলার বেশির ভাগ আলুর জমিতে পানি জমেছে। কৃষকরা কিছু জমি থেকে আগাম জাতের আলু তুললেও বেশির ভাগ এখনও উঠানো হয়নি। জমিতে পানি জমে থাকায় তারা হতাশায় ভুগছেন। এখন কোথাও কোথাও জমি থেকে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে, আবার কোথাও কোথাও আলু তোলা হচ্ছে।

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর গ্রামের কৃষক নুর হোসেন জানান, শুক্রবারের (৪ ফেব্রুয়ারি) বৃষ্টির পর শনিবার সকাল থেকেই জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি প্রায় ৫৬ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেছেন। দুই দিনের বৃষ্টিতে আলুগাছ পানিতে তলিয়ে গেছে। জমে থাকা পানি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পুনরায় বৃষ্টি হলে ব্যাপক ক্ষতি হবে। যদি রবিবার অথবা সোমবার থেকে টানা রোদ উঠে তাহলে আলু কিছুটা রক্ষা পেতে পারে।

রংপুর নগরীর সাহেবগঞ্জ এলাকার আলু চাষি শামছুল হক ১০ একর জমিতে এবার আলুর আবাদ করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টি শুরু হলে শুক্রবার সকাল থেকে আলু খেতের নালা দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু দুপুর থেকে আবার বৃষ্টি শুরু হওয়াতে তিনি এখন ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমার বেশ কিছু জমির আলু তোলা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া ভালো না হলে দুই-এক দিনের মধ্যে সব আলু তুলতে হবে।

রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুষ্কুরণী ইউনিয়নের পালিচড়া গ্রামের আলু চাষি মিজানুর বলেন, ‘আমার ৫ বিঘা জমির আলুগাছ পানিতে তলিয়ে গেছে। এবার ধার-দেনা করে আলুর আবাদ করেছি। এখন যে অবস্থা তাতে অর্ধেক টাকার আলু বিক্রি করতে পারব কিনা সন্দেহ। শীতের মাঝে মাঘ মাসে হঠাৎ এমন বৈরি আবহাওয়ার কারণে বৃষ্টির পানি জমে থাকা খেত থেকে কোমর বেঁধে আলু তুলতে নেমে পড়েছেন কৃষকরা।

এবার আলুর বাম্পার ফলন হলেও বাজার দর আর হঠাৎ বৃষ্টির প্রভাবে কৃষকের মুখে হাসি নেই। মৌসুমের শুরুতে আগাম জাতের আলু প্রতি বস্তা (৯০ কেজি) দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হলেও গত দুই সপ্তাহ থেকে বাজারে ধস নেমেছে।

বর্তমান বাজারে প্রতি বস্তা ইস্ট্রিক, ডায়মন্ড, কার্ডনাল জাতের আলু ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা এবং গ্রানুলা জাতের আলু ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। যা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পাইকারি কেজি দরে ৫ থেকে ৭ টাকা করে। কিন্তু এসব আলুতে উৎপাদন খরচ হয়েছে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১১ টাকা করে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবাইদুর রহমান মণ্ডল বলছেন, ভারি বৃষ্টি হলে বা দুই-এক দিন আবহাওয়ার পরিবর্তন না হলে মাঠে থাকা আলুর ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে নিচু জমির আলু চাষিরা বিপাকে পড়বেন। আলু যেহেতু পচনশীল, তাই যত দ্রুত সম্ভব জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করতে হবে। না হলে ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষকরা।

অকাল বৃষ্টিতে কী পরিমাণ আলুর ক্ষতি হয়েছে, তার হিসাব নেই কৃষি বিভাগে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ অঞ্চলে ৯৭ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন করা হয়েছে। এ বছরও একই পরিমাণ জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর জেলায় ৫১ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর আগাম জাতের আলু রয়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, রংপুর জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

শনিবারের পর রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির প্রভাব কমে আসবে। বৃষ্টির ফলে দিনের তাপমাত্রা আরও একটু কমে আসবে।

/এমএসপি

Header Ad

নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান

সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভিন্ন মতকে শত্রুতা বা নির্লজ্জ দলাদলিতে পরিণত করলে কী পরিণতি হতে পারে তা দেশবাসী দেখেছে। আওয়ামী লীগ আর স্বাধীনতা একসঙ্গে যায় না। এরইমধ্যে নানান ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পতিত স্বৈরাচাররা দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত জনগণের রায়ই চূড়ান্ত।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ আর গণতন্ত্র একে অপরের শত্রু। আমাদের চলমান গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে এই মুহূর্তে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গিয়েছে। বিতাড়িত অপশক্তি আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না।

তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সাগর-রুনির বিচারের বিষয়ে রাষ্ট্র উদাসীন থাকবে না- এমন ব্যবস্থা চাই। এছাড়া স্বৈরাচার আমলে যে সাংবাদিকরা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের চাকরিতে ফেরত নিতে কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি দাবি করেন, বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী ঘরছাড়া। হাজারো হতাহত ছাত্রজনতার ত্যাগের মাধ্যমে ঐক্য গড়ে উঠেছে। শহীদদের ঋণ পরিশোধ করা আমাদের দায়িত্ব। পলাতক মাফিয়াদের পুনর্বাসন ঠেকাতে জনগণের ইচ্ছা তাদের বিচার প্রয়োজন। বিএনপি মনে করে, সংস্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। শুধু নির্বাচনের জন্যই আন্দোলন হয়নি। তবে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন অবশ্যই দরকার।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এমন হওয়া প্রয়োজন যে ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ভোট ছাড়া কেউ প্রতিনিধি হতে পারবেন না। ক্ষমতাসীনকে জনগণের কাছে যতটা দায়বদ্ধ রাখা যাবে রাষ্ট্র ততই শক্তিশালী হবে। সেজন্য সংসদ প্রয়োজন। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে বৈষম্যহীন অধিকার প্রয়োগের সুযোগ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সরকার, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে আমরা মনে করি।

‘সংস্কার কাজ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির বিরোধ নেই। সংস্কার আগে না, নির্বচন আগে এ কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে অন্যজন চলমান রাখবে’, যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইকবাল সেবহান চৌধুরী মনে হয় সেদিন পুলিশ ডেকে এনে মহাসচিবকে প্রেস ক্লাব থেকে গ্রেফতার করিয়েছিলেন। প্রেস ক্লাবের ভেতরে ফ্যাসিবাদের থাবা ছিল। শ্যামল দত্তরা আন্দোলনের সময় টকশোতে বলেছেন ছাত্ররা ভুল আন্দোলন করছেন।

তিনি বলেন, টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কারণ সব টাকা যাবে শেখ পরিবারের কাছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, দ্রুততম সময়ে জনগণের দাবি নিষ্পত্তি করবেন-এটা আমাদের দাবি। আরেকটি কঠিন পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে।

Header Ad

হামলার পেছনে ইউসিবি গ্রুপ

মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ

অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের হামলায় ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) প্রায় ৭০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে তিনি এ দাবি করেন।

অধ্যক্ষ নয়ন বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলায় আমাদের ১২তলা ভবনের কোনো কাঁচ আর অক্ষত নেই। ৫টি লিফট, কম্পিউটার ও সায়েন্স ল্যাব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা নগদ টাকা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সার্টিফিকেট, ৩ শতাধিক ফ্যান, প্রায় ৩০টির মতো ল্যাপটপ, অসংখ্য কম্পিউটারসহ মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস লুট করেছে। এতে করে প্রায় ৭০ কোটির মতো ক্ষতি হয়েছে।

এ সময় তিনি ঘটনার জন্য ন্যাশনাল মেডিকেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে দাবি করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইউসিবি নামের একটি গ্রুপ থেকে হামলার উসকানি ও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ নয়ন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এমন করতে পারে আমরা ভাবিনি। আমাদের সব ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে ফেরাতে শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী করার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে কুচক্রী মহল কাজ করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশ অন্যদিকে চলে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা আমরা চাই না।

হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রাখেনি বলেও অভিযোগ করেন ডিএমআরসি অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, সকাল থেকেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু হামলার সময় তারা দূরে থেকে পরিস্থিতি দেখেছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ঘটনাস্থলে থাকা ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়ারী বিভাগ) মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ। আমরা চাই না দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এভাবে আক্রান্ত হোক। কলেজ ভার্সাস কলেজ প্রতিযোগিতা হোক, মারপিট হোক এটা কিন্তু আমরা কখনো চাই না। আমি সব কলেজের গভর্নিং বডি এবং অভিভাবককে বলব, আপনাদের সন্তানকে বাসায় রাখুন। এটা আলোচনার মধ্যে সমাধান হবে। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, এই জাতীয় সমস্যা যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিকেল চারটায় তাদের সঙ্গে বসেছি। আমরা চেষ্টা করছি আলাপ-আলোচনার মধ্যে যেন সমাধান হয় সে প্রচেষ্টা আমরা রাখব। সর্বশক্তি দিয়ে আমরা এটা অব্যাহত রাখব। বর্তমানে আমাদের সঙ্গে র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন। সবার প্রচেষ্টায় এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

Header Ad

ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। ছবি: সংগৃহীত

সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।

সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি নিয়ে কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা দায়ের হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন- রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাশ।

মামলার আসামিরা হলেন- ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮), চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু(৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) এবং হৃদয় দাস (২৫)। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ