গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস চালক উত্তম কুমার (৪৫) নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৯ মে) দিনগত রাত ১০টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে শহরের সরকার ফিলিং স্টেশনের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত উত্তম জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফাঁসিতলা এলাকার বাসিন্দা।
দুর্ঘটনার শিকার বাসটির যাত্রী নাজমুল জানান, ঢাকা থেকে অরিন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস গাইবান্ধা যাচ্ছিল। তিনি চালকের পেছনের সিটে বসা ছিলেন। পথে পলাশবাড়ী পৌর শহরের সরকার ফিলিং স্টেশন এর পাশে অন্য গাড়ির চাপে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীতমুখী ভুট্টাবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে বাসচালক উত্তম ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষের পর বাসটি সড়কের পাশের একটি টি-স্টলে ঢুকে যায়। সৌভাগ্যক্রমে দোকানি জিয়া বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
পলাশবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মশিউর রহমান নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, নিহত বাসচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
‘ভুল ইংরেজি’ বলে ঢাকা মেডিকেলে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) আবারও এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া এক নারীকে আটক করা হয়। তাঁর নাম ডালিয়া (৩২)।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ভবনের তৃতীয় তলায় আরমান নামের এক যুবককে আত্মীয় বানিয়ে চিকিৎসা দিতে নিয়ে এসে ধরা পড়েন ডালিয়া। পরে বার্ন ইউনিটের প্রথমে আনসার সদস্যরা আটক করে। পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা যুবক আরমান জানান, তার বাসা কেরানীগঞ্জে। গত এক বছর আগে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে পায়ে আঘাত পান। এরপর গত এক বছর ধরে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছে ডা. সালমা আমানের কাছে। তখন থেকেই ডালিয়া আমাদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ করত এবং হাসপাতালেও আসত। সে আমাদের দুসম্পর্কের আত্মীয়। সে নিজে আমাদের কাছেও ডা. পরিচয় দেয়। আজকে জানলাম সে ডাক্তার না।
তিনি আরও বলেন, আজ সকালে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য বার্ন ইউনিটে আসি। সাথে ডালিয়াও ছিল। তার চিকিৎসার বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে কথপোকথনের সময় ভুলভাল ইংরেজি বলছিল ডালিয়া। তখন কর্তব্যরত ওই চিকিৎসকই তাকে ভুয়া চিকিৎসক বলে শনাক্ত করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, এপ্রোন পড়া ও গলায় স্টেথোস্কোপ লাগানো এক তরুণীকে আটক করা হয়েছে। সে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিলেও আটক হওয়ার পর কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। তার কাছ থেকে কোন ধরনের তথ্য বের করা সম্ভব হয়নি। তবে তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে সে প্রফেশনাল প্রতারক। তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আইনুযায়ী তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ ভুয়া চিকিৎসক পরিচয় দানকারী ডালিয়া নামে এক ভুয়া চিকিৎসক আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। পরে আমরা তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেছি। শাহবাগ থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করবে।
এর আগে, গত বছরের ১৭ নভেম্বর হাসপাতালটি থেকে আটক হয় পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা নামে এক ভুয়া নারী চিকিৎসক। আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আটক হয় আরেক প্রতারক ও ভুয়া চিকিৎসক টিকটকার মুনিয়া খান রোজা।
কলকাতার খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিত মুখার্জী এবং অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। চার বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন সৃজিত ও মিথিলা। বিয়ের পর একমাত্র মেয়ে আইরাকে নিয়ে কলকাতায় বসবাস শুরু করেন মিথিলা।
তবে বর্তমানে তাঁদের সম্পর্ক অনেকটাই শীতল। মিথিলা কলকাতায় কম আসেন এবং সৃজিতের সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকেন না—এমনটাই শোনা যাচ্ছে। ফলে তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যায়, অনেকেই তাদের বিচ্ছেদের কথা বলছেন। যদিও তারা এসব গুঞ্জনকে খারিজ করেছেন, কিন্তু সৃজিতের সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে যেন নতুন করে সেই সম্পর্ক নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
সেই পোস্টে সৃজিত অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীকে নিয়ে একটি ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে ঋতাভরী সৃজিতের বুকে মাথা রেখে রয়েছেন এবং সৃজিত তার সঙ্গে সেলফি তুলছেন। এটি দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন সৃজিত প্রাক্তন প্রেমিকাকে নিয়ে এমন একটি পোস্ট করলেন।
ঋতাভরীর সঙ্গে সৃজিতের সম্পর্ক নিয়ে এক সময় টালিউডে বেশ গুঞ্জন উঠেছিল, যদিও তাদের সম্পর্ক নিয়ে কখনো কিছু স্পষ্ট বলা হয়নি। সৃজিতের এই পোস্টে এমন একটি ইঙ্গিতপূর্ণ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে, যা অনেকেই তার এবং ঋতাভরীর সম্পর্কের নতুন রূপ হিসেবে দেখছেন। এমনকি, ঋতাভরীর জন্মদিনের পার্টিতেও সৃজিত উপস্থিত ছিলেন এবং দুজনের মাঝে খোলামেলা স্নেহের সম্পর্ক দেখা গেছে।
পোস্টের ক্যাপশনে সৃজিত লেখেন, "জমাখরচ হিসেব-নিকেশ, কোথায় শুরু, কোথায় বা শেষ, কেমন আছো? অনেক বছর পেরিয়ে এলাম, হঠাৎ তোমার দেখা পেলাম, কেমন আছো?" এই সাহিত্যিক ভাষায় লেখা ক্যাপশনটি যেন সম্পর্কের হিসাব-নিকাশের ইঙ্গিত দেয়, যা একসঙ্গে অনেক প্রশ্নও তৈরি করেছে। সৃজিত এবং ঋতাভরীর এই ছবি ও ক্যাপশন নিয়ে তার ভক্তরা নানা অনুমান করতে শুরু করেছেন, যদিও সৃজিত নিজে এই ব্যাপারে কিছুই স্পষ্ট করেননি।
এদিকে, সৃজিত ও মিথিলার সম্পর্কের বিষয়ে নানা ধরনের মন্তব্য উঠে আসছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও তাদের মধ্যে কোনো শর্তসাপেক্ষ বিচ্ছেদ হয়নি, তবে তাদের অনুরাগীরা এখনও তাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। সৃজিতের এই পোস্টের মাধ্যমে কি আবার নতুন কোনও সম্পর্কের সূচনা হতে যাচ্ছে, নাকি পুরনো সম্পর্কের কোনও বিশেষ মুহূর্তের স্মৃতি শেয়ার করা হচ্ছে—তা নিয়ে চলতে থাকা আলোচনা এবং অনুমানকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।
যদিও এখনো স্পষ্ট নয় সৃজিত ও ঋতাভরীর সম্পর্কের পরিস্থিতি, তবে সৃজিতের ইনস্টাগ্রাম পোস্টটি বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে এবং তার ভক্তদের মধ্যে নতুন জল্পনা তৈরি করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পরিত্যক্ত সোনার খনিতে কয়েক মাস ধরে আটকে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই ভুক্তভোগীরা অনাহারে ও ডিহাইড্রেশনের কারণে মারা গেছেন। খনি শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী দল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মাইনিং অ্যাফেক্টেড কমিউনিটিস ইউনাইটেড ইন অ্যাকশন (ম্যাকুয়া) গোষ্ঠীর মতে, এখনো খনিতে পাঁচ শতাধিক শ্রমিক আটকা রয়েছেন। দেশটির পুলিশ তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
দুই মাস আগে পুলিশ ও খনি শ্রমিকদের মধ্যে সংঘাতের জেরে খনিটি সিল করে দেওয়া হয়। শ্রমিকদের বের করে আনার চেষ্টা করা হলেও, তারা গ্রেপ্তারের ভয়ে খনি ছেড়ে বের হতে চায়নি। এরপর থেকেই তারা মাটির নিচে আটকে রয়েছেন।
উদ্ধার হওয়া কিছু শ্রমিকের মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, মৃতদেহগুলো ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় রয়েছে। অন্য একটি ভিডিওতে জীবিত শ্রমিকদের শারীরিকভাবে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় দেখা গেছে। তারা ক্ষুধা ও পানি সংকটে ভুগছেন।
জেনারেল ইন্ডাস্ট্রিজ ওয়ার্কার্স অফ সাউথ আফ্রিকা (গিউসা) একটি ভিডিও প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, শার্টবিহীন শ্রমিকরা নোংরা মেঝেতে বসে আছেন এবং সাহায্যের আবেদন করছেন। এক শ্রমিক ক্যামেরায় বলেন, “মানুষ ক্ষুধার কারণে মারা যাচ্ছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।”
দেশটির খনিজ সম্পদ বিভাগের নেতৃত্বে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। সোমবারের অভিযানে একটি খাঁচা ব্যবহার করে আটকা পড়া শ্রমিকদের ওপরে তোলার চেষ্টা করা হয়।
এই ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকায় খনিশ্রমিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সাহায্যের আহ্বান জানানো হয়েছে।
উদ্ধারকাজ চলমান থাকলেও পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটপূর্ণ এবং আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।