আমি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ, আমার আর কিছু পাওয়ার নেই: সাকিব
নিজ জন্মভূমি মাগুরায় সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
আগেও অনেকবার নিজ জন্মভূমি মাগুরায় গিয়েছিলেন দেশের ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসান। তবে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করার জন্যে মনোনয়ন পাওয়ার পর এবারই প্রথমবারের মতো নিজ জেলায় যান সাকিব। এবার ভিন্ন এক রূপে দেখা মিলে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের। নিজের ক্রিকেটার পরিচয়ের সঙ্গে এবার রাজনীতিবিদ শব্দটাও জুড়ে নিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দুপুর ২টার দিকে মাগুরায় পৌঁছান সাকিব। এ সময় তাকে বরণ করতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার গড়াই নদীর কামারখালী ব্রিজ এলাকায় ভিড় করেন কয়েক হাজার সমর্থক। সেখানে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি।
পরে কালো রঙের একটি ছাদ খোলা গাড়িতে সড়ক অতিক্রম করার সময় দু-পাশের জনতা ফুলের পাপড়ি সিটিয়ে তাকে অভিবাদন জানান। এ সময়ে হাস্যোজ্জ্বল-প্রাণবন্ত ও সাবলীল ভঙ্গিতে তাদের অভিবাদন গ্রহণ করেন সাকিব। এ সময় সাকিব বলেন, ১৭ বছর ধরে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলছি, সংবর্ধনা অনেকবারই পেয়েছি। কিন্তু এবারের যে সংবর্ধনা এর চেয়ে বড় কিছু আমার জীবনে আর আসেনি।
বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাকিবের ভাষ্য, আপনারা সবাই জানেন সাইফুজ্জামান শিখর ভাই মাগুরা-১ আসনে কত ভালো কাজ করেছেন। এখানে যদিও আমি নমিনেশন পেয়ে থাকি, আসলে এটা তারই আসন। আমরা দুইজনে একসঙ্গে কাজ করব। তিনি মাগুরাকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়েছেন। নির্বাচিত হলে আমরা দুইজনে সামনের পাঁচ বছর মাগুরাকে আরও এগিয়ে নিতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাকিব বলেন, মাগুরা স্টেডিয়াম থেকে আমার ক্রিকেটের শুরু। আবার সেখান থেকেই হলো রাজনীতির হাতেখড়ি। এজন্য আমি শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার আর কিছু পাওয়ার নেই।
রাজনীতিতে সদ্য অভিষিক্ত সাকিবের মন্তব্য, উন্নয়নের জন্য আপনাদের সবাইকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। শুধু মাগুরাতে না, পুরো বাংলাদেশে।
এ সময়ে সাকিব মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নাম উল্লেখ করে বলেন, তারা আমাদের অভিভাবক। তারা আমাকে শেখাবেন। আমি হলাম এখানে ক্লাস ওয়ানের একজন ছাত্র। তারা এখানে পিএইচডি করে ফেলেছেন। তাদের নির্দেশনায় এগিয়ে যাব।