পঞ্চগড়ে 'পথে পথে বিজয়’, মু্ক্তিযোদ্ধা সমাবেশ
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে দেশজুড়ে আয়োজিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘পথে পথে বিজয়’ অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) পঞ্চগড়ে এ আয়োজনের সঙ্গে ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তি সংগ্রামের দিনগুলোর স্মৃতিচারণা করেন। এরপর ‘পথে পথে বিজয়' শিরোনামে একটি দেশাত্মবোধক মৌলিক গান পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানে আরও ছিল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, সুধীজন সম্মাননা, সংবর্ধনা, পুরস্কার বিতরণ এবং মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, স্থানীয় পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানো ও তাদের সম্মান প্রদর্শন করা, যুদ্ধের অসাধারণ গল্পগুলো উপভোগ করা, তরুণদের যুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, সবাইকে এই বিজয় দিবসের বিশালতা উপলব্ধি করানো এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দেশব্যাপী উদ্যাপন করার লক্ষ্যে এই আয়োজন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা প্রদর্শন এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীরনিবাস নির্মাণ কাজ চলমান। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা মাসিক ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।’
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটি ৫০টি জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর একটি কর্মসূচি হলো ‘পথে পথে বিজয়'। দেশের বিভিন্ন স্থানে শত্রুমুক্ত হওয়ার দিনে অনুষ্ঠিত হবে আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ। গত শুক্রবার দিনাজপুরে উপ-আঞ্চলিক সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই আয়োজন শুরু হয়। সর্বমোট ৭টি আঞ্চলিক ও ১৪টি উপ-আঞ্চলিক এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চগড় স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম মুক্তাঞ্চল হিসেবে স্বাধীনতা অর্জন করে ২৯ নভেম্বর।
আগামী ৬ ডিসেম্বর যশোরে, গোপালগঞ্জে ৭ ডিসেম্বর, কুমিল্লায় ৮ ডিসেম্বর, জামালপুরে ১১ ডিসেম্বর, কক্সবাজারে ১২ ডিসেম্বর এবং সিলেটে ১৫ ডিসেম্বর আঞ্চলিক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি অঞ্চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেবেন।
এপি/এএন