শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে তরুণ রায়ের পাঠাগার

ছোটবেলা থেকে জ্ঞানপিপাসু মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে পাঠাগার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছিল তরুণ রায়ের। ২০০৩ সালে বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকাকালে বসত ভিটার দুই শতক জমি দান করে গড়ে তোলেন ‘তরুণের অভিযান পাঠাগার’। বর্তমানে পাঠাগারটি আলো ছড়াচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলাসহ ও পাশ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার মানুষের মাঝে।

বইপ্রেমী এই যুবকের পুরো নাম বিকাশ চন্দ্র রায় তরুণ। তার বয়স ৩৭ বছর। এর মধ্যে পাঠাগারটি গঠনের পর পার হয়েছে ১৮ বছর।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের বৈদ্যের বাজার পল্লীর মৃত বীরেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে তরুণ। বর্তমানে চিত্রকর্ম ও প্রেস ব্যবসায় নিয়োজিত। শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও নিজ বাড়িতে গ্রামের তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরীসহ সব বয়সী মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বইয়ের সম্ভার গড়ে সকলের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তার পাঠাগারে বঙ্গবন্ধুর জীবনীসহ বিভিন্ন ধরনের বই ও দৈনিক পত্রিকা হাতে পাচ্ছেন পাঠকরা। বর্তমানে তার পাঠাগারে বই রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন পাঠক বই ও পত্রিকা পড়তে আসেন পাঠাগারে।

তরুণের পাঠাগারে অধিকাংশ পাঠক বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বই পড়ার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন তরুণ রায়। এছাড়া বাড়ি থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে রাজারহাট উপজেলা সদরের ৩টি সেলুনে গড়ে তুলেছেন ভলান্টিয়ার’স লাইব্রেরি। এসব সেলুনে গড়ে দিয়েছেন বুক সেলফ। ৭ মাস ধরে নিয়মিত বই সরবরাহ করছেন এসব ভলান্টিয়ার’স লাইব্রেরিতে। সেলুনে চুল দাঁড়ি কাটতে আসা লোকজন তাদের অপেক্ষার সময় কাটাচ্ছেন বই পড়ে।

বৈদ্যের বাজার এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী বৃষ্টি রায় ও বিথী রানী রায় বলেন, ‘আমাদের গ্রামে এমন একটি পাঠাগার গড়ে উঠবে ভাবতে পারিনি। আমরা পড়াশুনার পাশাপাশি প্রতিদিন পাঠাগাড়ে গিয়ে পছন্দের বই পড়ি। এখনে বই পড়ে খুব ভালো লাগে। করোনা মহামারীকালে পাঠাগার বন্ধ থাকলেও পাঠাগারের উদ্যোক্তা তরুণ রায়কে ফোন করলেই তিনি পছন্দের বই সরবরাহ করতেন। তার বই পড়ার অভিযান, গ্রামের শিক্ষিত মানুষকে জ্ঞান চর্চায় বেগবান করছে।’

ওই এলাকার আশরাফুল ইসলাম ও পংকজ কান্তি রায় বলেন, তরুণের অভিযান পাঠাগারের উদ্যোক্তা বিকাশ চন্দ্র রায় নিজের অর্থায়নে বই পড়ার অভিযানকে বেগবান করেছেন। এটা সত্যিই বিরল। তিনি কর্মব্যস্ততার মধ্যেও ১৮ বছর ধরে পাঠকের চাহিদা পুরণ করে আসছেন। এতে যে শুধু আমাদের গ্রামের মানুষ উপকৃত হচ্ছে তা নয়, আশেপাশের অনেক মানুষ তরুণের অভিযান পাঠাগার থেকে জ্ঞান অর্জন করছেন।’

রাজারহাট উপজেলা সদরের স্বপ্ন হেয়ার ড্রেসারের মালিক সুধাংশু চন্দ্র শীল বলেন, ‘তার সেলুনে ভলান্টিয়ার’স লাইব্রেরি হওয়ায় আমিসহ গ্রাহকরা খুব উপকৃত হয়েছেন। আগে আমার সেলুনে গ্রাহকরা সিগারেট খেয়ে অপেক্ষার সময় কাটাতেন। এখন তারা সেলুনে বই পড়ে সময় কাটান। আমার সেলুনের ভলান্টিয়ার’স লাইব্রেরি থেকে অনেক গ্রাহক পছন্দের বই বাড়িতে নিয়ে পড়ে আবার ফেরত দেন। তরুণের অভিযান পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা তরুণ দাদাকে ফোন দিলে তিনি চাহিদামতো বই আমার সেলুনে সরবরাহ করেন।’

তরুণের অভিযান পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা বিকাশ চন্দ্র রায় তরুণ বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল বাড়িতে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করার। ঈশ্বরের কৃপায় পাঠাগারের নামে দুই শতাংশ জমি দান করে আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। টানা ১৮ বছর ধরে এলাকার মানুষজন পাঠাগারে এসে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হচ্ছে। যারা পাঠাগারে আসতে পারেন না এমন পাঠক যেন বই পড়া থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য তাদের চাহিদা অনুযায়ী পছন্দের বই বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি। এছাড়া উপজেলা সদরের ৩টি সেলুনে গড়ে তোলা ভলান্টিয়ার’স লাইব্রেরিগুলোর খোঁজখবর রাখছি নিয়মিত। চাহিদামতো এসব ভলান্টিয়ার’স লাইব্রেরিতে বই সরবরাহ করছি। নিজে সবসময় বই পড়ি এবং পাঠকদের বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করি। বই পড়ার মাধ্যমেই আলোকিত সমাজ গঠন করা সম্ভব বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। তাই নিজের আয়ের একটি অংশ পাঠাগারের জন্য ব্যয় করি।’

তরুণ জানান, অর্থাভাবে পাঠাগারের ভবন নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। সরকারি অনুদান ও সহযোগিতা পেলে পাঠাগারের এক তলা ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সহজ হবে। তাই এই পাঠাগারটিকে একটি আধুনিক পাঠাগার হিসাবে গড়ে তোলার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক নিগমানন্দ রায় জানান, তরুণের অভিযান পাঠাগারটি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে পাঠকের চাহিদা পূরণ করে আসছে। এখন দিন দিন পাঠকের সংখ্যা বাড়ছে। তবে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজও থেমে রয়েছে। পাঠাগারটিকে মডেল পাঠাগার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকলের সহযোগিতা চান তিনি।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নূরে তাসনিম বলেন, ‘তরুণের অভিযান পাঠাগারে আমি নিজেও গিয়েছি। নিজের অর্থায়নে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করে গ্রামের মানুষদের বই পড়ার আগ্রহকে বেগবান করার পাশাপাশি ১৮বছর ধরে পাঠকের চাহিদা পূরণ করে আসছেন তরুণ রায়। যা সত্যিই বিরল। পাঠাগারের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকারিভাবে কিছু অনুদান দিয়েছি। সামনে কোনো বরাদ্দ এলে আবারও দেওয়া হবে।’

/এএন

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত

মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় গিয়ে চলন্ত বাসে ডাকাতির বিষয়ে ডিউটি অফিসার মো. আতিকুজ্জামানকে অবহিত করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় কয়েক মিনিট পর তারা থানা ত্যাগ করেন।

এছাড়া ডিউটি অফিসার তাদের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর সহ কোন তথ্যই রাখেননি তিনি। যার কারণে মামলা গ্রহণ করতে বিলম্ব হয়। এরপর ঘটনার তিনদিন পরে এক ভুক্তভোগী বাস যাত্রীর মামলা নিতে হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গত শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই এএসআই আতিকুজ্জামানকে মির্জাপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেন। শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এএসআই আতিকুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান জানান, শনিবার আতিকুজ্জামানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার
আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি